হারপার লি’র টু কিল এ মকিংবার্ড পড়েছিলাম এইচএসসি পরীক্ষার পরপর। কালো মলাটের ছোটখাট পেপারব্যাকটা ফ্যান্টাসি বইপোকা এই আমার কাছে শুরুতে বেশ ধীরলয়ের লাগছিলো, কিন্তু একটু পর দেখলাম গল্পের ভেতরে ঢুকে গেছি, ১৯৩০ এর আমেরিকান সাউথের ছোট শহর মেকোম্ব শহরে হেঁটে বেড়াচ্ছি।
[justify]
১৯জুন। পহেলা রমজান। সকাল বেলা।
কাকৈলছেও, আজমিরীগঞ্জ, হবিগঞ্জ।
সেহরীর পর সামান্য কিছু সময় আমরা ঘুমিয়েছি। আটটার দিকে বের হই। আমি, নজরুল, তানিম ও ইলিয়াস। সামান্য পায়ে হেঁটেই নদীর পাড়ে আসি। কাল রাতে এসে পৌঁছে ছিলাম অন্ধকারে। এখন সকালের নরম আলোয় নদী দেখি, নদীবর্তী জনপদ দেখি। শেরপুর থেকে কুশিয়ারা নদী আজমিরীগঞ্জ হয়ে এদিকে এসেছে ভেড়ামোহনা নামে। ভেড়ামোহনা নেমে গেছে আরো ভাটিতে। পেছন দিকে সুনামগঞ্জ, দিরাই হয়ে কালনী এসে মিশেছে। ভেড়ামোহনা ও কালনী মিশেছে আরেকটু ভাটিতে, সেখান থেকে মেঘনার মোহনা। ঐ মোহনা ধরে এগুলেই ভৈরব। আমর দাঁড়িয়ে আছি কাকেলছৈও লঞ্চঘাটের কাছে। একসময় কাঠের ব্যবসার জন্য বিখ্যাত ছিলো এইঘাট।
নদী এখানে বিশাল। ইলিয়াস তার পরিচিত এক ইঞ্জিন নৌকা নেন। ছোট্ট একটা নৌকা। মাঝি ও ইলিয়াস হালের কাছে বসেন, আমি তাদের সামনে দাঁড়াই। নজরুল ও তানিম সামনের দিকে। নৌকা ভাসে ভাটিতে, আমরা পশ্চিমে নামতে থাকি- যতো ভাটিতে যাই ততো নদী আরো প্রশস্ত হতে থাকে। কিছুক্ষন যাওয়ার পর নদীর বুকেই বিদ্যুতের খুঁটির লম্বা সারি দেখি উত্তর-পুর্ব কোনে। ইলিয়াসকে জিজ্ঞেস করি- কোন এলাকা? বলেন- জয়সিদ্ধি। ইটনা থানার জয়সিদ্ধি। বাংলার প্রথম র্যাং লার আনন্দমোহন বসুর বাড়ি, ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজ তার অবদান।
খ্রিস্টের জন্মের খোঁজ বাদার বাঘ রাখে না। খ্রিস্টের জন্মের আগেও সে গরানের শ্বাসমূলকে সচকিত করে নিঃসাড়ে নদীর জলে নেমে ওপারে কোনো হতভাগ্যের মাংসে দাঁত বসিয়েছে। বালথাজার, মেলকিওর আর গাসপার যখন বেতলেহেমের রাস্তা ভুলে হাঁ করে আকাশের তারা দেখছিলো, তখনও বাঘ শেষ রাতের অন্ধকারে নদীর ওপর ঝুঁকে পড়া গাছের ছায়া ঠেলে অনায়াসে চড়াও হয়েছে এক তরুণ চিত্রলের ওপর। ক্যালেণ্ডার বাঘের কাছে বাহুল্য। বংশ পরম্পরায় বাদার বুক
আমার ছেলেটা বড়ই বোকা | আমি নিজে যে খুব চালাক চতুর সে দাবি করবনা | তবে এটি মনে আছে যে সাত বছর বয়েসেই শিখে গিয়েছিলাম কীভাবে ওমানের রংচঙে স্ট্যাম্প এর বদলে বুলগেরিয়ার সাদাকালো কিন্তু মহা মূল্যবান স্ট্যাম্প বাগিয়ে নেওয়া যায় | আসলে পাড়াময় অগুন্তি বাচ্চা কাচ্চাদের ভিড়ে রীতিমত খামচা খামচি করে বেড়ে উঠেছি আমরা, বোকা হবার সুযোগটাই ছিলনা | আমার ছেলেটা বেড়ে উঠছে একা, আত্মীয় পরিজনহীন পরিবেশে | ওর
‘শিম কিভাবে রান্না করতে হয়’ সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ’র ইংরেজী ভাষায় লিখিত স্যাটায়ার ‘How does one cook beans' এর বাংলা অনুবাদ। রচনাটির একটি subtitle বা উপশিরোনাম আছে, 'এক এশীয়র ফ্রান্স অভিযান'। দীর্ঘদিন অপ্রকাশিত থাকা লেখাটির প্রচার প্রচারণা নিতান্ত কম বলে লেখকের দেয়া মূল ইংরেজী উপশিরোনামটি পেলামনা; তাই অনুবাদকের শব্দচয়নের রুচির ওপরই এ বেলা ভরসা করতে হচ্ছে। আমাদের এশীয়দের চোখে ইয়োরোপীয়দের অনেক আচরণই অদ্ভু
সিনেমায় পুরোনো আমলের হিন্দু বাড়ি যেরকম দেখায় সেরকম একটা দোতালা বাড়ি আমাদের। সত্যি সত্যি একবার একটা সিনেমার শুটিং হয়েছিল আমাদের বাড়িতে। আমি তখন খুব ছোট। ক্লাশ ফোরে পড়ি। সেই সিনেমাটাও ছিল একটা হিন্দু জমিদারকে নিয়ে। তখনো অবশ্য আমি জানতাম না, আমাদের বাড়িটা আসলেই একটা “হিন্দু বাড়ি”!
[justify]
আগের পর্বসমূহের লিঙ্কঃ
হ্যাভেনলি হাওয়াইইঃ পর্ব ১ (সৃষ্টি পর্ব)
হ্যাভেনলি হাওয়াইইঃ পর্ব ২ (ইতিহাস পর্ব)
আসসালামুয়ালাইকুম, স্যার কেমন আছেন?
এই ছেলে তুমি কে? আমার বাসার ভিতরে কি?
স্যার আমার নাম রশিদ, আমি আপনার পাশের গ্রামের ছেলে।
তো কি হয়েছে? চেনা নেই, জানা নেই এই সরকারি কোয়ার্টারে তোমাকে ঢুকতে দিয়েছে কে?
না মানে স্যার, ইয়ে মানে স্যার, দারোয়ারকে বলেছি আমি আপনার ভাগ্নে হই। তারপরেই ঢুকতে দিলো।
ছুটির দিনে সাত-সকালে আমার বাসায় কি?
ডিজিটাল বাংলাদেশ করার লক্ষে বর্তমানে প্রযুক্তির নতুন নতুন গবেষণা আর উদভাবন নিয়ে কাজ হচ্ছে। তাদের মধ্যে অনেক গুলোই আবার বাংলা ভাষায় মোবাইল ফোনের উপযোগী প্রযুক্তি। কারণ, এখন মোবাইল ফোন সবার হাতে হাতে। আর এর সাহায্যে করা যায় না এমন কিছুই নেই। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন এই প্রযুক্তি গুলো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষের ব্যবহারের উপযোগী কি না? হয় তো কখনও ভানেন নি!