গুজবটা বাংলাদেশে শোনা যাচ্ছে কি না জানি না। তবে আমরা এরকম একটা গুজব শুনছি জোরে সোরে। গুজবটি মুহাম্মদ ইউনুসকে নিয়ে। গুজবের শুরু নিশ্চয়ই ডেইলি স্টারের 15 বছর পূর্তি উপলক্ষে দেয়া তার বক্তৃতার সূত্রেই। কিন্তুতার বক্তৃতায় এমন কিছু ইংগিত ছিল যা গুজবটিকে অনেক বেশি সত্যের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে।
যাহোক, আগে গুজবটি বলি। গুজবটি হলো যে, বাংলাদেশে জাতীয় সরকার তৈরি করার জন্য একটি আন্তজর্াতিক প্রচেষ্টা চলছে। এই জাতীয় সরকার অনেকটা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতই হবে।
এই শতাব্দীতে এরকম প্রাণহানি বোধহয় শুধু মুসলমানদের মধ্যেই সম্ভব। কী মর্মান্তিক! পাকিস্তানে শিয়াদের আশুরার মিছিলে আত্মঘাতী বোমা হামলায় মারা গেছেন 22 জন। আর আফগানিস্তানে শিয়া-সুন্নী বিরোধে নিহত হয়েছেন 5 জন।
কে তাদের বুঝাবে তাদের ধর্মএকই। কেন এই অহেতুক দাড়ি কমা নিয়ে সংঘর্ষ? বৃথা প্রাণক্ষয়। পৃথিবীর সবচে' মহান ধর্মের চেয়েও একটি প্রাণের মূল্য বড়। কেনো এইসব ধর্মান্ধরা বুঝে না মানুষের জন্য ধর্ম, ধর্মের জন্য মানুষ নয়।
হঠাৎ দেখি নতুন ব্লগারদের তালিকায় আমার নাম। ভাবলাম সাইটের কোনো ভুল। আমি তো নতুন ব্লগার নই। প্রায় প্রথম থেকেই আছি। আমার নাম কেন তবে তালিকায়?
নাহ হীরক লস্করই তো লেখা। ভালো করে খেয়াল করলাম ছোট্ট একটু পার্থক্য আছে। লস্কর টা ষ দিয়ে লেখা। অর্থাৎ লষ্কর। ক্লিক করে তার ব্লগ সাইটে গেলাম। ব্লগের নাম ধ্যাতেরিকা। তা ঠিক আছে কিন্তুহীরক লষ্কর নামে এই সাইটে বোধহয় লেখা ঠিক নয়। বোঝাই যাচ্ছে এটা তার ছদ্মনাম। সুতরাং শুধু ষ দিয়ে প্রায় কাছাকাছি নামে ব্লগ লেখা তার
নীরবতা বা পুষ্পার্পণ যেহেতু কোনো খারাপ কাজ নয় সেহেতুভিন্ন ধর্মের বা ভিন্ন সংস্কৃতির বলে একে বন্ধ করা যাবে না। এটি প্রচলিত। এখানে কাজের নিয়ত দেখতে হবে। পাশ্চাত্য নিজেই প্রাচ্য থেকে বহুকিছু শিখেছে। এমনকি আরব বিশ্বের জ্ঞান পাশ্চাত্য রক্ষা করেছে তাদের মধ্যে তারপর অন্ধকার যুগ পার হওয়ার পর আবার আরব বিশ্বকে সেই জ্ঞান দিয়েছে। একই পৃথিবীর অভেদ মানুষ আমরা। জ্ঞান বা চিন্তার উৎকর্ষেধর্মের সূত্র খুঁজে বাড়াবাড়ি করা গাধামির পরিচয়। শুধু নীরব দাঁড়িয়ে থাকতে যদি আ
ওয়ালি ভাইয়ের লেখা পড়লাম, ভাষা আন্দোলনে নিহত ব্যাক্তিদের কিভাবে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে এ বিষয়ে।
আমার আপত্তির কারন বস্তুতঃ 2টা।
প্রথমত ঃ ভাষা আন্দোলনের সম্পুর্ন মঞ্চ জুড়ে আছে বাঙ্গালি সংস্কৃতির জন্য ক্রমাগত সংগ্রাম। সংঘাত ,বিদ্্রোহ, প্রতিবাদ বাঙ্গালি সংস্কৃতিকে রক্ষার। এবং এর চালিকাশক্তি ধর্মপরিচয়বিহীন সেসব মানুষেরা যারা নিজের ভাষার জন্য লড়েছে, তারা ধর্ম নিরপেক্ষ একটা আন্দোলন করেছে, এবং এই আন্দোলনে নিহত ব্যাক্তিদের কিভাবে সম্মান দেখাতে
একাত্তরের যুদ্ধে জিতেও আমরা পূর্ণ স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি। পাকিস্তানকে হারানোর প্রতিটি ঘটনা তাই এখনও উৎসবের আনন্দ এনে দেয় মনে।
ফুটবলে হয়তো পাকিস্তান কিছুট দুর্বল। তবে এবারের সাফ গেমসে যথেষ্ট কোমর বেঁধেই তারা এসেছিল। কৌশলে তাদেরকে হারিয়ে যথেষ্ট আনন্দ দিয়েছে জাতীয় ফুটবল দল।
ক্রিকেটে সেই যে পাকিস্তানকে হারানোর আনন্দ 1999তে-বাংলাদেশে আরেক বিজয় দিবস এনে দিয়েছিল। হোক না উনুর্ধ 19 ক্রিকেট ম্যাচ। বাংলাদেশের কিশোর আবার আমাদেরকে এক আনন্দবার্তা এনে দ
মুসলিম ও অমুসলিমরা কি একই সাথে কোনো অনুষ্ঠানে গিয়ে সমান আনন্দ পেতে পারে? বিশেষত: যদি সেখানে বিষয় হয় ধর্ম।
আল্লাহ মেড মি ফানি'র দুই দাড়িওয়ালা কমেডিয়ান মনে করেন আনন্দিত হওয়াতে কোনো বাধা নেই। আল্লাহ মেড মি ফানি এখন ব্রিটেনের মুসলিম সংখ্যা গরিষ্ঠ এলাকা গুলোতে অনুষ্ঠান করছে। বিপুল প্রশংসিত হচ্ছেও তারা। আমেরিকার বাসিন্দা এই দুই মুসলিম অমুসলিমদেরকে দৃষ্টান্ত দিয়ে বুঝাতে সক্ষম হয়েছে যে মুসলিমরা জীবনের হালকা দিকগুলো নিয়ে হাসতে জানে। হাসাতে জানে।
ইস
সৈয়দপুরে গ্রেফতার হওয়া জঙ্গিদের ছবি দেখুন। দেখুন কত সাধারণ পরিবার থেকে তারা এসেছে। এদের মধ্যে আত্মঘাতী সদস্যও রয়েছে। বয়স তার মাত্র 17। সব পত্রিকাতেই এ সংবাদ এসেছে। আমি বিস্তারিত দিচ্ছি না। আমি শুধু বিবেকবান ও বুদ্ধিমান পাঠকদেরকে কিছু প্রশ্নের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিতে চাই। তবে শুধু তাদের জন্যই এই প্রশ্ন যারা বিশ্বাস করেন, প্রশ্ন করা, উত্তর দেয়া, যুক্তি, তর্ক ও বিতর্কের মধ্য দিয়ে সমাজ এগিয়ে যায়। অন্ধবিশ্বাসীদের প্রশ্নে কোনো আগ্রহ থাকে না। তাদের মন
ভালো একটা রসিকতা শুরু হয়েছে দেখা যায়, জটিল রসিকতা, আমি নাকি সবার পোষ্টে ধর্মবানি ঝাড়ছি আর পবলিক খাচ্ছে, শালার পাবলিকও।
একুশে ফেব্রুয়ারি এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। কিন্তু পৃথিবীর অন্যান্য দেশে তা খুব একটা জোরের সাথে প্রচারিত হয় না। এর দায় আসলে বাঙালির ও বাংলাদেশের।
মাতৃভাষা দিবসকে জনপ্রিয় করে তুললে নিজেদের এক মহান সংগ্রামকে মহত্তর করে তোলা হয়। সুতরাং বাংলাদেশে একুশে ফেব্রুয়ারির অনুষ্ঠান পালন করা উচিত আরো বেশি বিদেশি পর্যটক, কূটনৈতিক, সংস্কৃতিসেবী, সাংবাদিকদের নিয়ে। যাতে এখবর তাদের দেশে পেঁৗছে।
আর প্রবাসী বাঙালিরা এখন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করতে প