I see them dancing somewhere in the moonlight
চাঁদের আলোয় ওরা নেচে চলেছে।
ছেলেটা বলছিল, এই দৃশ্যটা ও দেখে ফেলেছিল। ‘আপনিই বলেন, আপনি দৃশ্যটা দেখে ফেলেন
Somewhere in Alaska, somewhere in the sun
I hear them singing a song for all lovers
A song for the two hearts beating only as one
আলাস্কার হিম তুষার শুভ্র প্রান্তর
আমাদের দেশে রাস্তায় বেরুলে প্রথমেই আপনার নজর কাড়বে কোন জিনিসটা?
না, ট্রাফিক জ্যাম বাদ দিয়ে!
সতর্কতাঃ গল্পটা ক্লান্তিকর ও দীর্ঘ। লেখকও লিখতে গিয়ে ক্লান্ত। কিন্তু বারেক ভাই এখনো অক্লান্ত বলে লিখে রাখতে হলো সত্য ঘটনাটি।
বারেক ভাইকে আমি আত্মীয়তা সুত্রে ৩২ বছর ধরে চিনি। তখন তিনি বাস ট্রাকের ব্যবসা করতেন। পড়াশোনায় এসএসসি হলেও ব্যবসায়িক বুদ্ধিতে এমএসসির বাড়া। ব্যবসা শুরুর অল্পদিনের মধ্যে বারো চৌদ্দটা বাস ট্রাক লরির মালিক হয়ে গেলেন। বস্তা বস্তা টাকা ব্যাংকে জমা করেন। বস্তা কথাটা আক্ষরিক অর্থে সত্যি। আমি নিজের চোখে বাজারের থলেভর্তি টাকা নিয়ে ব্যাংকে যেতে দেখেছি। চোর ডাকাত ছিনতাইকারীদের চোখে না পড়ার জন্য এই ব্যবস্থা। তবে তাঁর চলাফেরা জামাকাপড় এতই মলিন থাকে যে তাঁর দিকে তাকালে বাস ট্রাকের হেলপার ছাড়া কিছু মনে হবে না। তাঁর ভাগ্যরাশিতে টাকার এতই ছড়াছড়ি যে তিনি যেখানে হাত দেন তাতে টাকা ফলে।
এক বিষণ্ন বর্ষার সকালে আমরা কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছি বার্মার এক কারাগারের কনডেম সেলের সামনের খোলা জায়গাটায়। উঁচু পাঁচিলের উপর দিয়ে একপাশ থেকে আসছে সূর্যের মলিন হলুদ আলো। সামনের সারিবাঁধা সেলগুলো অনেকটা পশুর খাঁচার মতোই- একটা চৌকিখাট আর পানির পাত্র দিয়েই ভরে গেছে দশ ফুট বাই দশ ফুটের মেঝে। তারই কয়েকটার মধ্যে গায়ে কম্বল পেঁচিয়ে বসে আছে কয়েকজন মানুষ। এরা সবাই ফাঁসির আসামী, আগামী সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই ফাঁসি হয়ে যাবে এদের সবার।
সে দেশে শুধু পুরুষ। কোন নারী নেই। বংশবৃদ্ধি কি করে হয় সে এক রহস্য। নারী বলে যে আলাদা এক জাতের মানুষ আছে তাই তারা জানে না।
সে দেশের শেষ মাথায়, যেখান থেকে গহীন বনের শুরু, এক অদ্ভুত গহ্বর ছিলো। লোকে বলা মায়া গহ্বর। ভরা পূর্ণিমার রাতে গহ্বর থেকে ভেসে আসে মায়াবী ডাক- আয়...আয়...আয়। ভয়ে ওদিকে কেউ যায় না। মায়া গহ্বরের ডাকে সাড়া দিয়ে ফেরেনি কোন পুরুষ।
তারপরও মন্ত্রমুগ্ধের মত কত পুরুষ ওদিকে গিয়ে হারিয়ে গেছে। মায়া গহ্বরের ডাকে সব ভুলিয়ে দেয়া সে এক আশ্চর্য মায়া। পূর্ণিমা এলেই কানে গামছা বেঁধে রাখে মানুষ।
সাউথ আফ্রিকা বনাম বাংলাদেশের খেলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। ৪৭ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ২২৩/৫। ওদেরকে আড়াইশোর নিচে আটকে রাখাই আমাদের জন্য বিশাল সাফল্য তখন। মাত্র তিন ওভার বাকি আছে, খুবই সম্ভব। ধারাভাষ্য দিচ্ছে চৌধূরী জাফরুল্লাহ শরাফত।
এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরবর্তী সময়ে প্রকাশিত গণমাধ্যম সংক্রান্ত একটা খবর দৃষ্টি কাড়ে। উইকিলিক্সে ফাঁস হওয়া মার্কিন ‘ক্যাবলের’ বরাতে ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ২০১১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বরে আমাদের জানায়, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই অন্তত দুইটি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকানার অংশিদারিত্ব কেনার ব্যাপারে কাজ করেছিল সেই সময়ে। খবরে বলা হয়, ডিজিএফআই কথিত বাংলাদেশ পারস্পেক্টিভ রিসার্চ ফাউন্ডেসন নামে একটা প্রতিষ্ঠান তৈরী করে ইটিভির ২০% অংশীদারীত্ব কিনেছিল এবং চ্যানেল ওয়ানের এক-তৃতীয়াংশ অংশীদারিত্ব কেনার ব্যাপারটা প্রক্রিয়াধীন ছিল।
রেফারেন্স বডি বলে একটা মজার ব্যাপার প্রথম পড়ি পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে। তার সঙ্গত হিসেবে আমাদের মধ্যে একটা কথা খুব চালু হয়ে গেছিলো, ‘আপেক্ষিক ব্যাপার’। সে কতকাল আগে, সময় এখন আর ঠিক মনে নেই। কিন্তু পড়বার পর থেকে খুব ভক্ত হয়ে যাই এটার। বইয়ে দেয়া উদাহরণটা খুব সাধারণ কিছু ছিল হয়ত, চাঁদ ভাবছে সে একটা স্থির পৃথিবীর চারপাশে ঘুরছে কেবল, পৃথিবীটা সূর্যকে নিয়ে একই কথা ভাবছে, অথচ এরা সবাই একটা বিরাট মহাবিশ্বের অংশ হয়ে প্রতিনিয়ত ছুটেই যাচ্ছে। রেফান্সের বডি-র অদল বদল ঘটিয়ে দিলে সবাইই স্থির, আবার সবাইই গতিশীল।
এই জ্ঞান হবার পর থেকেই জেনে গিয়েছিলাম, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সত্যি কথা হয়তো এটাই যে, পৃথিবীর সব কিছুই আপেক্ষিক, শুধু খেয়াল রাখতে হবে তোমার রেফারেন্স বডি কোনটা।
ভাল সিরিজ খুঁজে বেড়াচ্ছিলাম দেখার জন্য। বন্ধু মেহেদি পরামর্শ দিল Babylon Berlin দেখার জন্য। ইউটিউবে ট্রেইলারে দেখলাম জার্মান ভাষায় তৈরি এটা। জার্মান টিভির তেমন ভক্ত না হলেও দেখতে বসলাম।
তো সবসময় যেটা করি সেরকম পড়ালেখা করে দেখলাম এই সিরিজটা ইংরেজি ভাষার বাইরে বানানো সবচাইতে খরুচে টিভি সিরিজ। সিরিজটা ফলকার কুৎস্যারের একটা বইয়ের উপরে ভিত্তি করে বানানো। ঘটনার সময়কাল ১৯২৯ থেকে ১৯৩৪।