Archive - 1970 - ব্লগ

তারিখ
  • সব
  • জ্যান
  • ফেব
  • মার্চ
  • এপ্র
  • মে
  • জুন
  • জুল
  • আগ
  • সেপ
  • অক্টো
  • নভ
  • ডিস
ধরন

August 24th

পুষ্পপাপ

মণিকা রশিদ এর ছবি
লিখেছেন মণিকা রশিদ (তারিখ: রবি, ২৩/০৮/২০১৫ - ১১:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রকারান্তরে হয়েছি বৈদেশিক
এখন আর হাত বাড়ালেই হাতে এসে
টুপটাপ বসে না পুষ্পপাপ
আমার কোনো অতীত নেই, কোনো
রথযাত্রায় নেই ফেলে আসা কোনো
শোলার টুপি, লাল শরবতী ফুল।

তোমাকে দেখেছি কতোকাল আগে
অন্ধকারের ছায়া দুই হাতে মেখে
হেঁটে আসছ ঘুম থেকে নির্ঘুম
বৃত্তের থেকে বেরিয়ে আসছ
মুমূর্ষু অন্ধকারের পাশে
জীবনের মতো, আলোর মতো
নিঃশ্বাসের মতো
আকাশের দিকে হেঁটে যাওয়া রূপকথার আশ্চর্য রোপওয়ে


August 23rd

উপলব্ধি

নিঘাত তিথি এর ছবি
লিখেছেন নিঘাত তিথি (তারিখ: রবি, ২৩/০৮/২০১৫ - ৮:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কবেকার পুরনো সে বোধ
ক্ষণে ক্ষণে,
নিরবে নিভৃতে,
নিঃশব্দ চিৎকারে-
আজো জেগে থাকে মনের গহীনে।

অনেক কাল কেটে গেছে তার নাম শুধায়ে।
উত্তর আসে নি কোন।

এখন আর উত্তরের কোন প্রত্যাশা নেই।
আসলে,
কোন কিছুরই কোন প্রত্যাশা নেই।
যে জীবন চলে বাতাসের মত মৃদু-মন্দ অথবা দমকা ঝড়ো হাওয়ায়,
তার কাছে, তাকে থামিয়ে, কিছু
জানতে চাওয়ারও কোন মানে নেই।

যে বোধ কখনও ছড়ালো না ডানা,


August 22nd

বাংলা শিশু সাহিত্য ও বিনোদন

শিশিরকণা এর ছবি
লিখেছেন শিশিরকণা (তারিখ: শনি, ২২/০৮/২০১৫ - ১২:২৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিদেশ বিভুঁইয়ে এখনও বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ধরে রাখা বাবা মাদের নিত্য যুদ্ধ লেগে থাকে বাচ্চাকে বাংলা ভাষা শিক্ষা দেবার, চর্চা করার। অনেকেই কিছুদিন লেগে থাকার পর হাল ছেড়ে দেন। কারণ ভাষার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টির উপাদান তো চাই। বিদেশে বাংলা বই এর অভাব, শিশু সাহিত্য তো আরও দুর্লভ। আর বাংলায় বাচ্চাদের টিভি অনুষ্ঠানের তো অস্তিত্বই নেই। নিজে ছানা পোনা ঘরে আনার আগে তাই কোমর বেঁধে প্রস্তুতি নিলাম। বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা জাগাতে তাই সব রকম বাংলা শিশু সাহিত্যের বই জোগাড় করলাম। উপেন্দ্রকিশোর, সুকুমার থেকে শুরু করে হালের হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল সবাই হাজির হলেন । ছানার আগমনের পর সেগুলো গুড়া বয়সেই তাকে পড়ে শোনাতে গিয়েই হলো বিপত্তি।


August 21st

রুবিক'স কিউব

রংতুলি এর ছবি
লিখেছেন রংতুলি [অতিথি] (তারিখ: শুক্র, ২১/০৮/২০১৫ - ৫:৪৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

কারো কারো ক্ষেত্রে মারফি’স ল যে কতটা কার্যকর উদাহরণ হতে পারে, তা আরো একবার প্রমাণিত হলো অক্সফোর্ড রোডের সেলুনগুলো রোববার বন্ধ থাকার মধ্যে দিয়ে। দু’তিন সপ্তাহের গড়িমসি শেষে যখন সময় এবং সম্মতি দুটোই জুটলো ওদের বাবা ছেলের কাকের বাসা, বাজারের ঝাঁপিসম চুলগুলো ভদ্রস্থ সমাজোপযোগী করার, ঠিক সেদিন মাইলকয়েক পথ হেঁটে এসে জানা গেলো গুণেগুণে কেবল সেলুনগুলোই আজ বন্ধ থাকবে, যদিও আশেপাশের অন্য সব দোকান বহাল তবিয়ত


মাতালিয়া

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: শুক্র, ২১/০৮/২০১৫ - ১১:০২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মদের বোতল থেকে
বেরিয়ে এলে মনে হয়,
পৃথিবী দুলছে!

জানপ্রাণ বাজি ধরে,
টলতে টলতে মানুষ ও ধ্বংস
লড়ছে কুস্তি-

মদের ভেতর
এই সব নাই, সানজিদা ও আমি
এখনো খুব ভালো বন্ধু, হাত ধরে
কার্জন হলের লনে হেঁটে বেড়াই, আঙুল কেটে
চিঠি লিখি-

রক্তের সেই সব অক্ষর
যতো পুরোনো হয়
নেশার বুদ্বুদ বাড়ে, মনে হয় জাতিসংঘের
শান্তি এসে জড়ো হচ্ছে
ক্রমাগত

বেরোলেই ভয়,
লাল লাল চোখ করে


মুখ ঢেকে যায়...

কনফুসিয়াস এর ছবি
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/০৮/২০১৫ - ৯:৫৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

রাজপ্রাসাদের সৈন্যরা সব শেষ, উজিরের মরল খানিক আগেই, বীরবেশে আমি রাজার ঘরে ঢুকতে যেতেই রাজকন্যা ফোন দিলো, আমার মুঠোফোনের স্ক্রিনে ছবি সমেত নাম ভেসে উঠলো তার, কঙ্কাবতী! আমি তো চমকে উঠলাম। হাতের চকচকে খোলা তলোয়ার সাই করে বগলে চেপে অন্য হাতে কল রিসিভ করেই বললাম, হাআআলোওওও, নেমজ কুমারস, ডালিমস কুমারস!


August 20th

হয় কোপ, নয় তোপ: কোথা গিয়ে লিখি রে!

নীড় সন্ধানী এর ছবি
লিখেছেন নীড় সন্ধানী (তারিখ: বিষ্যুদ, ২০/০৮/২০১৫ - ১১:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ব্যক্তিগত ডায়েরী টাইপ লেখা বাদে আর কিছু লিখছি না আজকাল। তৃতীয় পক্ষের সমালোচনা বিষয়ক কিছু নিয়ে লেখালেখি বিপদজনক হয়ে গেছে, যদি সেই পক্ষটি অর্থ- বিত্ত কিংবা রাজনৈতিক ক্ষমতার মালিক হয়। এছাড়া ২০১৩ সালের পর অনেক কিছু বদলে গেছে বাংলাদেশে। তার আগ পর্যন্ত মোটামুটি স্বাধীনভাবেই ‘যা খুশী’ তা নিয়েই কিবোর্ড চালাতাম। তারপর থেকে কলমের বিপক্ষে চাপাতি এসে এমন এক সতর্ক যুগ নামলো যে, যাই লিখি তার আগে সাড়ে দশবার ভাবি


August 19th

মা, আমি বড় হচ্ছি

সুলতানা সাদিয়া এর ছবি
লিখেছেন সুলতানা সাদিয়া [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১৯/০৮/২০১৫ - ১:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
আগে অফিসে যাওয়ার সময় দুই ভাই-বোনই বায়না করতো, মা, অফিসে যাবো। চকলেট বা নসিলা দিয়ে শান্ত করতাম। মাঝখানে কিছুদিন হেল্পিং হ্যান্ড নাই। স্টাফের কাছে থাকা, বাবা-মার ছটফটানি। ব্যাপক স্বাধীনতা। দুপুরে লাঞ্চে এসে দেখি বাসা আমার জঙ্গল। বকাবকি, হুলস্থূল। এরপর আমার ছেলের কাতর প্রশ্ন, মা অফিসে যাও না ক্যানো? কখন যাবা? দুষ্টামি করবো।

২.


August 18th

উৎসর্গযাত্রা : প্রভুর জন্য

কর্ণজয় এর ছবি
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: মঙ্গল, ১৮/০৮/২০১৫ - ৮:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রভু নামেই তাকে সবাই চেনেন। জানেন। পরিচয়ের প্রথম ক্ষণ থেকেই আমরা দেখেছি- ছোট বড়, প্রখ্যাত-অখ্যাত, জ্ঞানী-মূর্খ, রাজা-ভিখিরী সবাই তার সমান সঙ্গী। প্রভুকেও সবসময় কোলের শিশু থেকে বৃদ্ধ নির্বিশেষে সবাইকে ‘প্রভু’ আর ‘আপনি’- বলে সম্মোধন করে সমান সম্মান করতে দেখেছি। তার সঙ্গ আমাদের কাছে ছিল চোখের ওপর থেকে একটা পর্দা সরে যাওয়ার অভিজ্ঞতার মতন। এর ফলে জীবন এবং প্রকৃতির রূপ রস গন্ধ আরও স্পষ্ট হয়ে দেখা দেয়।