প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে প্রবাল দ্বীপপুঞ্জ। চারপাশে হাজার মাইল জুড়ে শুধু জল আর জল- নীল অতল মহাসাগর। কিন্তু ১৯৪২ সালের এক শান্ত সকালে আমেরিকা এবং জাপান প্রশান্ত মহাসাগরের দখল নিয়ে যুদ্ধ করে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের নতুন ইতিহাস রচিত হয়।
গত দুদিন ধরে অনলাইনে অফলাইনে ঝড় বয়ে যাচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উদ্ভাবনী কাজের জন্য কওমি গ্যাং এর চার লক্ষ টাকা অনুদান পাওয়া নিয়ে। খবরে জানা যায় (সিপি গ্যাংয়ের অনুদান প্রাপ্তিতে প্রতিক্রিয়া-সমালোচনা) -
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে উদ্ভাবনী কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে অনুদান পেয়ে ফেইসবুকে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে সরকার সমর্থকদের ইন্টারনেটভিত্তিক সংগঠন সিপি গ্যাং। অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের অনেকে ফেইসবুকে দেওয়া তাদের সমালোচনামূলক পোস্টে বলেছেন, ইন্টারনেটে কুরুচিপূর্ণ সংগঠিত আক্রমণকারীদের জনগণের করের টাকার ভাগ দিয়ে সরকার সাইবার সন্ত্রাসকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল।
কওমি গ্যাং এর টেকাটুকা অনুদান পাওয়া নিয়ে যারা হাউকাউ করছেন তারা আসলে মুক্তিযুদ্ধ, যুদ্ধাপরাধের বিচার, ছাগু তাড়ানো এবং অন্যান্য নানা ক্ষেত্রে কওমি গ্যাং এর অবদান সম্পর্কে কিছু জানেনই না। সেইসাথে টাকা কে পেয়েছে কোন খাতে পেয়েছে সে সম্পর্কে না জেনে মন্তব্য করাও ঠিক না। মাত্র কয়েকবছর আগে গজানো এই সংস্থাটি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি সহ নানা খাতের বিকাশের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বুদ্ধি বা শিক্ষার অভাব তাদেরকে থামিয়ে রাখতে পারেনি অনলাইনে নিজেদের দুরন্ত প্রভাব বিস্তার করা থেকে। সব লিখতে গেলে মহাভারত হয়ে যাবে। কিন্তু অত্যন্ত সংক্ষেপে তাদের কিছু অবদান ও অন্যান্য বিষয় তুলে ধরছি।
কয়েক দিন আগে সুপ্রিম কোর্টের চূড়ান্ত রায়ের ফলে সমগ্র আমেরিকায় সমকামী বিয়ে বৈধ হয়েছে। ফেসবুক ও অন্যান্য সোশাল মিডিয়ার কারণে এই সংবাদ বহুদূর ছড়িয়েছে, এবং এই রায়ের কারণে বিভিন্ন দেশ ও সমাজে সমকামিতা নিয়ে উচ্চকিত বিতর্ক এখনও চলছে। বিভিন্ন জনের মন্তব্য-প্রতিমন্তব্য অনুসরণ করে দুঃখের সাথে পর্যবেক্ষণ করলাম যে আলোচনাগুলো তথ্যের অভাবে প্রায়ই অকথ্য গালিগালাজ এবং আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ায় পর্যবসিত হচ্ছে। লাইন ছাড়া ছুটে বেড়ানো সেই রেলগাড়িকে পথে আনার প্রচেষ্টা হিসাবেই এই লেখা। যেই সমাজ এবং যেই সময়ে এই রায় এসেছে, সেটার স্বরূপ না জেনে আমরা রায়ের মর্ম বুঝতে পারবো না।
[justify]মশারা ঘুমোতে দেয় না আজকাল, পিনপিনে ঐ গলার স্বরে নির্মিত তাদের গণসঙ্গীত বড় পীড়াদায়ক লাগে আমাদের মগজে, মশারা জাগিয়ে রাখে রাতভর। সকাল বেলা সেই রাতজাগা ঘুমহীন করোটিগুলোকে গঞ্জের হাটে আর ইউনিয়নের টিনের ছাদ দেয়া অফিসে সচল রাখতে বড় কষ্ট হয় সবার। অপেক্ষাকৃত কম বয়েসী আছে যারা, মসজিদের মক্তবের পোলাপান আর হাইস্কুলে যারা পড়ে, তারা বেশ চটপট থাকে এমন কি দিনের বেলায়ও। হতে পারে বয়স কম বলে ঘুমের স্বল্পতাট
ছোট ছোট সম্পাদক দ্বারা ছোট ছোট লেখকদের ছোট ছোট লেখা নিয়ে প্রকাশিত ছোট ছোট সংকলনগুলোকেই আমরা বলতাম লিটল ম্যাগাজিন। বড়ো পত্রিকার বড়ো সম্পাদকরা বড়ো লেখকদের লেখা ছাড়া ছাপাতেন না বলে আমরা পত্রিকার সাহিত্য পাতা খেয়াল রাখতাম মূলত আমাদের ছোট মানুষদের মধ্যে কে কোন ফাঁকতালে বড়ো পত্রিকায় লেখা ছাপিয়ে বড়ো লেখক হয়ে গেছে তা নজরদারি করার জন্য; যদিও তলে তলে বান্ডিল বান্ডিল লেখার সাথে বড়ো পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক ব
আশা মানুষকে শুধু সামাজিক সংকোচেই ফেলে না, তার আত্মাকে সঙ্কুচিতও করে। স্বাভাবিক একটি দিনে মানুষ যতোটা ঋজু, যতোটা প্রসারিত, যতোটা বলিষ্ঠ ও আকাশপ্লাবী, বিপন্ন দিনে আশার ভারে সে ততোটাই ধ্বসে পড়ে ভেতরের দিকে, ততোটাই কুঁচকে যায়, ততোই দুর্বল ও আড়ালকাতর হয়ে ওঠে। বিপদ কেটে গেলে সেই আশাঘটিত অন্তঃস্ফোরণের স্মৃতি মানুষের মনে এক অবাঞ্ছিত ভার হয়ে থাকে। কেউ সে স্মৃতি এড়িয়ে চলেন, কেউ অস্বীকার করেন, কেউ বিকৃতি ঘটা
আমাদের সমাজে "বিবাহ" জিনিসটা আসলে কি ?
প্রায় ছ বছর আগে জীবনের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছিলো সচলায়তনের হাত ধরে। আন্তর্জালের অলিগলিতে ঘুরতে ঘুরতে ঘটনাচক্রেই এ পাড়ায় পা রাখা। অক্ষরযাপনের অভ্যেসে যে দীর্ঘ জড়তা জড়িয়ে ছিলো, পরম বিস্ময়ে তা উড়িয়ে নিয়ে গেছিলো এ পাড়ার অদেখা অক্ষরশিল্পীরা। অপার মুগ্ধতা, প্রবল ঈর্ষা আর আড়ষ্ট প্রেম নিয়ে লিখতে বসেছিলাম। কী লিখব? কী নামে লিখব?
অনি হাঁটছে। দ্রুত পায়ে। দূর থেকে যে কেউ দেখে ভাববে কোনো স্থির লক্ষ্যের দিকে জোর পায়ে ছুটে চলছে ছেলেটি। কিন্তু অনি যখন বাড়ি থেকে বের হয় তখন কোনো উদ্দেশ্য ছিল না বরং তীব্র এক অভিমান নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিল। এখন অভিমান আর দুঃখের ফারাক নেই। বুকের ভেতর অভিমান জমে জমে দুঃখের বোঝা হয়ে গেছে। নিজের প্রিয় জিনিসগুলো ফেলে আসার কথা ভেবেও ওর পিছু ঘুরতে ইচ্ছে হচ্ছে না তাই। ওর প্রিয় কয়েন এ্যালবাম, পঁচিশটা রঙ