উঠানের একপাশে রেবেকার লাশ রাখা। দু'টো ভারি বিছানার চাদর দিয়ে লাশের খাটিয়া ঘিরে দেওয়া হয়েছে। লাশের মাথার কাছে রাখা চেয়ারে একজন বয়স্কা মহিলা বসা। মহিলার হাতে লাল দানার সুন্দর একটা তজবিহ। মহিলা তজবিহ জপছেন আর মাঝে মাঝে বলছেন, ‘মুদ্দার গোছল সারা হইছে, আপনারা সবাই দূর থেইকা দোয়া করেন, ম্যায়া মুদ্দারে পুরুষমানুষ দ্যাখতে পারবো না।’ নারী-পুরুষ নির্বিশেষে কারো মধ্যে লাশ দেখবার কোনো আগ্রহ আছে বলে মনে হচ্ছে
১
"মন্ত্র কী জানো তো?"
"না, কী?"
জটাধারী মাটিতে আঁক কষতে কষতে মুখ টিপে হাসলেন আর গুনগুনিয়ে গাইতে শুরু করলেন। ঘুরঘুট্টি অমাবস্যায় মশালের আগুনে তার ব্যস্ত হাত মাটিতে চক্রাকারে কী যেন এঁকে চলেছে। জটাধারী গাইছেন,
"স্বপন পাড়ের ডাক শুনেছি, হু হুম হু হু হু হুম ..
কেউ কখনো খুঁজে কি পায়.. হু হুম হু হুম হুম"
এক পা করে এগোই ওই ছোট ছোট ঘাসের ফাঁক দিয়ে কী যেন উচ্চিংড়ের মতো লাফিয়ে পালিয়ে যায়। খেয়াল করে দেখি উচ্চিংড়ে নয়। ছোট্ট ছোট্ট ব্যাঙ। এতদিনে আবার দেখা। পারভেজকে বললাম, ‘থাম, ছবি তুলব।’
তুললাম ও। কিন্তু এই ছবি দেখালে কেউ বিশ্বাস করবে না এগুলো এত ছোট। অতএব একটা ধরে হাতে তুলে নিলাম।
তানভীর আহমেদ।
২৭ মে ভাষণ প্রদানকালে বৃটেনের রাণী
কমলকুমার মজুমদারের উপন্যাসটা অর্ধেক পড়ে সেই যে কেজো অকেজো বিষয়ের পিছু ধাওয়া করে মেলা ইতং বিতং কাজকম্মের চিপায় খাবি খাচ্ছিলাম তো খেয়েই যাচ্ছিলাম। সেখান থেকে নিজস্ব আরাম কেদারায় ফেরার তাগিদ এবং তারপর ধপাস। হাতে অতি অবশ্যই একখানা বই। খুব পছন্দের একজন বইখানা নিয়ে বসতে বাধ্য করেছেন। তিনি ঋতুপর্ণ। দ্য ঋতুপর্ণ ঘোষ। কাকতলীয়ভাবে কমলকুমার মজুমদার যার স্কুলবেলার ক্রাফট্ টিচার। যে মাস্টার মশাইয়ের ' কী হচ্ছেট
ব্লগরব্লগর টাইপের এই লেখার শিরোনাম কি দিব তা নিয়ে বেশ দোটানায় ছিলাম। অনুভুতিকাতর বাঙালির আত্মসম্মানে বিন্দুমাত্র আঘাত দিয়ে মনঃকষ্টে ভোগার ঝামেলা এড়াতে তাই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্বের আশ্রয় নিতে হল। জানিনা কতটুকু ক্ষোভমিশ্রিত হৃদয় নিয়ে উনি অবৈধভাবে বিদেশগমনেচ্ছু বাংলাদেশীদের ‘মানসিক সুস্থতা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বিগত কয়েক মাসে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ‘বাংলাদেশ’ আর ‘বাংলাদেশী-বংশোদ্ভূত’ শব্দ দুটি নিয়ে বেশ মাতামাতি হচ্ছে। জলপ্লাবন আর সাইক্লোনের দেশ নতুন করে বিশ্বমণ্ডলে রাতারাতি পরিচিতি পাচ্ছে ‘অবৈধ’ আর ‘জালিয়াতি’ শব্দযুগলের শিরোনামে। দুর্নীতির শীর্ষস্থান আমাদের হাতছাড়া হয়েছে ঠিকই কিন্তু নৈতিক অবক্ষয়ের কালিমা মুছেনি আজও।
প্রথম জীবন.
প্রথম জীবনটা দারিদ্রক্লিষ্ট। খুব কষ্ট করে পড়াশোনা, তীব্র অভাব আর টানাটানি। টিউশানি করে পড়ার খরচ, একাংশ সংসারেও যায়। সমাজ ভাঙার স্বপ্ন দুচোখে। পড়াশোনার সাথে সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থার আন্দোলনে। নতুন সমাজ গড়ে তোলার আকাংখা। দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার ছেয়ে যায় স্বপ্ন শ্লোগানে। সারা রাত চিকা মেরে ভোরবেলা ঘুম। উই শ্যাল ওভার কাম, উই শ্যাল ওভার কাম সাম ডে.... নতুন দিন একদিন আসবেই। পূর্ব দিগন্তে নতুন সূর্য।
আজকে খবর পড়তে পড়তে হঠাৎ করেই একটা খবরে চোখ আটকে গেল, দেশে এখন নাকি গণতন্ত্রের সুবাতাস বইছে! এবার ভালোভাবে খবরটা পড়ে দেখি, ওমা!
ভূমিকাঃ
এই সিরিজ এর আইডিয়া এবং গুতাগুতি করে আমাকে দিয়ে অবশেষে শুরু করানোর একক কৃতিত্ব নজু ভাইয়ের। এমনকি সিরিজের নামকরণের প্রথম অংশটুকুও উনার করা। অর্থাৎ গিটার ইশ্কুল। যে মানুষ নিজের কন্যার নাম রাখতে দুই বছর পার করে দেন, সেই তিনিই কিনা জিজ্ঞেস করার পর “খাড়ান, কইতাছি” বলে মাত্র দুই মিনিটের মাথায় নাম হাজির করে ফেললেন। তো, এমন ডেডিকেশন নিয়ে কেউ গুতাগুতি করলে আর কাহাতক আলসেমি করা চলে?
তবে কিনা, লিখতে বসেই হলো আসল ঝামেলা। অন্যকে জ্ঞানদানমূলক পোস্ট লিখতে গিয়ে বুঝতে পাল্লুম নিজে একটা অকাট মূর্খ। তারমধ্যে যে জিনিস হাতেগিটারে (ওই হাতেকলমে আরকি) দেখানোর ব্যাপার তা শুধু লিখে লিখে বোঝানো আরেক মুশকিল। তবে সে ঝামেলা ছবি, ভিডিও দিয়ে অনেকটাই দূর করা যাবে আশাকরি।