অবশেষে বেরিয়ে পড়লাম, পায়ের বেড়ি খসিয়ে বেড়িয়ে আসার জন্য। নরওয়েজিয়ান (আবারও) ক্রুজ লাইনের তরণী ভরসায়, এবার গন্তব্য বাহামা দ্বীপপুঞ্জ। চার রাত, তিন দিন-এর ভ্রমণ, মাত্রই তিনটি দ্বীপ ছুঁয়ে আসা। কিন্তু, সেটাই বা কম কি, একটু ঘুরে আসা ত হবে!
ছোটবেলা থেকেই শুনে এসেছি পাহাড় মানুষের মনকে উঁচু করে । আর সাগর মনকে করে বড় । ধীরে ধীরে বড় হওয়ার সাথে সাথে শিখলাম পাহাড় আর সাগরের প্রভাব শুধু মানুষের মনের উপরই সীমাবদ্ধ না, ইমেজের উপরও যথেষ্ঠ প্রভাব ফেলে । মানুষকে সেলিব্রেটিও করে । পাহাড়ে চড়লেও করে আবার না চড়লেও করে । সাগরে ডুবলেও করে আবার না ডুবলেও করে । তা এই বিষয় নিয়ে মেলা যুক্তিতর্ক হতে পারে । কথার পিঠে কথা হতে পারে । যুক্তির প্রত্তুতরে কুযুক্তি আসতে পারে । তাই আজ আর সেদিকটা মাড়াচ্ছি না । আজ আমার পাহাড়ে চড়ার গল্প বলতে এসেছি, সেইদিকেই মনযোগ দেই ।
§
১৬টি বৌদ্ধ স্তুপ খনন করে পাওয়া গেছে বলে খবরে বেরিয়েছে। অতিশ দীপঙ্করের জন্মস্থান ব্রজযোগিনী গ্রামের পাশেই এই স্তুপের দেখা পাওয়া গিয়েছে। প্রাপ্ত নমুনার কার্বন ডেটিং বলছে জায়গাটা ১১০০ বছর পুরনো। এই খনন প্রকল্প তত্ত্বাবধান করছেন জাহাঙ্গিরনগরের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান। উনি নিয়মিতই এসবে লেগে আছেন। তাঁর গবেষণাকর্মগুলো যদিও বিজ্ঞানসম্মত লোকেরা যখন গবেষণাকর্ম গুনতে বসেন তখন তাদের চোখে পড়ে না। তারা খেলনা ড্রোন নিয়েই উত্তেজিত।
শোন রে লেখক-প্রকাশক, তোরা প্রকৃত বুদ্ধিজীবী না
বই লিখে কেউ শামসু ভাইরে কোনো উসকানি দিবি না
লেজ না নাড়িয়া যে কুকুর বলে "ঘেউ", তারে ধরে মুগুরে
উসকানি খাতে ঠ্যাঙায়ে সটান করিবে শামসু হুগুরে
শামসুর কথা না মানিলে জাতি মেলায় তোদেরে পাবে না
লুসকানি যদি হয় কিছু, হোক, উসকানি হওয়া যাবে না।
যে বান্দরবন দেখে নি, সে বাংলাদেশটাই দেখে নি।
খাল গিয়াকে বিয়ে করে খুশিতে আটখানা খালিসি। এসোসে এত বড় বীর আর একটাও নেই। দশাসই সব ছাগলের পিঠে চড়ে একের পর এক গ্রাসল্যান্ড জয় করে গিয়া নিজেকে খালদের খাল হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার নতুন এলাকা জয় করার উপায় এত অনায়াস ছিলো যে স্বয়ং আলেকজান্ডার লজ্জা পেয়ে যেতেন। গিয়া নতুন এলাকার সর্বোচ্চ কোন ঢিবিতে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দিবেন, "আজকে থেকে এই এলাকার বাপ মা আমি", আর সাথে সাথে সবাই দল বেঁধে তার অধিকার মেনে নিত। খালিসির খুশিকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে তার বিয়েতে তিন তিনটা ড্রাগনের ডিম উপহার দেন ফালু মর্মন্ট।
§
ব্রিটেন থেকে ৫২ জন নারী আইসিসের খেলাফতের ছায়ায় জিহাদ করতে সিরিয়া গেছে। এরা ঐ দেশ থেকে মোট হিজরতকারিদের সংখ্যার ১০ শতাংশ। বিবিসির এক খবরে এক গবেষণার ফাইন্ডিংসের উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে বের করার চেষ্টা হয়েছে কেন সিরিয়ায় নারীরা জিহাদ করতে যাচ্ছে। এর চুম্বক অংশগুলো তুলে রাখলাম,
— অনেক সময় নিয়ে, প্রচুর গবেষণার পরেই তারা ইসলামিক স্টেটে যোগ দিতে সিরিয়ায় যাচ্ছে।
সচলের প্রথম দিকে ভোখেনব্লাট নামে একটা সিরিজ শুরু করেছিলাম। কাজের চাপে ও নানাবিধ অজুহাতপ্রসূত কারণে সেটা কন্টিনিউ করা হয়নি। টাগেসব্লাট নামে নতুন এই সিরিজটা শুরু করলাম। এটা ফেইসবুক স্টাটাসের বিকল্প হিসেবে চালু রাখা যায় কিনা সেটার একটা এক্সপেরিমেন্ট। ফেইসবুক স্টাটাসে লাইক ছাড়া কিছু পাবার নেই। আমার স্টাটাসগুলোতে এমন কোন গুঢ় আলাপ হয় না যেটা মিস করার মতো। আর পাঠকেরা পরে সেগুলো পড়েও না বা পড়ার জন্য খুঁজেও পায় না। এর থেকে সেগুলো এখানে লিখে রাখলে পরবর্তীতে খুঁজে পাওয়া যাবে। সচলের লেখা আমার অন্য লেখাগুলোর মতো এই সিরিজটা সিরিয়াস ধরণের হবে না। বাক্যগঠন, চিন্তাভাবনার খুঁত থাকতে পারে। হালকা মেজাজে খুব চিন্তাভাবনা না করে জার্নাল ধরণের লেখা হবে এগুলো।
১.
দোকানদার প্রথমেই একটা বেড়ে প্রশ্ন করে বসল ...
“আসল বই কিইন্যা কী করবেন?”
আমি তার দিকে খানিকটা সরু চোখে তাকিয়ে রইলাম। ব্যাটার মতিগতি ঠিক বুঝা যাচ্ছে না।
সে তার মত করে গম্ভীরভাবে বলতে থাকলো, “ইন্ডিয়ান বাংলার যত বই আছে, তার মধ্যে কেবল আনন্দ পাবলিশার্সের বাঁধাই-ই সবচেয়ে ভালো। অন্যগুলো অত টেকসই না। দু-তিনদিনেই ছিঁড়ে যায়, এমন অবস্থা।”