কার্বনের মায়াজাল প্রবন্ধে গ্রাফিনের অভূতপূর্ব গুনাগুন আর অপার সম্ভাবনার কথা বর্ণনা করেছিলাম। স্বভাবতই প্রশ্ন আসতে পারে, ‘তাহলে গ্রাফিনে তৈরি বস্তুতে পৃথিবী কেন ছেয়ে যাচ্ছেনা?’ যৌক্তিক প্রশ্ন। উত্তর হল, এমন নিখুত আশ্চর্য বস্তু কি আর সহজে লাভ করা যায়!
১
একটা গাধা হাসতে খেলতে নাচতে নাচতে এক নতুন জঙ্গলে এসে পড়ে। মনে তার দারুণ ফুর্তি। এ জঙ্গলে কত নতুন ধরণের গাছ, লম্বা লম্বা ঘাস। আনন্দে গাধা – ‘ইঁইইই অঁঅঅঅ, ইঁইইই অঁঅঅঅ!’ আওয়াজে গান গেয়ে নেয় কিছুক্ষণ। তারপর মুখ ডুবিয়ে লম্বা রসালো ঘাস খেতে মনযোগী হয়।
পশ্চিম ইউরোপের বুকের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে দীর্ঘ স্রোতস্বিনী রাইন। রাইনের পূর্ব তীরে ছবির মত ছিমছাম পরিপাটি এক দেশ। প্রায় পনেরশ বছর আগে পাহাড়ের মাঝের এই বিচ্ছিন্ন ভু-খন্ডে থিতু হতে আসা আলেমানি গোষ্ঠীর বংশ ধারা বয়ে এসেছে এদেশের অধিবাসীদের মাঝে। যদি ‘এক দেশে ছিল এক রাজা, রানী, রাজ পুত্র আর তাদের প্রজাকুল’ এভাবে শুরু করতে পারতাম তবে যথার্থ হত। সুবিশাল আল্পস পর্বতমালার একাংশ গভীর আলিঙ্গনে ঘিরে রেখেছে রু
১
কীভাবে আমি পাগল হয়ে গিয়েছিলাম,
তুমি জানতে চেয়েছিলে।
অনেক অনেক কাল আগের কথা,
অনেক দেবতাদেরও তখন জন্ম হয় নি
একদিন খুব গভীর ঘুম ঘুমিয়ে উঠে দেখলাম
আমরা সবগুলো মুখোশ চুরি হয়ে গেছে।
সাত সাতটা মুখোশ,
যেগুলো পরে সাত জন্মের মতো ঘুরে বেড়িয়েছি,
নিজেকে সাজিয়েছি-
সবগুলোই কারা জানি নিয়ে চলে গেছে।
রাগে বেরিয়ে পড়লাম মুখোশ ছাড়াই
‘চোরের দল, অভিশাপ নেমে আসুক তোমাদের ওপর‘
চিৎকার করতে করতে
অতি ধীরে ভালোবাসার বিবর্তন ঘটে যায়।
শব্দে শব্দে তিল তিল করে আমাদের বিবর্তন ঘটে যায়;
ফেইসবুকের চ্যাট উইন্ডোতে, স্ট্যাটাসে, মেসেজে, ছবিতে...
আমরা একে অপরের ছবিতে লাইক দিতে ভালোবাসি।
ভালোবাসি মন্তব্যে, চ্যাটে।
কাছাকাছি আসি, তবু দূরে থেকে যাই।
মনে মনে আমরা শ্রোডিঙ্গারের বাক্স হাত বদল করি।
কিন্তু বাক্স খুলতে আমাদের নিতান্ত ভয় হয়।
যদি শ্রোডিঙ্গারের বিড়াল মরে গিয়ে থাকে?
কৈশোর থেকেই আমার মাথাধরার ব্যরাম আছে। ঠিক মাইগ্রেইন না, তবে ব্যথাটাকে মাইগ্রেইনের গ্রামে থাকা গরিব আত্মীয় বলা যেতে পারে। জানান দিয়ে কপালের একপাশ থেকে ভোঁতা ব্যথাটা শুরু হয়- আস্তে আস্তে সেইটা বাড়তে থাকে। আজকে সন্ধে থেকে ব্যথাটা আসি আসি করছে। এইরকম ছুটির শুরুর দিকেই মাথাব্যথায় দুটো দিন ডাউন হয়ে থাকা কোন কাজের কথা না।
এ লেখাটা লিখতে গিয়ে নিজেকে কেমন যেন মওদুদ আহমেদ মনে হচ্ছে। এই সচলেই ঠিক আগের লেখায় যা লিখেছি, পুরো ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে এখন উল্টো জিনিস লিখতে যাচ্ছি, সংগত কারনেই ওই ভদ্রলোকের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। আমি বিখ্যাত লেখক নই, সুতরাং আগের লেখায় কি ছিল সেটা কারো মনে থাকার কোন কারন নেই। সেখানে 'প্রতিভা' জিনিসটার প্রতি আমার দুর্নিবার আকর্ষনের কথা লিখেছিলাম। তাতে সমস্যা নেই, কিন্তু আকর্ষনের পেছনের কারনটা ছিল যে তাতে
স্মিথসোনিয়ান জাদুঘরগুলো সম্বন্ধে সবাই কমবেশী পরিচিত। জ্ঞানের প্রচার এবং প্রসার - এই লক্ষ নিয়ে ১৮৪৬ সালে আমেরিকার সরকার স্থাপিত করে একগুচ্ছ জাদুঘর। প্রতিষ্ঠাতা দাতা এবং ইংরেজ বিজ্ঞানী জেমস স্মিথসন-এর নামানুসারে এদের নামকরন করা হয় স্মিথসোনিয়ান। "জাতীর চিলেকোঠা" হিসেবে অভিহিত এইসব জাদুঘরে রয়েছে ১৫৪ মিলিয়ন দূর্লভ প্রদর্শিত বস্তু। এখন পর্যন্ত রয়েছে ১৯ টি জাদুঘর, ৯ টি গবেষণা কেন্দ্র, একটি চিড়িয়াখানা যাদের বেশীরভাগের অবস্থান ওয়াশিংটন ডিসি। বুঝতেই পারছেন একদিনের সংক্ষিপ্ত ভ্রমনে এতগুলো জাদুঘর ঘুরে দেখা দুঃসাধ্য কর্ম। সেই সাথে এদের প্রদর্শিত বস্তু নিয়ে লিখতে বসলে বইয়ের পর বই লিখতে হবে, এবং সে কাজও গবেষকরা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন! এ লেখায় আমার উদ্দেশ্য শুধু এই জাদুঘরগুলো সম্বন্ধে আগ্রহ জাগিয়ে তোলা। তাই চেষ্টা করলাম কিছু চমকপ্রদ প্রদর্শিত বস্তুর রেকর্ডকৃত ভিডিও এবং তাদের অতিসংক্ষেপিত কাহিনী এ লেখায় তুলে ধরার। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে এবং মনে এই বিশ্বখ্যাত জাদুঘরগুলো দেখার বাসনা জাগবে। চলুন তাহলে পড়ে দেখা যাক ...
ছবিঃ স্মিথসোনিয়ান ন্যাচারাল হিস্টরি মিউজিয়ামে প্রদর্শিত একটি মোয়াই। ইস্টার দ্বীপের আহু ও-পেপে অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করে আনা হয়েছে এটি।
১.
বৈশাখে জড়ো হওয়া বৃষ্টির মেঘগুলো এবার জ্যৈষ্ঠমাসে এসে উধাও। অথচ এই দিনে খুব বৃষ্টি ছিল সেদিন। ঝড়ো হাওয়ার সিগন্যাল ছিল। ভিজতে ভিজতে সেই রেস্তোঁরায় ঢুকে পড়েছিলাম জুবুথুবু হয়ে। জিইসির কাছাকাছি সেই রেস্তোঁরা ভেঙ্গে মার্কেট উঠে গেছে এখন। ওখানে আমরা গরমে আইস কফি খেয়েছি কতদিন! স্মৃতিগুলো গল্পের মধ্যেই বেঁচে থাকবে।
আমার রসুই ঘরের জানালা বরাবর যে বাড়ীটা রয়েছে সেটা খুবই নিকটবর্তী অবস্থানে দাঁড়িয়ে। সেই বাড়ীটার তৃতীয় তলার বারান্দায় একটি বালিকাকে দেখা যায়। তবে কয়েক পলকের মধ্যেই সে আবার অদৃশ্য হয়ে যায়। সে মূলত আসে কাপড় শুকাতে দিতে। নিশ্চয় প্রতি দ্বিপ্রহরেই আসে সে তবে আমি দেখতে পাই কেবল আমার ছুটির দিনগুলোতে। আমি তাকে দু একবার দেখেছি পথিমধ্যে। তখন তার আপাদমস্তক ঢাকা ছিল মুসলিম নারীর জন্য নির্ধারিত আবরনে। বারান্দায় স