যে শহরে আমার শৈশব কেটেছে সন্ধ্যে বেলায় শিয়ালের হুক্কাহুয়া শুনে, ছুটির দিনে ঘুম ভেঙ্গেছে লেসফিতাওয়ালার দরাজ কণ্ঠে তা বিশ্বায়নের মোড়কে কতটুকু ঢেকেছে তা হয়ত প্রতিনিয়তই অনুভূত হবে। তবুও ভাবি নিশ্চিত দেখতে পাবো আমগাছের ডালে বানানো কাকের বাসা, সিঁড়িকোঠার দেয়ালের খাঁজে চড়ুইয়ের বাসা। শুনতে পাবো আবার কাঁচা বাজারের কোলাহল, বন্ধু পরিবেষ্টিত হয়ে হাতে তুলে নিতে পারবো আবার টং ঘরের চায়ের পেয়ালা।
একরাশ গল্প নিয়ে আমি ফিরে আসবো বর্তমানে। হৃদয়ের বায়োস্কোপ খুলে দেখব আমি আমার আবাল্য প্রিয় ঢাকা, অসম্ভব ভালবাসার নগরী। কিছু সময়ের জন্য ভুলে যাবো শেকড়বিহীন প্রবাস জীবনের বেদনা।
প্রথম চাকমা ভাষার চলচ্চিত্র 'মর ঠ্যাংগারি' সেন্সর বোর্ডে আটকে যাওয়ার খবর শুনে আমার মনে কৌতুহল জেগেছে সেন্সর বোর্ডে সাধারণত কি কি কারণে কাটাকুটি করা হয় সেটি জানার জন্য। তারপর তাদের ওয়েবসাইটে গিয়ে এ বছরের কাটাকুটির তালিকা পেয়ে ভাবলাম সবাইকে দেখাই। বেশ ইন্টারেসটিং!
নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে একবার রক্ষা পেয়ে আবারও যাঁরা সেই মৃত্যুগুহায় ফিরে যাবার জন্য বারংবার জেদ করতে পারে এবং মৃত্যুকে নির্দ্বিধায় আলিঙ্গন করতে পারে, তেমন লোককে উন্মাদ বা আত্মঘাতী বলা যায়, কিন্তু ১৯৭১ তাঁদের বলেছে সংশপ্তক। সেই দুর্লভ সংশপ্তকদের রক্ত দিয়ে তৈরী বাংলাদেশের পতাকার লাল বৃত্তটি। তাঁদের যা দেবার তাঁরা সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে দিয়েছেন। যা কিছু পাবার, যা কিছু লাভের, লোভের, উপভোগের সব আমাদের জন্য রেখে গেছেন। আমরা তাঁদের দেয়া বিজয় নিয়ে উল্লাস করি, দম্ভ করি, গর্ব করি, দখলবাজি করি, এমনকি তাঁদের দেয়া বিজয়ের ফুলফল নির্বিচারে বিনাশও করি। অথচ বিনিময়ে আমরা তাঁদের মর্মভেদী আত্মত্যাগের ভুলে যেতে কার্পণ্য করিনা। সেরকম একজন হোসেন ফরিদের গল্প পড়বো আজ।
[justify]সাধারণত এতটা ভোরে আমার ঘুম ভাঙেনা, কিন্তু সেদিন ভাঙল। চোখ মেলে দেখি শিয়রের দিকের দরজার পাল্লাদুটো ঠেলে এক শিরশিরে হাওয়া ঘরে এসে ক্রমাগত দুলিয়ে যাচ্ছে তাদের। কাল রাতে কি তবে দরজার খিল আটকাতে ভুলে গিয়েছিলাম?
বাজারে তুমুল উত্তেজনা। পাকিস্তানের জনৈক ব্যারিস্টার জাভেদ ইকবাল জাফ্রি মামলা ঠুকে দিয়েছেন এই বলে যে, হে লন্ডন। পবিত্র পাঞ্জাবের কোহিনূর ফিরত চাই দিতে হবে, কেননা তা জোরজবরদস্তী করে শিখ মহারাজা রঞ্জিত সিং এর নাতির অবুঝ কোল থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।
সাব্বাস। আই লাইক দিছ। আইসেন পাঠক পাথরের মালিকানা যাচাই করি। আপনি বিজ্ঞ বিচারক আমি নিরপেক্ষ মোক্তার। আছেন সাথে পাকিস্তানি ব্যারিষ্টার। দেখা যাক কিডা পাপী কিডা জামিনদার।
সম্প্রতি সবাই যে দাবী তুলছেন পাকিস্তানের সঙ্গে সবরকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার। জাতীয় দৈনিকেও লেখালেখি হচ্ছে, মিটিং সেমিনারে আলোচনা হচ্ছে। সেই দাবী আমরা করে আসছি আরো অনেক আগে থেকে। দুই বছর আগে এই দাবী তুলে ব্লগ লিখেছিলাম। কোনো কাজ হয় নাই।
[justify](২)
চাঁদের অমাবশ্যা’উপন্যাসের ‘যুবক শিক্ষক’একটি অপরাধ চাক্ষুষ করাবার পর থেকে যেতে থাকে এক সীমাহীন ভাবনাপুঞ্জির ভেতর দিয়ে। এই ভাবনার নির্মাতা যে সমাজ তা তাকে প্রতিনিয়ত বলে পলায়নের কথা। বাঁশঝাড়ে মৃতদেহ এবং তার পরপর কাদেরকে দেখার পরই সে তার মনের ভেতরে নিশ্চিত জেনে যায় যে কাদেরই এই হত্যার সংঘঠক। কিন্তু বড়বাড়ির আশ্রিত যুবক শিক্ষকের মনে কাদের সমন্ধে রয়েছে এক অবিশ্বাস মিশ্রিত শ্রদ্ধার ভাব। অবিশ্বাসটি হচ্ছে কাদের সমন্ধে দরবেশ বিষয়ক প্রচারণার বিপরীতে। আর শ্রদ্ধা রয়েছে দাদাসাহেব যে কিনা বড়বাড়ির মূল কর্তা এবং যুবক শিক্ষকের অন্ন সংস্থানের যোগানদাতা, কাদেরের প্রতি তার অপত্য স্নেহ ও শ্রদ্ধার ভাবের কারণে। কাদের যে দরবেশ এই বিষয়টি মূলত দাদাসাহেবের প্রচার। তিনি তাঁর বংশের গৌরব অক্ষুণ্ন রাখতে নিপুন কৌশলে ব্যবহার করেন ধর্মকে।
এখন সে কতো রাত;
এখন অনেক লোক দেশ-মহাদেশের সব নগরীর গুঞ্জরণ হ'তে
ঘুমের ভিতরে গিয়ে ছুটি চায়।
পরস্পরের পাশে নগরীর ঘ্রাণের মতন
নগরী ছড়ায়ে আছে।
কোনো ঘুম নিঃসাড় মৃত্যুর নামান্তর।
অনেকেরই ঘুম
জেগে থাকা।
নগরীর রাত্রি কোনো হৃদয়ের প্রেয়সীর মতো হ'তে গিয়ে
নটীরও মতন তবু নয়;-
প্রেম নেই- প্রেমব্যসনেরও দিন শেষ হ'য়ে গেছে;
১৯৭১ সালের ২৮ এপ্রিল। সেদিন জাতীয় নিরাপত্তা পরামর্শক হেনরি কিসিঞ্জার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম পাকিস্তান সংক্রান্ত পলিসির ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট নিক্সনকে একটা মেমোরেন্ডাম পাঠিয়েছিলেন। মেমোরেন্ডামে তিনটি অপশনের কথা লেখা ছিল।