কোন কিছু না জেনেই উপন্যাসটির দরোজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করেছিলাম। ভেবেছিলাম কয়েক পাতা উল্টে রেখে দেবো। পরে সময় নিয়ে পড়বো। এই লেখকের একটি ছোটগল্প ছাড়া আর কিছুই পড়িনি আগে। কিন্তু উপন্যাসটির প্রথম পাতা শেষ করার পর টের পেলাম ফেলে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আমাকে এমন একটা জগতে নিয়ে যাচ্ছে যে জগতের ভেতরটা দেখার আগ্রহ ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে। সহজ সাবলীল ভাষা এবং ঘটনার ঘনঘটা দুটোর যোগফল আমাকে বইটার প্রথম অধ্যায়ের শেষে নিয়ে গেল। একই অবস্থা পরের অধ্যায়েও। কয়েকদিন টানা পড়ে শেষ অধ্যায়ে পৌঁছে গেলাম। পড়া শেষ করে আবিষ্কার করলাম চেনা জগতের মধ্যে অচেনা এক পৃথিবীকে।
পরদিন, দুপুরে বুড়ো মেলখিযেডেকের সাথে দেখা করতে গেলো সান্টিয়াগো। ছ’টা ভেড়া এনেছে সাথে।
“খুবই অবাক হয়েছি, জানেন! আমার এক বন্ধু আমার ভেড়াগুলো মুহূর্তের মধ্যেই কিনে নিলো। বলল, ওর নাকি সারা জীবনের স্বপ্ন ও রাখাল হবে। আর আমার এই ভেড়া বেচার ব্যাপারটা, এটা নাকি তারই একটা নিশানা।”
'বাংলা দেশের রং যে নীল তা এই সব যাত্রায় খুব টের পাওয়া যেত- আকাশ নীল, বাতাস নীল,প্যাডলের আঘাতে ফেনিল জলটুকু ছাড়া পুরো মেঘনা কালচে নীল, তীরের পাটখেত নীল, সুপুরি-নারকেল বন নীল, গ্রামের গাছগাছালি নীল, ধূ ধূ জলের দূরের তীরও শুধু একটা হালকা নীল রঙের রেখা। এই নীল জীবনানন্দ আরো অনেক বেশি দেখেছিলেন :
অশ্বত্থে সন্ধ্যার হাওয়া যখন লেগেছে নীল বাংলার বনে
উর্দু ভাষায় প্রকাশিত পাকিস্তানের প্রভাবশালী পত্রিকা ‘নওয়া-ঈ-ওয়াকতের’ ১৯৭৫ সালের ২রা ডিসেম্বর সংখ্যার শীর্ষ খবরে স্থান পায় বাংলাদেশের ‘বিপ্লব’। লিবিয়ায় আশ্রিত বঙ্গবন্ধুর খুনি সামরিক বাহিনীর সদস্যদের সাক্ষাতকারের বরাতে সেই খবরে বলা হয়, ‘পাকিস্তানের দুই অংশকে আবার একত্রিকরণের’ উদ্দেশ্যে তারা (বিপ্লবীরা) একটা ‘বিপ্লব’ (১৫ই আগষ্ট) করেছে। সেই খবরে আরও বলা হয়, যদিও কিছু সংখ্যক ‘সাম্রাজ্যবাদি দালালের তৎপরতায়’ বিপ্লব আপাতত বিঘ্নিত হয়েছে (৩রা নভেম্বররের পাল্টা অভ্যুত্থান), কিন্তু ‘পাকিস্তানের দুই অংশের এক হওয়া’ এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
মানকচুর জিলিপি খেতে খুব সুস্বাদু হয়। আর ওলের পান্তুয়া । শুনেছিলেন কোনদিন? আজ্ঞে লজ্জার কিছু নেই, আপনি কেন , কেউই শুনেন নি আগে! এর রান্নার বুদ্ধি সবার আগে আসে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাথায়, তাঁর পরামর্শ অনুসারে খাবার তৈরি করে দেখা গেল মানকচুর জিলিপি সাধারণ জিলিপির চেয়ে অনেক ভালো খেতে।
অক্টোবর ৯, আলাদিনের চেরাগ
অক্টোবর ৮, মাছ
হিমু ভাইয়ের প্ররোচনায় আঁকটোবরের আঁকিবুকির খেলায়
আমার আঁকটোবর শুরু করলাম। বিষয় বুঝতে লিংকটাতে ক্লিক করে দেখে নিন।
একসাথে কয়েকটা দিলাম। শর্টকাটে কাজ সারা যাকে বলে।
পিপিলীকা, গণ্ডার, চেরাগ, পুরুষ
রেখাচিত্রী জেইক পার্কার ২০০৯ সালে মাসব্যাপী প্রতিদিন (কমপক্ষে) একটি করে ছবি আঁকার এক হুজুগ চালু করেছিলেন। সময়ের সাথে এটা হুজুগ থেকে ছোটখাটো বিকেন্দ্রিক উৎসবের চেহারা নিয়েছে, নাম ইঙ্কটোবর (বিস্তারিত সূত্রে)। ইঙ্কটোবরের মূল প্রেরণা ছিলো প্রতিদিনের চর্চায় কালির কাজের ওপর শিল্পীর দক্ষতা বাড়ানো, নামটাও তাই কালি থেকে গজিয়েছে। হিস্পানিভাষী শিল্পীরা এটাকে [i]তিন্তোব্র