Archive - 2023
December 31st
মেঘের অনেক রং
লিখেছেন তানভীর (তারিখ: রবি, ৩১/১২/২০২৩ - ৩:২৩পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
"বলো আমাকে রহস্যময় মানুষ, কাকে তুমি
সবচেয়ে ভালবাসো?
তোমার পিতা, মাতা, ভ্রাতা অথবা ভগ্নীকে?
পিতা, মাতা, ভ্রাতা অথবা ভগ্নী-কিছুই নেই আমার।
তোমার বন্ধুরা?
ঐ শব্দের অর্থ আমি কখনোই জানিনি।
তোমার দেশ?
জানি না কোন দ্রাঘিমায় তার অবস্থান।
সৌন্দর্য?
পারতাম বটে তাকে ভালবাসতে- দেবী তিনি অমরা।
কাঞ্চন?
ঘৃণা করি কাঞ্চন, যেমন তোমরা ঘৃণা করো ঈশ্বরকে।
December 27th
প্রত্যুষ
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বুধ, ২৭/১২/২০২৩ - ১০:৫৩পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
রাতের শেষ প্রহরে ঝিমোতে ঝিমোতে নিঃসঙ্গ বাসটা এসে দাঁড়ালো ঘুমন্ত শহরের কার্নিশে।
শেষ যাত্রী মেয়েটাকে নামিয়ে দিয়ে চলে গেল টার্মিনালে।
একটা ঘেয়ো কুকুর হতাশাময় ঘাউ করে নিজের অস্তিত্ব জানান দিল।
পাশের টং দোকান থেকে কেউ এক বালতি ময়লা পানি ছুঁড়ে মারলো রাস্তায়।
সূর্য উঠতে এখনো ঢের দেরি।
রাতভর বিরতিহীন আলো দিয়ে ল্যাম্পপোস্টের অবসন্ন বাতির ম্লান চোখে ধুলো জমা অন্ধকার।
September 1st
অনুবাদ - The Signal-Man by Charles Dickens
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ০১/০৯/২০২৩ - ৪:২৫পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
'এইযে শুনছেন! এদিকে! শুনতে পাচ্ছেন? এইযে এদিকে। '
August 17th
নামে কিবা আসে যায়!
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৭/০৮/২০২৩ - ১:৪১অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
[justify]১৯৬৭ সালে প্রকাশিত গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের উপন্যাস ‘নিঃসঙ্গতার একশ বছর’-এ (Cien años de Soledad) কর্নেল অরেলিয়ানো বুয়েন্দিয়া যখন হৃদয়ঙ্গম করেন চলমান গৃহযুদ্ধ নিস্ফলা, যুযুধান দুই পক্ষ কেবল নিজেদের ‘মর্যাদা’ রক্ষার দোহাই দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে তখন গভীর হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক তাঁর বুকে আয়োডিন দিয়ে একটি বৃত্ত এঁকে দিয়েছিলেন। অপরাহ্ন তিনটে পন
August 11th
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়া-খালেদ ও অন্যান্যের দায়
লিখেছেন নুরুজ্জামান মানিক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১০/০৮/২০২৩ - ৯:১১অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
- গবেষণা
- রাজনীতি
- স্মরণ
- ইতিহাস
- খালেদ মোশাররফ
- জিয়াউর রহমান
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
- সফিউল্লাহ
- সামরিক অভ্যুত্থান
- সববয়সী
June 29th
কেমন আছেন?
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: বিষ্যুদ, ২৯/০৬/২০২৩ - ১:৩৭পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
বহুকাল পরে সচলায়তনে এলাম। আপনারা সবাই কেমন আছেন? সেইসব পুরানো দিন মনে পড়ে, যখন নিত্য নিত্য এই চত্বরে একবার করে ঢুঁ মেরে যেতেই হত। তখন প্রতিদিন এত লেখা উঠত, যে তাল রাখাই কঠিন ছিল।
কয়েক মাস হল একটা অ্যাপ নামিয়ে মোবাইলের স্ক্রীনে ছবি আঁকা শুরু করেছি। একেবারেই হাবিজাবি ছবি, বুঝতেই পারছেন জিনিসটা বুঝতে বুঝতেই দিন চলে যায়, ভালো আঁকা তো অনেক পরের ব্যাপার। তবু ভাবলাম সচলের বন্ধুদের দেখাই কয়েকটা ছবি।
June 5th
সংক্ষেপিত অনুবাদ : বাংলা ভাষা পরিচয় / রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর : অধ্যায় ১
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: সোম, ০৫/০৬/২০২৩ - ২:২৩পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
সবচেয়ে অসত্য ভাবনা কী?
‘অবশেষে জানিলাম- মানুষ একা।”
কেন অসত্য?
কারণ, প্রত্যেকটি মানুষ বহু মানুষের হাতে তৈরি।
বহু মানুষের সাথে যুক্ত।
সে একলা একা হতেই পারে না।
বহু যুগের বহু কোটি মানুষের দেহ মন মিলিয়ে মানুষের সত্তা।
সেই বৃহৎ সত্তার সঙ্গে সম্পর্ক
একজন ব্যক্তি মানুষ যতটুকু দেখতে পারে
সে ততটুকু যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠে।
সেই সত্তাকে নাম দেয়া যেতে পারে
মহামানুষ।
এই বৃহৎ সত্তার মধ্যে
May 7th
আকাশপথে ঘুমন্ত রূপবতীর সান্নিধ্যে
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: শনি, ০৬/০৫/২০২৩ - ৯:০৩অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
[দুটো কারণে গল্পটা অনুবাদ করার সিদ্ধান্ত নিলাম। প্রথম কারণ: এ ধরণের একটা অভিজ্ঞতা আমারও হয়েছিল বহুবছর আগে, থাই এয়ারওয়েজের সিউল-ব্যাংকক রুটের একটা ফ্লাইটে। তাই মার্কেজের লেখা এই গল্পটা পড়ে বিশেষ ভালো লেগেছিল। শুধু ভালো লাগলেই অনুবাদটা করতাম না যদি দ্বিতীয় কারণটি যোগ হতো। গল্পটি পড়ার পর বাংলা ভাষায় কেউ অনুবাদ করেছে কিনা খোঁজ নিতে গিয়ে কালি ও কলম পত্রিকায় ২০১৫ সালে প্রকাশিত একটি অনুবাদ পেলাম। কিন্তু সেই অনুবাদটি এত কুৎসিত যে মার্কেজের জন্য আমার রীতিমত করুণা হলো। তাঁর এত সুন্দর গল্পটাকে বাংলা ভাষায় এনে রীতিমত খুন করা হয়েছে। এই গল্পটা মার্কেজের জীবনের একটি সত্য ঘটনা নিয়ে লিখিত। ঘটনাটি তিনি Sleeping Beauty on the Airplane শিরোনামে লিখেছিলেন মেক্সিকো থেকে প্রকাশিত Proceso নামের একটি পত্রিকার ২০ সেপ্টেম্বর ১৯৮২ সংখ্যায় ]
মেয়েটা ছিল অতীব সুন্দরী। গায়ের রঙ বাদামী, সবুজ অ্যালমণ্ডের মতো দুটো চোখ আর কাঁধ পর্যন্ত নেমে যাওয়া ঘন কালো চুল। চেহারার মধ্যে এমন একটা প্রাচীন আভিজাত্যের ছাপ, বোঝার উপায় নেই ইন্দোনেশিয়া থেকে আন্দেজের মধ্যে কোন অঞ্চলের বাসিন্দা। পোশাক আশাকে সূক্ষ্ণ এবং মার্জিত রুচির ছাপ। একটা লিংক্স জ্যাকেটের সাথে হালকা রঙের ফুলের ছাপা সিল্কের ব্লাউস পরেছে। ঢিলেঢালা লিনেনের পাজামার সাথে পরেছে বোগেনভিলিয়া রঙের ফ্ল্যাট জুতো।
মেয়েটাকে দেখামাত্র মনে হলো ‘এ আমার জীবনে দেখা সবচেয়ে রূপবতী নারী।’ প্যারিসের শার্ল দ্য গল এয়ারপোর্টে নিউইয়র্কগামী ফ্লাইটের চেক-ইন কাউন্টারে দাঁড়িয়েছিলাম। মেয়েটা তখন গর্বিত সিংহীর মতো দৃঢ় পদক্ষেপে আমার পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। যেন এক অলৌকিক ছায়ামূর্তি হয়ে ক্ষণকালের জন্য আবির্ভূত হয়ে আবার টার্মিনালের ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেল।
May 4th
একটি ভৌতিক গল্প : কানাউলার খপ্পরে
লিখেছেন কীর্তিনাশা (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৪/০৫/২০২৩ - ২:২৭অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
গাঁয়ের অদূরে এক গভীর জঙ্গল। তার পাশেই এই গাঁয়ের কবরস্থান। মাঝরাত। পশ্চিম আকাশে এক ফালি ফ্যাকাসে চাঁদ জেগে আছে। আর আছে আকাশ জোরা অগুনতি তারা। কবরস্থানটি বেশ বড় আর খোলামেলা হওয়ায় বাঁকা এক ফালি চাঁদের অল্প আলোতেও ছায়া ছায়া আঁধারে অনেক কিছু দেখা যাচ্ছে। মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। দূরের কোন গাছে বসে একটা হুতোম প্যাঁচা ডাকছে – ভূত, ভূত, ভূতুম !