... অকস্মাৎ
পরিপূর্ণ স্ফীতি-মাঝে দারুণ আঘাত
বিদীর্ণ বিকীর্ণ করি চূর্ণ করে তারে
কালঝঞ্ঝাঝংকারিত দুর্যোগ-আঁধারে।
— নৈবেদ্য (৬৫), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
স্ফীতি একটা বুনো আগুন—একবার শুরু হলেই হলো, পুরো বন না জ্বালিয়ে থামবে না। আর বনটার যদি কোনো শেষ না থাকে? গুথ, স্তারোবিনস্কি এবং লিন্দে কহেন, মহাস্ফীতি'র (cosmic inflation) কারণেই নাকি আমাদের মহাবিশ্বকে অনস্তিত্বের বদলে অস্তিত্ব বেছে নিতে হয়েছে।
স্মৃতির প্রতি আমার পক্ষপাতিত্ত্ব আছে, বেদনা আছে, বিষন্নতা আছে, আছে গোপন ভালোলাগা আর অকৃত্রিম ভালোবাসা। তাই বলে যাপিত জীবনের সঞ্চিত সকল স্মৃতি অম্লান থাকেনি মনের ঘরে, কত স্মৃতি ধূসর হয়ে হারিয়ে গেছে নাম না জানা কোন সে অদেখা অতলে। হারিয়ে যাওয়া স্মৃতির মিছিলে যে স্মৃতি আজও এতটুকু অম্লান হয়নি, সেটি আজাদের ”ফুলের গন্ধে ঘুম আসে না’ পাঠের স্মৃতি। যে বই আমার ছেলেবেলা কে বিষন্নতায় ডেকে দিয়েছিলো, অন্ধকারে ড
দেশে কবি বেশী না কাক, এই গুরুতর প্রশ্নের উত্তর জানা নেই। তবে জানা আছে কিভাবে কবি হওয়া যায়, বিশেষ করে কিভাবে আধুনিক কবিতা লিখা যায়। এসো নিজে করির প্রথম লেখাই ছিল কিভাবে লেখালেখি করবেন। সেটার আবার বড় অংশ জুড়েই ছিল 'কিভাবে কবিতা লিখবেন'। সেখানে এনালগ ও ডিজিটাল উপায়ে কবিতা লেখার উপায় নিয়ে বেশ খানিক আলোচনা করেছিলাম। সফটওয়্যার দিয়ে কাব্য রচনার পদ্ধতি হাতে কলমে করে দেখিয়েছিলাম।প্রশ্ন হচ্ছে এতদিন পরে এসে
শুরুতেই বলি, এটা কোন গবেষণালব্ধ লেখা নয়। অতি সাধারণজনের উপলব্ধজাত ব্লগর ব্লগর যা কিনা পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠকদের সামনে পেশ করছি। লেখাটির দূর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে আপনার মতামতটিও প্রকাশ করুন, যাতে করে মোটামুটি একটা বিশ্লেষণ দাঁড়ায়। বিষয়টি নিয়ে আমারও জানার কৌতুহল প্রচুর। আশা করছি পাঠকদের সহযোগিতায় এবং সংযোজনে লেখাটি পূর্ণতা লাভ করবে।
প্রতিদিন সকালে উঠে এক কাপ চা সাথে সেদিনের দৈনিক। কাপের চা অর্ধেক নেমে আসতে একটা সিগারেট জ্বালানো, পেপারের শেষাংশ চলে আসে ততক্ষনে। তারপর খবর গুলো মাথায় নিয়ে চা ও সিগারেট শেষ করে প্রাত্যহিক ক্রিয়া সম্পন্ন। এরপর চিন্তা, কি করা যায় আজ!
টানা কয়েকদিন বিরক্তিকর মেঘের পরে আজকে সকাল থেকে টানা রৌদ্র পাচ্ছি। শীতের দিন রৌদ্রজ্জ্বল হলে ঠাণ্ডা বাড়ে। তাতে আমার তেমন সমস্যা নাই। আমার সমস্যা গোমড়ামুখো আকাশ থেকে টিপটিপ বৃষ্টিতে। মগজ আর মাংসপেশী একসাথে বোবা হয়ে যায়। আজ সারাদিনে কয়েকদিন ধরে এখানে ওখানে খাবলা খাবলা জমাটবাঁধা তুষার গলেছে। দুপুরের পর থেকে তাপমাত্রা নেমে যেতে সামনের বাড়িগুলিতে টালির ফাঁকে ফাঁকে চিমটি চিমটি সাদা টিকে গিয়ে পড়ন্ত রোদকে
সচলায়তনের সাথে আমার পরিচয় সচল নিলয় নন্দীর মাধ্যমে। ব্লগ কি, অল্প অল্প বুঝতে শিখেছি তখন। সচলয়াতনকে খুব খুব ভালো লেগে গেল। বিশেষ করে এতগুলো সমমনা মানুষ যেখানে লিখছেন, তার প্রতি অন্যরকম একটা ভালোবাসা তৈরি হওয়াই স্বাভাবিক। এর ভেতর থেকেও কিছু মানুষকে একেবারে আলাদা করে নিল মন। চরম উদাস, নজরুল ভাই, হিমুদা আরও কয়েকজন। কিন্তু হিংসে হলো একজনের ওপর। লোকটা এতকিছু পারে কী করে! আক্ষরিক অর্থেই পৃথিবীর পথে পথে ঘুরছেন আর লিখছেন। ঠিক পথে বসেই লেখা যাকে বলে। শুধু ভ্রমণ হলেও কথা ছিল। পাখি, জীব জগৎ, বই নিয়ে একের পর এক হৃদয়গ্রাহী লেখা বেরিয়ে আসছে তাঁর হাত থেকে। এমন মানুষকে হিংসে না করে পারা যায়। একেবারে ভালোবাসার হিংসে যাকে বলে। আক্ষরিক অর্থেই লোকটার প্রেমে পড়ে গেলাম। আর ভাবতাম, কবে তাঁর দেখা পাবো। সচলায়তনের প্রতিও প্রেমটা আরও গাঢ় হলো।
আমরা জাতি হিসেবে বড় দুর্ভাগা। স্বাধীনতার মাত্র ৩০ বছরের মাথায় স্বাধীনতাবিরোধীরাই রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। এবং আজও তারা এদেশে বিশাল রাজনৈতিক শক্তি।
স্বাধীনতার পর এই শক্তির উত্থান সবাই প্রথম অনুভব করে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়, যখন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতও যোগ দেয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য দলের সাথে।
আম্মুর কথামতো রোদে দেয়া লেপ গুলো ছাদ থেকে নিয়ে এসে আলমারির উপরের ক্লজেটে ঢুকিয়ে রাখতে যাচ্ছিল ঈশান। এ বছর ষোল তে পা দিল ও। কিন্তু এর মধ্যেই ছোটখাট সাইজের আম্মুকে লম্বায় এক হাত ছাড়িয়ে গেছে সে। কাজেই এইরকম কাজ গুলো লম্বু বলে আম্মু সোজা তার উপরেই ন্যস্ত করেন। লেপগুলো ঠুসতে গিয়ে কিসে যেন বাধছিলো, তখনই পেলো ছোট বাক্সটা।