নাটক নির্মাতা দীপঙ্কর দীপনের প্রথম চলচ্চিত্র ‘ঢাকা এ্যাটাক’ বছরের শুরু থেকেই অনলাইন প্রকাশনাগুলোতে বেশ ‘বাজ্’ সৃষ্টি করছে। গত ২৯শে ডিসেম্বর মহরত হয়ে গেল- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, র্যাবের মহাপরিচালক, পুলিশের আইজিপি, ডিমপি কমিশনারের উপস্থিতিতে। জানানো প্রয়োজন- সিনেমাটির নির্মাণের সাথে ‘পুলিশ পরিবার কল্যাণ সমিতি’ জড়িত আছে, এর গল্পটি লিখেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ
সাহিত্যের রূপ ঠিক কিরকম হতে পারে সে নিয়ে হয়তো আলোচনা পর্যালোচনা চলতে পারে। তবে আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে বলা যায় সাহিত্য শুধু একরূপই হতে পারে। যার শুরুতে থাকবে সুভানাল্লা আর শেষে আলহামদুলিল্লাহ। আর মাঝখানের পুরোটা বাঁধা থাকবে একটা লাইনের মাঝে। লাইনের বাইরে গেলেই কোপ। দেশের বখে যাওয়া নাস্তিক মুরতাদ সাহিত্যিকরা হয়তো ভেবে ভেবে মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলছেন, কিভাবে লাইনে থেকে জান বাঁচানো যায় এই
যেকোন দেশের জন্য বিজ্ঞান গবেষণার উৎকর্ষ কেন প্রয়োজন সেটা বোধকরি খুব ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নাই। দেশের অর্থনৈতিক সাফল্যে, স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং প্রযুক্তিগত উন্নতিতে, নিজস্ব পণ্য উৎপাদনে, দেশের সমস্যা সমাধানে নিজেদেরই অবদান রাখার জন্য, সর্বোপরি সার্বিক উন্নতি সাধন এবং বিশ্বে মর্যাদাবান অবস্থান প্রাপ্তির জন্য উন্নত মানের বিজ্ঞান গবেষণার উৎকর্ষের প্রয়োজন আছে। এই উন্নতি না ঘটিয়ে একটি দেশের সার্বিক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথমবার গিয়েই অবাক হয়েছিলাম পুরনো স্কুল-কলেজ দেখে। সেই উনবিংশ শতাব্দীর স্কুল-কলেজ- শিল্পকলা একাডেমিই বলে দেয় কতটা শিক্ষা ও সংস্কৃতিবান্ধব এই জনপদ। কতটা ঐতিহ্যবাহী এখানকার জ্ঞান ও সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ। বয়স-রহস্যও আমাকে বেশ বেকায়দায় ফেলেছিল। স্থানীয় মানুষের চেহারা-অবয়ব দেখে যা বয়স আন্দাজ করি বাস্তবে তা অনেক বেশি, এতটা বেশি যে সন্দেহ জাগে, ঠিক বললো কি না !
কিছুদিন আগে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক অবসরে গেছেন। তিনি ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত বিদায় সংবর্ধনাতে সস্ত্রীক এসেছিলেন। স্ত্রীকে আমার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন "ও এমন একটা দেশ থেকে এসেছে যেখানে পৃথিবীর অনেক বড় বড় মিউজিশিয়ান জন্মেছে"। আমার এই অধ্যাপকের অনেক বয়স হয়েছে। এখন ভাঙ্গা ভাঙ্গা উচ্চারণে কথা বলেন। ভেবেছিলাম বয়সের কারণে হয়ত সব ভুলেটুলে গেছেন। বাংলাদেশ সম্পর্কে কোন বিদেশির এরকম ধারনা আছে
মেট্রো রেল নিয়ে হঠাৎ করেই ফেসবুক পাড়া সরগরম। প্রধানমন্ত্রীর কান পর্যন্তও গিয়েছে সেই কথা। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা কেমন গরম জানি না। শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে ক্লাস বন্ধ, শুধু পরীক্ষা চলছে। খুব বেশি উত্তপ্ত হওয়ার কথা না। সে যাই হোক, মেট্রো রেলের রুট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে বলে "সাধারণ শিক্ষার্থী"রা আন্দোলন করছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হিসেবে এখানে দু'লাইন বলা দরকার বলে মনে করছি।
নগর উন্নয়ন ও পরিকল্পনা নিয়ে যারা কাজ করেন তাদের কাছে Urban Sprawl ও Smart Growth শব্দ দুটি খুবই পরিচিত। খুব সোজা কথায় Urban Sprawl বলতে আমরা বুঝি, অপরিকল্পিত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্রান্ত সংলগ্ন এলাকায় নগরের বিস্তার ও নগরায়ন। বিশ্বের অধিকাংশ নগরই গড়ে উঠেছে ও বিস্তার লাভ করেছে অপরিকল্পিতভাবে। সময়ের সাথে সাথে এভাবে গড়ে ওঠা শহরগুলো যখন তাদের ধারণ ক্ষমতার মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে থাকে তখন সামাজিক সুযোগ সুবিধা
চৈত্রের ভয়াবহ গরমে দাঁড়িয়ে নায়াগ্রা জলপ্রপাতের মত কুলকুল করে ঘামছিল মাহতাবুদ্দিন। কোথাও বাতাসের একফোঁটা গন্ধ নেই। তার বদলে মানুষের ঘাম, পচে যাওয়া ডাবের চোকলা, নর্দমার নোংরা, পেটের গভীর থেকে তুলে আনা কোন কুকুরের উগরানো বমি, বুক চিরে দেয়া গাড়ির বিকট হর্ণ, রিক্সার টুনটুন, হাত-পা কাটা ভিখারির চিৎকার, আর রাস্তায় থ্যাতলে পরে থাকা কাঁঠালের উপর অসভ্য মাছির ভন ভন শব্দে গুলিস্তান পরিণত হয়েছে ছোট্ট এক টুকরা হাবিয়া দোযখে। বাসের দেখা নেই।
সে এক প্রাগৈতিহাসিক যুগের কথা। সে সময় মুর্শেদ ভাই “আপনাদের প্রিয় ছবির নাম” শীর্ষক একটি পোস্ট দিয়েছিলেন। সেখানে সবার প্রিয় প্রিয় ছবির নাম দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। তো হলো কি, সচল হাচল অনেকেই তখন তাদের প্রিয় প্রিয় ছবির নামের তালিকা করে দিয়েছিলেন। মুর্শেদ ভাইও বলেছিলেন সব ছবির নাম এক জায়গায় করে একটি সুন্দর তালিকা তৈরী করবেন। কিছুটা করেওছিলেন।