দরজা খুলতেই এক সোনালি বোলতা ফরফর করে এসে স্বাগত জানাল আমাদের- এসো এসো। এতদিন এইখানে একলাই ছিলাম। বেশি বড়ো ঘরে একলা বসবাস বড়োই বিষণ্ন বিষয়। এসো এসো। ছাদের কোনায় ছোট একটা আলাদা ঘর বানিয়ে আমি থাকি ছানাপোনা নিয়ে। তোমরা তো আর ছাদে থাকো না তাই ঠেলাঠেলিরও কোনো আশঙ্কা নাই দুই পরিবারে। এসো...
[justify]
দাসপার্টি নিয়ে কাজ শুরু করার প্রথম থেকেই একটা মানুষকে খুঁজছি।
দাসপার্টি সংক্রান্ত প্রকাশনা ও আলাপচারীতা থেকে জেনেছি- জগতজ্যোতি দাসের সবচেয়ে আস্থাভাজন ও ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা ছিলেন আঠারো/ উনিশ বছরের এক তরুন। নাম তার ইলিয়াস চৌধুরী। জ্যোতির সাথেই যুদ্ধের প্রশিক্ষন নিয়েছেন এবং প্রতিটি যুদ্ধে তার সাথে ছিলেন। শেষ যুদ্ধে ও শেষ পর্যন্ত ইলিয়াসই ছিলেন একমাত্র তার সাথে। ইলিয়াস নিজে ও গুলীবিদ্ধ হয়েছিলেন বুকে কিন্তু জ্যোতিকে একা ফেলে যাননি। তার কমাণ্ডার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলে পর, বিলের পানিতে কমাণ্ডারের মৃত শরীর ডুবিয়ে গুলী করতে করতে পিছিয়ে এসেছিলেন- তখনো তার নিজের বুক থেকে ও রক্ত ঝরছে।
সালেহ চৌধুরী বলছিলেন- ১৬ নভেম্বর জ্যোতির মৃত্যুর পর ইলিয়াসরা যখন কুঁড়ি-বলনপুরের ক্যাম্পে ফিরে আসেন তখন তার বুকের ক্ষত দেখতে পান। বাম পাশে গুলী লেগে বের হয়ে গেছে আর এক ইঞ্চি দূরে হলেই হৃদপিন্ড ছেদ করতো। সালেহ চৌধুরী তাকে টেকেরঘাট পাঠিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, সেখানে তখন অস্থায়ী হাসপাতাল গড়ে উঠেছে। এ ছাড়া প্রয়োজনে শিলং ও পাঠানো যেতো।
কিন্তু ইলিয়াস যেতে অস্বীকৃতি জানান। তিনি যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চান, দাদার খুনের প্রতিশোধ নিতে চান। চিকিৎসার জন্য আর কোথাও না গিয়ে স্থানীয়ভাবে ব্যান্ডেজ করেই ইলিয়াস যোগ দেন দাসপার্টির পরবর্তী একশনে এবং দেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত পরবর্তী একমাস যুদ্ধ করতে থাকেন।
বাংলাদেশ ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ খেলে ২৭ অক্টোবর, ১৯৮৮ সালে চট্টগ্রামের মাঠে। ১৯৮৮, ক্রিকেট তখনও আমাদের দেশে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। তখনকার ক্রিকেটের উত্তেজনা মানেই ছিল বিদেশীদের খেলা নিয়ে উচ্ছ্বাস; বিশেষ করে ভারত আর পাকিস্তানের খেলা। যাইহোক ঐ সময়টায় খেলায় অংশগ্রহন করাটাই ছিল আমাদের জন্যে চরম সার্থকতা। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই অন্যান্যরা তাদের দ্বিতীয় সারির দলকে পাঠাতো আমাদের সঙ্গে খ
কাঁচা ঝাল হিসেবে একটা জিনিসই ব্যবহার করতাম পটপটির ফল। যার ভালো নাম রুয়েলিয়া। রুয়েলিয়ার ফল নিয়ে ছিল বিরাট আগ্রহ। কাঁচা পাকা দুই রকম ফলেই আমাদের আগ্রহ। কাঁচা ফল দিয়ে বানাতাম কাঁচা মরিচ। তবে বলে রাখি, রুয়েলিয়র ফল কিন্তু মোটেও ঝাল নয়। তবু কল্পনার রঙে তাকে ঝাল বানাতে আপত্তি কোথায়!
রুয়েলিয়া বুনো গুল্ম, একেবারে দুষ্প্রাপ্য নয়। কিন্তু তবুও এর ফল সহজে পাওয়া যেত না। কারণ ওগুলো সাবাড় করার জন্য আমাদের মতো ছেলেমেয়ের অভাব ছিল না। ফল আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকলেও ফুল নয়। ফুল দেখতে সাদামাটা। অবশ্য সেটা কিশোর চোখে। আজ চোখ বদলেছে। তাই রূপ বদলেছে রুয়েলিয়ার ফুলেরও। রীতিমতো মুগ্ধ করার মতো এক ফুল।
নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে যখন আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র তখন একদিন টেলিভিশনেই দেখিয়েছিল এই তথ্যচিত্রটি। আমার দেখা হয়নি সেদিন, কিন্তু দেখলাম আমার ডিপার্টমেন্টের এক বন্ধু মেজর খালেদ’স ওয়ার দেখে উচ্ছ্বাস আর উত্তেজনায় চঞ্চল হয়ে উঠেছে। তথ্যচিত্রটির বর্ণনা দিয়ে আমাকে সে বললো, রুমিকে দেখা যায় এই ছবিতে, তার কথাও শোনা যায়। “একাত্তরের দিনগুলি”র রুমিকে দেখতে পাবো, তার কন্ঠও শোনা যাবে এই কথা চিন
এবার কলেজ ভর্তি প্রক্রিয়া আগের চেয়ে সহজে করানোর জন্যে অনলাইনে আবেদন ও টেলিটক মোবাইলের মাধ্যমে ফি প্রদান ব্যাবস্থা করে হয়েছিল। সেই জন্যে আলাদা একটি ওয়েবসাইট ( http://www.xiclassadmission.gov.bd/ ) বানানো হয়েছে। কিন্তু শুরু থেকেই নানা রকম সমস্যায় জর্জরিত ছিল এই ওয়েবসাইট। হয়ত সময় স্বল্পতার কারণে এভাবে কোন পরিকল্পনা ছাড়াই ওয়েবসাইটটি পাবলিশ করা হয়েছে। কিন্তু এভাবে তাড়াহুড়া করতে গিয়ে সারাদেশের এতো ভর্তি
খ্যাতিমান অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রতি চোখে পড়ল। যেহেতু ওনার লেখা ভাল লাগত তাই পড়ে ফেললাম। মোটামুটি অনেক কিছুই ভাল লেগেছে। কিন্তু, পড়ার সময় সামান্য কিছু খটকা লাগায় এই লেখা। এটি আলোকিত বাংলাদেশে ২০১৫ সালের ২৩শে জুন প্রকাশিত হয়। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন তৈমুর রেজা। যেসব প্রশ্ন-উত্তরে খটকা লেগেছে সেগুলো আমি উদ্ধৃত করে তার নিচে আমার মন্তব্য জুড়ে দিচ্ছি।
লুই কান বলেছিলেন, “শহর সবসময় অপরিকল্পিত ভাবেই গড়ে ওঠে – তবে আমরা একটা শহরকে নগরে রূপান্তরিত করতে পারি।” এর মানে কিন্তু এই নয় যে অপরিকল্পিতভাবে নগর গড়ে ওঠে না। অপরিকল্পিতভাবেও নগর গড়ে উঠতে পারে। তবে তা শেষ পর্যন্ত ঠিক কতটা বাসযোগ্য থাকে সেটাই প্রশ্ন।
ছাত্র হিসেবে খুব অসাধারণ ছিলেম না কখনই। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছি বলতে গেলে প্রায় মনের আনন্দেই। মাধ্যমিকে বেশ কয়েকজন অসাধারণ শিক্ষকের সান্নিধ্য পাবার সুযোগ হয়েছিল। পড়াশোনাটা যে বুঝে বুঝে করতে হয় এবং তার মাঝেই যে পড়াশোনার প্রকৃত আনন্দটা নিহিত সেটা উপলব্ধি করেছিলাম সেই শিক্ষকদের সাহচর্যে। উচ্চ মাধ্যমিকে সেই শিক্ষকদের সাহচর্য না পেলেও নিজের থেকে পড়াশোনা করতে খুব অসুবিধা হয় নি। তবে উচ্চ
আবারো বুয়েটে পরীক্ষা পেছানো দেখে অনেক বছর আগের একটা ঘটনা মনে পরল। একটা কোচিং এর মালিককে আমি দেখেছিলাম বুয়েটের ছাত্রনেতাদের প্রভাবিত করে পরীক্ষা পেছানোর আন্দোলন শুরু করাতে। এই প্রভাবিত করার আড়ালে টাকা-পয়সারও লেনদেন হয়েছিল কিনা সেটা অবশ্য আমি জানি না।