১৯৪৯ সাল। ঢাকা থেকে মাহে-নও, মোহাম্মদী, নওবাহার নামের পত্রিকা ছাপানো হত।
এমন নয় যে,
সকালে একদিন
ঘুম থেকে উঠে দেখলে
তোমার ভেতর
ফুল ফল সমেত একটি গাছ !
বহুদিন ধরেই কিছু একটা হচ্ছিল,
ভেতর থেকে হাত পা ছড়িয়ে উঠে আসছিল কেউ,
আর তুমি ভেবেছিলে দুটো প্যারাসিট্যামল
বা অ্যান্টাসিড খেলেই
সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে!
কিন্তু হয়নি,
দিনের পর দিন ধরে
গাছটি বেড়ে উঠেছে- তোমার
নখ থেকে চুল, নিঃশ্বাস থেকে
কল্পনা পর্যন্ত তার আঁকাবাকা গভির শেকড়
তুমি এখন পরিপূর্ণ টের পাও-
বাবুকাকা বেকার,
তাই বলে কি সাধ নাই তার বার্সা ঘুরে দেখার!
খেলতে কাকু ভালই পারে, যতই লাজুক দেখায়
গোলটা এবার দেবেই দেবে, সাধ্য যে কার ঠেকায়!
মাঠের কোণে প্লেয়াররা সব ভয়ে জড়োসড়ো
হাত ভাঙতে বাবুকাকার সুনাম আছে বড়।
ওরে ভুলু, ওরে মতি,
হালার পো সব, খাওতো কেবল কচুর লতি।
আনাও এবং বানাও খবর
অনেকদিন আগে এইদেশে একটি নদী ছিল। সে নদী প্রমত্তা, এ পারে দাঁড়িয়ে ওপার দেখতে পাবেননা - এমন তার বিস্তার। আমার দাদা-পরদাদারা গয়না নৌকায় নদী পার হয়ে গঞ্জে যেতেন, সোনাপুর গঞ্জ তখন অনেক দুরের পথ, যেতে আসতে পাক্কা দুই দিন। গয়না নৌকা দেখেননি তো? বিশাল সে নৌকা, এই যে মান্দার গাছটা দেখছেন - তা ধরেন নৌকার হালটাই হবে অত বড়, দুইজন মাল্লা লাগে সে হাল নাড়াতে। নৌকার মাঝখানে বেশ বড়সড় একটা ঘর, সে ঘরে দরজা আছে, জানালা আছে, আছে মাথার উপর খড়ের ছাউনি। ছাউনি থেকেই বোধকরি নাম হয়েছে ছই।
স্বদেশের জন্ম হলো ক্লাব-ফুট। শব্দটা ডাক্তারের কাছ থেকে শোনা। অর্থটা বুঝেছি স্বদেশকে চোখে দেখে। ডাক্তার আনন্দ সাহা স্বদেশের শরীরের সাথে বৈসাদৃশ্যপূর্ণ বাঁকা পা দুখানায় হাত বোলাতে বোলাতে বলেছিলেন, পেটে আঘাত পেলে, কোনো ধরণের ঔষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা বংশগত কারণে মায়ের পেটে থাকতেই শিশুর এ ধরণের ক্ষতি হয়। ডাক্তারের কথা শুনে রানা আমার চোখে চোখ পড়বার ভয়ে জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ছিল। আমার স্বদেশের বাব
প্রিয় জাফর ইকবাল স্যার,
আশা করি ভালো আছেন। আপনার সাম্প্রতিক একটি মন্তব্য পড়ে, বলা যেতে পারে বাধ্য হয়েই আপনাকে লিখতে বসা। যা লিখব তার অনেক কিছুই আপনি জানেন, হয়ত আমার চেয়ে ভালোই জানেন। তারপরেও আপনার কর্মব্যস্ত দিনের মধ্যে কোনো অবসর সময়ে আমার চিঠিটি পড়ে ফেললেও ফেলতে পারেন এই ভরসায় লিখতে বসলাম।
[justify]গেইটটার সামনে দাঁড়িয়ে অবাক হলাম। এক অদ্ভুত ভালো লাগা আমায় আচ্ছন্ন করে রাখলো।
সেই আজিমপুর থেকে হেঁটে আসছি। কত কিছুই বদলে না গেছে! কত দিন পর? কত বছর পর আজ আমি এখানে? আজিমপুর থেকে নিউমার্কেট, নিউমার্কেট থেকে নীলক্ষেত কত ঘুরে ঘুরেই না আসতে হল এখানে! সবকিছু কেমন অচেনা লাগছে আমার। অবাক চোখে সবকিছু দেখতে দেখতে হাঁটছি। হাঁটতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। তলপেটের এই ব্যথাটা আবার যেন চেপে ধরেছে। কিন্তু আমি জানতাম আমাকে এখানে কোন একদিন ফিরে আসতেই হত। আর আজ এখানে আসতেই দেখি, ভেতরের অজস্র স্মৃতি আমার দৃষ্টিটাকে ঝাপসা করে দিচ্ছে।