ছোট বেলায় লেখার অভ্যাস থাকলেও বড় বেলায় এসে অভ্যাসটা চলে গিয়েছিল। তারপর অনেকদিন ব্লগে লিখেছি। মাঝখানে বেশ কিছুদিন বিরতির পর আবারো লেখার ইচ্ছা জেগে উঠেছে। লেখা মানে সময়কে ওয়েবের পাতায় ধরে রাখা। আগে ডাইরির পাতায় মানুষ স্মৃতিকথা লিখে রাখতো। ডাইরি হয়তো এখনো কেউ কেউ লেখে। তবে ওয়েবেই স্বাচ্ছন্দ বেশী পাই।
স্কুল শুরু হলে দীর্ঘ সময়ের জন্য আর দেশে যাওয়া যাবে না। কারণ এ দেশে স্কুলে যাওয়া বাধ্যতামূলক। বাধ্যতামূলক মানে যেতেই হবে, অন্ততঃ আঠারো বছর বয়স না হওয়া পর্যন্ত। স্কুলে না গেলে অভিভাবকের শাস্তি অবধারিত। কিন্তু দেশে গিয়ে স্কুলে ভর্তির শারীরিক এবং মানসিক পরীক্ষার ধার্যদিন পার করে এসেছে আঁচল। জার্মানে ফিরে পরীক্ষার জন্য নতুন দিন-ক্ষণ নিলাম। আঁচল পাশ করলো।
[justify]বাংলার বাউল দর্শনের দু’টি খুব শক্তির জায়গা আছে- একটি সহজ জীবনযাপন প্রণালী অন্যটি যুথবদ্ধতা। খেয়াল করবেন, বাউল সাধুগুরুগণ খুব সহজসরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত। আখড়া বাড়িতে সাধুসঙ্গ হয় যৌথ মিথস্ক্রিয়ার ভিত্তিতে। সেখানে কে আশরাফ আর কে আতরাফ, কে সাদা আর কে কালো, কে নারী কে পুরুষ সেটার ফারাক হয় না। মোটকথা মানুষে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত মিলনে বাউলদের বহমান জীবন কখনো জীর্ন হয়ে পরে না। বরং এক বিশাল অখণ্ডতার
"The more things remain obscure and mysterious, the more they interest me. I even try to find mystery in things that have none."-
Patrick Modiano
____________________________________________________
সম্প্রতি আমি লিন্ডা সিগারের লেখা ক্রিয়েটিং আনফরগটেবল ক্যারেকটারস বইটি পড়া শুরু করেছি। কোন সিনেমার চিত্রনাট্যের জন্য কিভাবে একটি চরিত্র সাজাতে হয় তার উপর এই বই।
একটা গোটা বছর চলে গেল, সচলে কিচ্ছুটি লিখিনি| আগে তাও মাসে একটা করে লিখতাম, সেটা কমে এলো বছরে একটা, তাও হয় না| এখানে একটা বিরস মুখের ইমোজি দেওয়াই যেত, কিন্তু থাক --- কী হবে! যা হয় নি, হয় নি| ২০১৫য পড়া বই নিয়ে, লেখককে নিয়ে লেখার আহ্বানটা দেখে অবশেষে লিখেই ফেললাম| আগের কয়েকটা বছরের তুলনায় ২০১৫ তে পড়া হয়েছে প্রচুর| কাজেই লিখতে গেলে তিন চারখানা ব্লগ লিখে ফেলাই যায়| আপাতত বেশী ভ্যানতাড়া না করে একটা অন্তত লিখেই ফেলি|
"ড্যাঞ্চীনামা' দিয়ে পরিমল ভট্টাচার্য্য পড়া শুরু করেছি ২০১২তে, কিন্তু এই লেখককে নতুনভাবে আবিষ্কার করলাম ২০১৫তেই| যে দুটো বই চেটেপুটে পড়েছি --
১) "শাংগ্রিলার খোঁজেঃ- হিমালয়ে গুপ্তচারণার তিন শতক"
২) "দার্জিলিং ঃ- স্মৃতি সমাজ ইতিহাস"
পাঠক হিসেবে ২০১৫ চমৎকার কেটেছে, গুডরিডসের হিসেব মতে ৫৪টা বই পড়েছি, প্রকৃত সংখ্যা আরো একটু বেশি হতে পারে। ২০১৫ সালে প্রথম আবিষ্কার করেছি এমন কোন একজন লেখকের বই নিয়ে লিখতে বসে দেখলাম এই সংখ্যাটাও বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে নেহায়েত কম না। শেষ পর্যন্ত এমন একটা বইতে কম্পাসের কাঁটা স্থির করলাম যেই লেখক/ যার লেখা বই এর কথা গুডরিডস রেকমেন্ডেশানের আগে কখনো শুনিনি-বই এর নাম ‘[url=https://www.goodreads.com/book/sh
পড়ুয়াদের ২০১৫, শিরোনামটা দেখেই স্মৃতিতে সদ্য বিগত হয়ে যাওয়া বছরে পড়া বইগুলো একে একে ঝলক দিয়ে উঠলো যেন! ২০১৫, পুরো বছরটাতে আমি সৈয়দ মুজতবা আলী, জাহানারা ইমাম এবং শাহাদুজ্জামানে বিভোর ছিলাম। দেশে বিদেশে-এর মত এমন সরেস রস সাহিত্যে আমি কখনোই আস্বাদন করেনি। অন্যদিকে শাহাদুজ্জামানের ছোট গল্প আমাকে সাহিত্যের নতুন স্বাদ ও ভাবনার দিগন্তে হাটিয়েছে।
লেখাটির ছোট্ট একটা ভূমিকা দিতে হবে। এই লেখাটি পড়ুয়াদের ২০১৫ আহবানকে সাড়া দিয়ে লিখেছি। কিন্তু সে অর্থে কোন রিভিউ নয়। সন্দেশের আহবানের সূত্রে অনেকদিন পর আবার লেখা হল। আর সেই সাথে যদি তরুণ প্রজন্মের ছোট একটা অংশকে খানিকটা প্রভাবিত করা যায় সেটি হবে বাড়তি পাওনা।