রাত্রকালে খাবারের পরে
পাতে দুই হাতা আইসক্রিম নিরখিয়া বুঝিনু বসন্ত
নজদিক।
মাঘের দুবলা জারে জারেজার হয়ে যবে সকালে খন্তার ঘায়ে প্রস্ফুটিত আঁবখানি 'পরে
কুসুমগরম এক পুল্টিশ ধরে
নকশী খেতার নিচে গুটিশুটি সান্ধায়েছি যেই
হোসনে আরা এক ঠ্যাং অধমের কোমরে তুলিয়া নাচাইয়া বলে, খেলা-জান
একখানি গল্প বল শুনি।
আমি যদি জন্ম নিতাম জাহাঙ্গীরের কালে
হতাম যদি খাজাঞ্চি তাঁর বাদশাহি টাকশালে
থাকতো তখন হাতের মুঠোয় রাজার কোষের চাবি
ছেড়েই দিতাম বাংলা বিহার উড়িষ্যাদের দাবী।
লখনৌ থেকে বাইজি এনে রোজ বসাতাম আসর
বাজতো বীণা বাজতো বেণু ঝনঝনাতো কাঁসর
নিয়ম করে সন্ধেবেলায় আতর ঠেসে কানে
হেরেমখানার ঠিক লাগোয়া ফুরফুরে বাগানে-
ওহ সে ভারি কাণ্ড হতো, প্রাপ্ত বয়স মতে
সমর কুমার চাকমা আমার কাছের কেউ নয়। বলা যায় পাশের বাড়ির মানুষ। পাশের বাড়ির মানুষেরা তো আমার নিজের বাড়ির মানুষদের মত আপন কেউ নয় আসলে। ওয়াইফাই আর ফোরজি সিগন্যালের কল্যাণে আমরা পুরো বিশ্বের সাথে নিজেদের সংযুক্ত করে ফেলেছি ঠিকই, কিন্তু একই সাথে শত ফুট উঁচু দেয়াল তুলে দিয়েছি নিজের চারপাশে। এই দেয়াল টপকানো সহজ কোন কাজ নয়।
আট।।
পুঁথির অর্থ বাবার কাছে না লুকিয়ে কোন উপায় ছিলো না কিশোরীমাধবের। নারায়ণমাধব বৈষয়িক মানুষ হলেও বিষয় সম্পত্তি যে কী দুর্ভোগ বয়ে আনতে পারে তা তিনি ভালো করেই জানেন। ময়মনসিংহের সমতলে প্রায় অনন্তকাল কাটিয়ে দেওয়া মাধবদেরকে যে আসামের নির্বান্ধব উপত্যকায় চলে আসতে হয়েছে সে তো আর ধর্মের কারণে নয়। তিনি হিন্দু নাকি মুসলিম এই নিয়ে কেউ কোনোদিন মাথা ঘামায় নি। দেশ বিভাগের সময় ঘটে যাওয়া রক্তক্ষয়ী দাঙ্গার কোন প্রভাব পড়েনি সদর থেকে দশ মাইল দূরের ছোট্ট গ্রাম কাৎলাসেনে। যেমন ছিলো তেমনি থেকে গিয়েছে সালাম সরকারের পাটের কারবার। বদলায়নি ব্রহ্মপুত্রের তীর ঘেঁষে ঝাঁকি জাল কাঁধে হেঁটে চলা হারান মণ্ডলের জীবন। পাল পাড়ার বুড়ো কমলেশ এখনও সাত সকালে ঘুম থেকে উঠে পরখ করে দেখে সারা রাত আগুনে পুড়ে কতোখানি খাঁটি হলো মাটির সরা, খেলনা পুতুল। আউলা কান্দির পুকুর ঘাটে গিয়ে কান পাতলে ঠিক ঠিক শোনা যায় কামাল শেখের তাঁতের আওয়াজ, খটর খট খটর খট খটর খট।
যদি প্রশ্ন করা হয় পৃথিবীতে সবচে' শান্তির জায়গা কোনটি? অনেকের মতো আমিও সপাটে জবাব দেবো বইমন্দির। অর্থাৎ গ্রন্থাগার। রাশি রাশি বইয়ের ভাঁজে শান্তি বড় স্বস্তিতে মুখ ডুবিয়ে থাকে। বইয়ের কাছে গেলে মনে বড় শান্তি শান্তি ভাব আসে। সেরকম পড়ুয়া না হলেও বই বরাবরই ভীষণ প্রিয়। আর বই মেলা তো প্রিয়'র তালিকার গুরুদেব।
জনশ্রুতি আছে, জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী ওয়ার্নার হাইজেনবার্গ নাকি বলেছলেন, "ঈশ্বরের সাথে যখন দেখা হবে আমি তাকে দুটো প্রশ্ন করবোঃ এক হলো আপেক্ষিকতা কেন? আরেকটা হলো, টার্বুলেন্স বা আলোড়ন কেন ? আমার বিশ্বাস প্রথম প্রশ্নের উত্তরটা সে দিতে পারবে।"
ছবিঃ দ্য স্টারি নাইট, ভিনসেন্ট ভ্যান গগ, ১৮৮৯।
তুম্বাড় চলচ্চিত্রের মূল বিষয় মানুষের তৃতীয় রিপু। লোভ। অন্ধ সর্বগ্রাসী লোভ। আর এই লোভের শুরু এক পৌরাণিক কাহিনী দিয়ে।
আজকে ৫ ফেব্রুয়ারি।
ছয় বছর আগে আজকের বিকেলে আমরা কয়েকজন হাটতে হাটতে শাহবাগের মোড়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলাম। কোন মানুষের ডাকে না। কোন সাময়িক হুজুগের ঝোঁকে পড়ে না। নিজেদের রক্তের ডাক, সেই অমোঘ ডাক উপেক্ষা করা যায় না।
লরেন্সের মেইলটা পেয়ে লজ্জায় আমার কান কাটা গেল। নিজে ভালমত যাচাই করে লিংকটা পাঠানো উচিত ছিল। সে আমার কাছে জানতে চেয়েছিল বাংলাদেশে বিনিয়োগ সুবিধা কেমন? সে ছোটখাট একটা চামড়াজাত পন্যের কারখানা করতে আগ্রহী। এখানে বিদেশী বিনিয়োগের নিয়মকানুনগুলো তাকে দেয়া যায় কিনা। একসময় এই কাজগুলো আমি করেছি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য। মাঝে বেশ কবছর বিরতির পর আবারো শুরু করতে যাচ্ছি। এর মাঝে কী কী পরিবর্তন ঘটেছে তা জানি না। তবে শুনেছি দেশে বিনিয়োগ বাড়ছে, বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার খুব চমৎকার তথ্যসুবিধা রেখেছে ওয়েবসাইটগুলোতে। বিনিয়োগ বোর্ডকে ঢেলে সাজিয়ে নতুন নামকরণ করেছে BANGLADESH INVESTMENT DEVELOPMENT AUTHORITY (BIDA) এবং তাদের খুব তথ্যবহুল ওয়েবসাইট আছে, যেখানে ঢুকলে যে কোন বিনিয়োগকারী তার প্রয়োজনের সব তথ্য এক ঝলকে পেয়ে যাবে। আমি খুশীমনে ওয়েবসাইটের লিংকটা পাঠিয়ে দিলাম। কয়েকদিন পর লরেন্স দীর্ঘ একটা মেইল পাঠালো। সেখান থেকে কিছু অংশ কোট করলাম-