এই লেখাটা মাশীদ আপুর জন্যে। পৃথিবীজুড়ে চলতে থাকা অশান্তি ও অস্থিরতার পাশাপাশি নিজের ব্যক্তিগত আবেগ, দুঃখ আর সীমাবদ্ধতা যখন চারপাশটা ভীষণ অন্ধকারে ঢেকে দিয়ে গেছে, সেই সময়ে তিনি দিনের পর দিন উৎসাহ দিয়ে গেছেন মরা কলমে কালির প্রাণ দিতে। এক প্লেট ফুচকা কিন্তু পাওনা থাকলো...
এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকার "ফ্ল্যাগ অব বাংলাদেশ" লেখাটাতে কিছু অস্পষ্টতা দেখলাম। সেখানে লেখা হয়েছে "বাংলাদেশের পতাকা পাকিস্তানের পতাকার মত গাঢ় সবুজ"। ব্রিটানিকার এই নিবন্ধে আরও লেখা হয়েছে "প্রায় সবার কাছে সবুজ হচ্ছে ইসলাম ধর্মের প্রতি বিশ্বাসের প্রতীক। অফিসিয়ালি বাঙ্গালিদের দেশটা ধর্মনিরপেক্ষ, সেজন্য তারা সবুজকে প্রকৃতি ও তারুণ্যের
[justify]বিদেশে আসার পরেই লোকে যে জিনিসটার অভাব বুঝতে পারে সেটা হলো দেশি রান্না। দেশে থাকতে আপনি হয় তো নিয়মিত রান্না করে এসেছেন অথবা রান্নাঘরে উঁকি দিয়েছেন শুধুমাত্র কি খাবার আছে সেটা একটু চেখে দেখতে। পিজ্জা হাট, কেএফসির প্রতিটা ইঁট হয় তো আপনার পায়ের শব্দ চেনে, তাই ভাবছেন বিদেশে গেলেও আপনার সমস্যা হবে না। কিন্তু সত্যি সত্যি এখানে আসার পরে আপনার উপলব্ধি হবে, "এই কেএফসি তো সেই কেএফসি না।"
শীতের সকালের জমাট কুয়াশা ভেদ করে রোদ ঝলমল করতে দশটা বেজে যায়। সুতরাং আমাদেরও বেরুতে হলো বেশ বেলা করেই। ইছামতীর আঁকাবাঁকা গতিপথকে অনুসরণ করে বয়ে গেছে প্রশস্ত মেঠোপথ। খালাতো ভাইকে সাথে নিয়ে চলেছি মাঠপানে, পাখির খোঁজে। মাঝপথে এক চাষি ভাই শামখোলের খবর দিলেন। শামুকভাঙার দলটি নাকি আস্তানা গেঁড়েছে ইছামতীর তীরে। আমাদের এলাকায় শামখোলকে মানুষ শামুকভাঙা বলে। ছোটবেলায় দূর আকাশে উড়ন্ত শামুকভাঙা দেখেছি বহুবার। গ্রামের বিলে নাকি শামুকভাঙা থাকে। অতদূরের রাস্তা ভেঙে দেখতে যাওয়া আর হয়ে ওঠেনি। তাই সামন-সামনি দেখার সুযোগ পাইনি। এতদিনে পেলাম।। এসময় ইছামতীর পানি হাঁটুর নিচে নেমে যায়। তাই ওদের পর্যপ্ত খাবার মিলবে।
ভদ্রলোকের একটি চমৎকার নাম আছে, তার স্কুল কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ নম্বরযুক্ত সনদপত্রগুলিতে সে নাম জ্বলজ্বল করে লেখা রয়েছে।তাছাড়া কর্মক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখবার জন্য তাকে আরো যে ক’টি সনদ দেওয়া হয়েছে সেসব সনদপত্রে বা কর্মক্ষেত্রে তিনি যে ঘরে বসেন সে ঘরের দরজার ওপর নেম প্লেটে সে নাম লেখা রয়েছে, আরো বিভিন্ন জায়গায় স্বর্ণাক্ষরে বা রৌপাক্ষরে নয়তবা সাধারণ কালিতে তার নাম বিভিন্ন ডিজাইনে লেখা রয়েছে।
অনুবাদ- (ভাঙ্গাচোরা অনুবাদ)
“আমার পাকিস্তানী-স্বত্বায় আজ রক্তের অশ্রু বয়ে যাচ্ছে”- আজ এই মুল্যবান উক্তি করেছেন মাননীয় মন্ত্রী জনাব চৌধুরী নিসার আলী খান সাহেব। এই উক্তির মর্মার্থ আপনারা স্বভাবতই বুঝতে পারছেন।
কিছুক্ষণ আগে একটি জরিপের লিংক আমার হাতে আসে। এটি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের একজন মাস্টার্স শিক্ষার্থী তৈরি করেছেন (আমি ওনার পরিচয় জানার চেষ্টা করিনি তবে ওনার বন্ধুর মাধ্যমে আমার মতামত জানিয়েছি)। তার পরিকল্পনা প্রাথমিক ভাবে নিউএজ পত্রিকায় এটির উপর প্রতিবেদন প্রকাশ করা আর পরে সম্ভব হলে কোন জার্নালে প্রকাশ করা।
পৃথিবীজুড়ে বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় প্রকাশ হওয়া উচ্চমানের গবেষণার একটি তথ্যভান্ডার বছরমাফিক প্রকাশ করে নেচার প্রকাশণা সংস্থা। উচ্চমানের (হাই ইমপ্যাক্ট) ৬৮ টি বিজ্ঞান পত্রিকায় প্রকাশিত গবেষণার দিকে নজর দেয়া হয় এই তথ্যভান্ডার তৈরিতে। গত এক বছরে বিভিন্ন দেশ এবং প্রতিষ্ঠান থেকে কয়টি উচ্চমানের গবেষণার নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলো কী নিয়ে, কোন কোন প্
যে দেশে বসবাস করেন সে দেশের আইন, সামাজিক রীতিনীতি, মূল্যবোধ, ভালবাসা-খারাপবাসাকে গুরুত্ব দেবেন না, তা কি হয়? জার্মানিতে বসে হেইল হিটলার আপনি বলতে পারেননা। ভুল বললাম, পারবেন না কেন?
কিন্তু এতোকিছুর পরেও থেমে থাকেনি তার বিচার। চট্টগ্রামের এই ত্রাস, রাউজান এলাকার দুর্দমনীয় আতংক শেষ পর্যন্ত ফাঁসির দড়ি গলায় নিয়ে ঝুলেছে। বিচার পেয়েছে তার হাতে নির্যাতিত, নিহত,অত্যাচারীত শত শত মানুষ, সহস্র পরিবার। পয়সা আর গ্ল্যামারের ঝলমলে আলোয় ঝলসে যাওয়া মিডিয়া কোনদিন বলবেনা এইসব অসম সাহসী সাক্ষী যারা প্রাণের ভয় তুচ্ছ করে, সব হারাবার সম্ভাবনাকে অসীম শক্তিতে মাড়িয়ে দিয়ে আদালতে এসে সাক্ষ্য দিয়েছেন এই অকল্পনীয় দানবের বিরুদ্ধে তাদের কথা। তারা ব্যস্ত হুম্মাম কাদের নামের চৌধুরী পরিবারের আরেকটা অশ্লীল লোকের দম্ভভরা সাক্ষাৎকার নিতে, সালাউদ্দীনের শেষ খাবারের মেন্যু, তার শেষকৃত্যের খুঁটিনাটি বর্ণনা নিয়ে।
দিনের শেষে এই জ্যোৎস্নাবালা এই গোপাল দাশেরাই বাংলাদেশ। মিডিয়া নামের যাত্রার প্রিন্সেসদের নৃত্য শেষ হবার অপেক্ষা না করে এরাই সালাউদ্দীন কাদের চৌধুরীর অটল সাম্রাজ্য ধংশ করে, সম্মিলিত হাতে ফাঁসির দড়ি পরিয়ে দেয় এই দানবের গলায়।
মধ্যগহীরা, সুলতানপাড়া, উনসত্তরপাড়া গ্রাম আপনাদের আত্মত্যাগ আজ বাংলাদেশকে নতুন জীবন দিল। জয় বাংলা।