অর্ণবের প্রস্তাবানুযায়ী এবারের বিষয় জানালার বাইরে।
- ও ব্যাডা নিজের গতরের মাপে একখান হরিণের মনোহর ছাল নিয়া বাইরা তো দেখি…
বিলপারের জনস্থানে পৌঁছায়া রাবণ যায় তাড়কাপুত্র মারিচের ঘরে। রাজায় ক্যান হরিণের চামড়া খোঁজে সেইটা বুঝায়া বলতে হয় না তারে। পশুর চামড়া পইরা পশুর ডাক দিয়া পশু ডাইকা শিকার একেবারে সাধারণ কৌশল…
কোনো মাইয়া কাউরে বিবাহের প্রস্তাব দিলে তার নাক কান কাইটা দিবার উদাহরণ কি শাস্ত্র বেদ বা সংহিতায় আছে?
এক লগে দশখান শাস্ত্রে পণ্ডিত বইলা দশমাথা নামে মর্যাদাবান রাবণের অংক মিলে না সংখ্যাশাস্ত্রের বিদ্যায়; যোগশাস্ত্রের ধ্যানে আসে না শান্তি; ন্যায়শাস্ত্রে নাই এমন আকামের উপযুক্ত শাস্তি; মীমাংসা শাস্ত্রে মিলে না এর যুক্তি…
মন শান্ত করো হে দেবদেবতাগণ…
আঁকিবুঁকি তেমন পারিনা। তবে ক্লাস করার সময় পেছনের বেঞ্চে বসে খাতা ভর্তি করে ডুডল আঁকতাম। কয়েকবার ধরা পড়ে শিক্ষকদের কাছে ডলাও খেয়েছি। আঁকটোবর এর প্রথম দুটি বিষয় মিস করে গেছি। তাই অফিসের গাড়িতে মহাখালীর মরণ জ্যামে বসে বসে একটু পুরনো অভ্যাস ঝালিয়ে নিলাম। আমার একটা বিড়াল ছিল, মিনি। রিকশার নীচে পড়ে মরেছিল। একটা কুকুর পুষেছিলাম স্কুলে থাকতে। কোথায় যেন চলে গিয়েছিল, খুঁজে পাইনি। ভার্সিটিতে পড়ার সময় ল্যাব থ
আঁকটোবর, ২০২২-এর তৃতীয় সপ্তাহে সজীব ওসমান প্রস্তাব করেছেন, এমন কোনো প্রাণীর ছবি আঁকতে, যেটাকে আমি পুষতে অথবা বন্ধু বানাতে চাই। আপাতত মান বাঁচাতে একটা ছবি আঁকলাম।
আরেকটা ছবি পরে যোগ করার ইচ্ছা আছে।
হিমু দায়িত্ব দিলেন পরের, অর্থাৎ তৃতীয় সপ্তাহের বিষয় আমাকেই ঠিক করতে। দিলাম। এবারের বিষয় হলো এমন একটা জীব যাকে পুষতে অথবা যার সাথে বন্ধুত্ব করতে চান। আমি আমার প্রিয় এমন প্রাণীটা আঁকলাম। একে পুষতে চাওয়া বললে অপরাধ হবে, আমাদের ভাইব্রাদার, বন্ধুত্ব করা চলে। আমি একটা ওরাংওটানের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই।
বিরাধের বগলচিপায় মরতে মরতে সীতার বুদ্ধিতে বাঁইচা গিয়া রাম বুঝে বনে বাহাদুরি সোজা কাম না। একলা এক বনুয়া দুই ভাইর সামনে থাইকা খালি সীতারেই থাবা দিয়া উঠায় নাই; দশরথের দুই বীরপুতেরেও লটকায়া হাঁটা দিছিল দূরে নিয়া কোপাইতে…
বিপদে সীতার মাথা খোলে আর রামের হয় বন্ধ। কথাটা স্বীকার করলেও স্বীকার না যাইয়া রাম কয়- বনটা কঠিন। আমাগো মনে লয় ঋষি শরভঙ্গের আশ্রমেও যাওয়া ভালো…
আঁকাবুকি তে বিশেষ সুবিধার না মোটেই। স্কুল কলেজের বায়োলজি প্রাকটিক্যাল বহু সাধ্য়সাধনা করে আঁকানো শেষে দেখতাম কোথাও না কোথাও প্রপোরশন এ গ্যাঞ্জাম হয়ে গেছে। বোরিং মিটিং এ বসে বসে আঁকাআঁকি শেষে দেখি সে পুরানো স্বভাব পুরোপুরি আয়ত্তে আছে।
আঁকটোবর দ্বিতীয় সপ্তাহে সজীব ওসমান প্রস্তাব করেছেন, এমন কোনো জায়গার ছবি আঁকতে, যেখানে আঁকিয়ে নিজে গিয়েছেন। এ প্রস্তাব মেনে নিচের ছবিখান আঁকলাম।
আমি গরুর ছবি আঁকলে সেটার আশেপাশে 'গরু' লিখে দিতে হয়। কাজেই এই ছবির ওপরেও জানিয়ে যাই, এটা এক তেজোসৃপের ভাস্কর্যের ছবি। ভাস্কর্যের বয়স চারশ বছরের বেশি, পাঁচশর কম। শহরটার নাম, প্রস্তাবে যেমন বলা, একটা ধাঁধা।
পৃথিবীর এমন কোন স্থান যেখানে আমি গিয়েছি, হয়ত আপনিও!