[justify]ডিসেম্বরের শেষ, শীতের বিকেল। অফিস থেকে একটু আগেই বেরিয়ে পরলেন আকরাম সাহেব। রাস্তায় নেমে হাত ঘড়িতে দেখলেন চারটা বেজে পঞ্চাশ মিনিট। কালো প্লাস্টিকের বেল্টের ক্যাসিও ঘড়ি, ডিজিটাল ডায়াল। কই মাছের প্রান টাইপের জিনিস। আকরাম সাহেবের ছেলেবেলায় এই ধরনের ঘড়ি সাধারণত ক্লাস ফাইভ বা এইটে বৃত্তি পেলে কিংবা বার্ষিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করলে বাবারা ছেলেদের পড়াশোনায় আরও উৎসাহ দেয়ার জন্য কিনে দিতেন। আকরাম স
[justify]সামিরা। যুগোস্লাভিয়ার সারায়েভো শহরে বাবা-মা আর ছোট বোনকে নিয়ে ওদের সংসার। যাকে বলে সুখের সংসার। কলেজ থেকে পাশ করার পরই সামিরার চাকরি হয় দূরের এক দুর্গম গ্রামে। শিক্ষকতার চাকরি। জীবনের প্রথম চাকরি নিয়ে উচ্ছ্বসিত সামিরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সেই গ্রামে যাবার বাসে ওঠে। আর সেখান থেকেই শুরু হয় তার জীবনের নতুন অধ্যায়।
“স্যার আজকে হঠাৎ ডাকলেন যে...”, দবির মিয়া উৎসুক হয়ে জিজ্ঞাসা করল।
“দবির বর্ষাকাল তো এসে গেলো, এবার অনেক আগে চলে এসেছে…”, চেয়ারে হেলান দিয়ে অনেকটা আয়েশি ভঙ্গিতে উত্তর দিলেন আজম সাহেব।
“হ্যাঁ, তা তো এসেছে, বৃষ্টিও পড়ছে বেশ ভালোই”
“আচ্ছা শহরের রাস্তাঘাটের অবস্থা কি?”
বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিক, পতিসরে জমিদারির কাজ দেখতে এসেছেন বাবুমশাই। সেখানে আমিনের সেরেস্তায় কাজ করেন এক ঋজুদেহী ব্রাহ্মণ। তাঁর ডাক পড়ল বাবুমশাইয়ের কাছে। বাবুমশাই বললেন, ‘‘দিনে তো সেরেস্তায় কাজ করো, রাত্রিতে কী করো?’’
‘‘সন্ধ্যার পর কিছুক্ষণ সংস্কৃতের আলোচনা করি। কিছুক্ষণ একখানি বইয়ের পাণ্ডুলিপি দেখে প্রেসের কপি-পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করি।’’
-"আমরা সাড়ে সাতটার দিকে ছাদে যাব"।
বউয়ের কথা শুনে আমি কিঞ্চিত অবাক হলাম। ছাদে আমরা যাই মাঝে মাঝে, কাপড় মেলতে কিংবা টবের গাছগুলোতে পানি দিতে, কিন্তু সেতো বিকেল বেলায়। এই সন্ধ্যায় ছাদে কেন?
-"তখন ওই জিনিসটা দেখা যাবে"।-উত্তর পেলেও ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না, কোন জিনিসের কথা বলছে।
-"আজকে ভিজিবিলিটি খুব ভাল ওই সময়"।
মানুষের কাজই উদ্ভট সব কথা বলা, ভাবে সান্টিয়াগো। মাঝে মাঝে মনে হয়, ভেড়ারাই ভালো, কোনো কথাবার্তা বলেনা, চুপচাপ থাকে। আর না হলে বইতো আছেই। যখন যেমন ইচ্ছা, বই থেকে কত অবিশ্বাস্য সব কাহিনী জেনে নেওয়া যায়! অথচ মানুষের সাথে কথা বলতে গেলেই যত সমস্যা, কেউ কেউ এমন কথা বলে, এমন আজব সব কথা যে আর আলাপ চালিয়ে যাওয়ার উপায় থাকেনা।
“আমার নাম মেলখিযেডেক,” বলল বুড়ো। “কতগুলো ভেড়া আছে তোমার?”