সিলেটে অনন্ত বিজয় দাশ নামে আরেক ব্লগারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। অনন্ত বিজয় মুক্তমনা ব্লগে লিখতেন এবং গণজাগরণ মঞ্চের সাথে সক্রিয় ছিলেন। ব্লগার অনন্তের প্রকাশিত চারটি প্রবন্ধ গ্রন্থ রয়েছে। এগুলো হলো
এছাড়া সিলেট থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞান বিষয়ক পত্রিকা ‘যুক্তি’ সম্পাদনা করতেন তিনি।
আজ সকালে সিলেটের সুবিদবাজার এলাকায় ব্লগারদের যেভাবে হত্যা করা হচ্ছে সেভাবেই খুন হন অনন্ত বিজয়।
সিলেট বিমানবন্দর থানার ওসি গওসুল হোসেন জানান, অনন্ত বিজয় দাশ সকাল ৯টার দিকে সুবিদবাজারের বনকলাপাড়া এলাকায় তার বাসা থেকে বেরিয়ে রিকশায় করে শহরের দিকে আসার সময় হামলার মুখে পড়েন।
বরাবরের মতোই আগে থেকে ওত পেতে থাকা চারজন তাকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাঞ্ছনা আর বঞ্চনার গল্প
মৌটুসী বুয়েট থেকে মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে বেরিয়েছে কিছুদিন হলো। তার পরীক্ষার ফলাফল খুব ভালো। আমেরিকার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ হয়ে গেলেও ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় পরের সেমিস্টারে যেতে হচ্ছে তাকে। প্রায় ছয় মাসের এই সময়টুকুতে একটা চাকুরী করতে চাচ্ছিল সে।
তিন বৎসর পর ওদের ভর্তির টাকা জমা হলো। ওরা ভর্তি পরিক্ষায় উৎরে গেল। শুরু হলো নতুন যুদ্ধ। আমার বাসায় কখনো গৃহ শিক্ষক রাখা হয়নি, কখনো ওদেরকে কোচিং করাই নি। তবুও ওরা মেধা স্থান দখল করতো, বৃত্তি পেতো। আমি রাত জেগে ওদের জন্য নোট করতাম, তার পর যখন নোটে চোখ বুলাতাম সব ক্লান্তি দূর হয়ে যেত। পাবলিক পরীক্ষায়ও ওরা সব চেয়ে ভাল রেজাল্ট করেছে। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, ওদেরকে আনন্দময় শৈশব দিতে পারি নি। একটা গল্পের বই বা খেলনা পাবার জন্য ওদেরকে মেধা স্থান দখল করতে হতো। পছন্দের টিফিন খাবার জন্য এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হতো। কারন সপ্তাহে একবারই ওরা টিফিনে টাকা পেতো।
আমরা বলি সত্য কেবল
অন্যরা সব মিথ্যে কয়
বললে আমি হুক্কাহুয়া
আমার দলে সঙ্গী হয়
আমার আছে অস্ত্র ভারী
পাইক্যা বাপের দীক্ষা নেই
যে করতে চায় তর্ক তাহার
মাকে ধরে শিক্ষা দেই
চিৎকার ব্যান্ড সচলায়তনের নারী সপ্তাহ থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে তাদের "যতদূর" গানটি "নারী সপ্তাহ" উপলক্ষে উৎসর্গ করেছে। তাদের এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। সচলায়তনের পক্ষ থেকে চিৎকার ব্যান্ডের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা।
কয়েকটা ছবিতে সয়লাব হয়ে গেছে ফেসবুক। এখানে একটা তুলে দিলাম। হু বিষয়টা দুঃখজনক। একটা মেয়েকে এভাবে পুলিশ নির্যাতন করতে পারে না। এর নিন্দা জানাই। কিন্তু এটা নিয়ে ঘাটাঘাটি করার কোন মানে নাই। ইউ হ্যাভ টু বুঝতে হবে, পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের জন্যই কঠোর হতে হয়। আপনার এই ছবিটা দেখার পর কস্ট লাগবে, রাগ উঠবে, সেটাই হওয়া উচিত। আমারও হয়েছে। কিন্তু ইউ হ্যাভ টু এ তুকাতুকি মাইন্ড। আপনাকে তুকাতুকি, মানে খুঁজাখ
এক চা-বিক্রেতা মহিলা কথা প্রসঙ্গে আমায় বলেছিলেন, 'সন্তান কী কখনও মায়ের চেয়ে বেশী ভালবাসতে পারে! মায়ের কাছ থেকেইতো সে ভালবাসতে শেখে।
আজ মে মাসের দ্বিতীয় রবিবার, বাংলাদেশে 'মা' দিবস। মা'কে ভালবাসা জানাবার জন্য কর্পোরেট বিশ্ব দ্বারা নির্দিষ্ট দিনক্ষণ।
আজকের দিনে সন্তানেরা তাঁদের মা'কে ফুল, উপহার সামগ্রী ইত্যাদি দিয়ে মায়ের প্রতি তাঁদের ভালবাসা প্রকাশ করবেন।
সেদিন বিকাল ৫টা হবে অথবা এর একটু পর। এখন আর মনে পড়ছে না ঠিক ঠাক সময় বা মুহূর্ত। আমি পান্থপথে, ওই যে আসবাবের দোকানগুলো ছিল না, সে পাশ দিয়ে হেঁটে মোড়ের দিকে আসছিলাম অফিসে সেরে রিকশা নেব বলে। দুপুরের কিছু পরে বৃষ্টি হয়েছিল তাই এক পাশে পানি জমেছিল বলে রাস্তার কিছুটা মাঝে দিয়ে হাটছিলাম। একটু পরে উলটো দিক থেকে এক মোটর সাইকেল আসছিল। তো, মোটর সাইকেল পুরো গাঁ ঘেষে গেল, আমি সরতে গিয়ে সরতে পারিনি। সরে কোথায়
মা দিবস যাই যাই করছে। কোনো বিশেষ দিন মনে থাকে না। এই দিনটাও ভুলে যেতাম ফেসবুক না থাকলে। আমার মাকে আমি অহর্নিশ জ্বালাতন করি। আজন্ম বন্ধুত্ব, একসাথে বেড়ে ওঠা আমাদের। সন্তানেরা বড় হলে মা-বাবা'র আরেক শৈশব শুরু হয়। আমি বড় হতে হতে আমার মা এখন ছোট্ট মেয়েটি হতে শুরু করেছে। দিনশেষে পথ চেয়ে বসে থাকে আমার আশায়। আমরা গল্প করি, ঘুরিফিরি, খাইদাই। বছরের যেকোনো দিন, যখন খুশি। তার জগতজোড়া অভিমান, আবদার আমা