১৩
ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৪। পাকিস্তানের লাহোরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ওআইসির (OIC) দ্বিতীয় সম্মেলন। অনুষ্ঠানে আগত মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী তুন আবদুল রাজাকের সাথে স্বাগতিক দেশ, অর্থাৎ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর একান্তে বৈঠকের আয়োজন করা হল। সময়মত আবদুল রাজাক বৈঠকের নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হলেও জুলফিকার আলী ভুট্টোর দেখা নেই। পাগল-প্রায় প্রটোকল অফিসাররা ভুট্টোর অবস্থান নিশ্চিত করতে পারল না। অনেক চেষ্টা করেও ভুট্টোকে পাওয়া না গেলে আবদুল রাজাক ক্ষুব্ধ হন, এমনকি দেশে ফিরে যাবেন এমন কথাও বলেন।
আজ ওনার জন্মদিন। সব মানুষই নিজের জীবন দিয়ে যা বুঝতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে ৮৫ বছর বয়সে এই অসাধারণ কবিতাটি লিখেছিলেন লেখকদের লেখক খ্যাত হোর্হে লুইস বোর্হেস, ৮৬ বছরে তিনি মারা যান দুর্দান্ত এক জীবন শুষে নেওয়া জীবনের শেষে। কোন এক বৃষ্টি ভেজা দিনে আনমনে দুর্বল অনুবাদ করেছিলাম ইংরেজিতে থেকে (স্প্যানিশ ভালো পারি না বিধায়)- ( ছবিটা সাহারা মরুভূমিতে তোলা)
'যদি আরেকবার জীবন শুরু করতে পারি'
‘আমি নিগ্রো। যে-বাড়িটায় থাকি তা হার্লেমে- শহরের ভেতরে আর একটা, আমেরিকান নিগ্রো মহানগরীতে।‘- এভাবেই লেখক শুরু করেন তাঁর গল্প। লেখক মানে বিশ্বখ্যাত মনিষী, নব জাগরণের সঙ্গীতের পথিকৃৎ, অভিনেতা, মানবাধিকার কর্মী, হার্লেম রেনেসাঁর অন্যতম পুরোধা পল রোবসন।
মানুষ কেন বই পড়ে? জ্ঞানী হবার জন্য নাকি স্রেফ আনন্দের জন্য? অন্যদের কথা জানি না, আমি পড়ি আনন্দের জন্য। সেই ফাঁকে যদি দুয়েকটা জ্ঞানার্জনের পূণ্য অর্জিত হয় সেটা বাড়তি লাভ।
তো, এই পড়াশোনা ব্যাপারটা জ্ঞানার্জনের পাশপাশি মানুষের কল্পনাশক্তির প্রসারণ ঘটায় ব্যাপক ভাবে। আমি নিজে স্কুল বয়স থেকে আজ অবধি হাজার হাজার হাবিজাবি বই গিলে নিজের কল্পনাশক্তির বড়সড় এক পর্বত দাঁড় করিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম জীবনে আর নতুন কিছু পড়ার নাই। কিন্তু কয়েকদিন আগে শেষ করা একটি অভিনব পুস্তকের কাছে আমার সমস্ত কল্পনাশক্তির পর্বতের ভিত নড়বড়ে হয়ে গেছে। আরেকটুর জন্য ধ্বসে পড়েনি।
মজার ব্যাপার হলো, আমি আগ থেকেই জানতাম আমি একটি কল্পকাহিনী পড়তে যাচ্ছি যার সাথে বাস্তবের কোন যোগসূত্র নেই। তবু এই হোঁচট খাবার কারণ কী?
জানতে হলে, পড়তে হবে।
২০০০ সালের জানুয়ারি যেমন ছিল একটি নতুন শতাব্দীর সূচনা তেমনই বাংলাদেশের পাখি দেখার জগতে এটাও ছিল এক নতুন পর্বের শুরু। গ্রিমেট এবং ইনস্কিপের দক্ষিণ এশিয়ার পাখি নিয়ে প্রকাশিত প্রথম আধুনিক ফিল্ডগাইড আমাদের ব্যাকপ্যাকে ঠাঁই পেয়েছিল বছর দুই আগে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার পাখিদের নিয়ে রবসনের যুগান্তকারী কাজটি কেবল আমাদের হাতে পৌঁছে ছিল। বাংলাদেশের পাহাড়ে শান্তি ঘোষিত হয়েছিল এবং বিদেশীরা সেখানে যাবার