আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুণ হবো ...................
আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুণ হবো ...................
আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুণ হবো ...................
আসছে ফাল্গুনে আমরা দ্বিগুণ হবো ...................
ব্লগ লিখুন পাতাটা খুলে চুপচাপ বসে আছি। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ফেইসবুকের এক গ্রুপে মেসেজ পেলাম অভিজিৎদার সাথে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। অভিজৎদাকে ফেইসবুকে মেসেজ করে কনটাক্ট চাইলাম। তখনও জানিনা কি ঘটেছে...
কাছের মানুষের সস্তা ধর্মানুভূতির কথা মাথায় রেখে কিংবা স্বার্থপরের মত নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করা মানুষগুলোর অধিকাংশই ছদ্মনামে বা বেনামে লেখালেখি করে । ধর্মান্ধ মৌলবাদীদের ধারালো চাপাতি তাই খুজে পায় অভিজিৎ রায়ের মত মুখচেনা মানুষগুলোকেই । কারণ ? কারণ ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে লেখালেখি করা হাজারো পরিচয়হীন ব্লগারের ভিড়ে অভিজিৎ রায়দের খুব সহজেই আলাদা করে ফেলা যায় বলেই । আমার মত মেরুদণ্ডহীন বেনামী ব্লগার চাপা চিৎকার করে যাই । গুমরে কাঁদি । মৌলবাদীদের ভয়ে ছদ্মনামের আড়ালে লুকিয়ে বৃথা আস্ফালন করে যাই । কারো টনক নড়ে না । কারণ আমাদের পরিচয় নেই । আমাদের ছদ্মনাম হালনাগাদ করা নেই ভোটার তালিকায় । আমাদের নেই কোন সংগঠন । রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে আমাদের যৌক্তিক দাবীও তাই বেনামী নাস্তিক ব্লগারের প্রলাপ । অভিজিৎ রায়ের আদর্শ ( মুক্তচিন্তা এবং প্রগতিশীল চিন্তা ) বুকে নিয়ে আমরা গোপনে এক প্রগতিশীল বাংলাদেশের স্বপ্ন লালন করে যাই । অথচ আমাদের চেনা গণ্ডীর মানুষের কাছে সে আদর্শ থেকে যায় অজানা, কোন এক নাস্তিকের আদর্শ হিসেবে । অভিজিৎ রায়ের মত প্রগতিশীল মানুষ তাদের মনের কোন এক কোনে জায়গা পায় ধর্মানভূতিতে আঘাত দেয়া এক নাস্তিক ব্লগার পরিচয়ে ।
'আচ্ছা, বন্যাপা, আপনি এই ফেব্রুয়ারি মাসটা বাংলাদেশকে মিস করেন না?'
'হ্যাঁ, ভাই, ভীষণ মিস্ করি! আমাদের মেয়ে এতদিন স্কুলে ছিল দেখে এ সময়ে দেশে যেতে পারতাম না।'
আপনারা অবগত আছেন যে মুক্তমনা ওয়েবসাইটটির প্রতিষ্ঠাতা, বিজ্ঞান ও যুক্তি বিষয়ক বইয়ের জনপ্রিয় লেখক, আমাদের সহযোদ্ধা অভিজিৎ রায় ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে মৌলবাদী দুর্বৃত্তদের চাপাতির আঘাতে নিহত হন। একই হামলায় সাথে থাকা তাঁর স্ত্রী লেখিকা রাফিদা আহমেদ বন্যা গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
জানি, নিশ্চিত করেই জানি এখানেই থেমে যাবে সবকিছু। কিচ্ছু হবে না। কিচ্ছু হয়না এখানে। এই অন্ধকারে, বদ্ধ আবহে নিঃশ্বাস নেওয়ার মতো অবশিষ্ট থাকবে না আর কোনো বিশুদ্ধ বাতাস। প্রতিবার কিছু বোকা মানুষ তড়পাবে, কাঁদবে, মুষ্টবিদ্ধ হাত উপরে তুলে প্রতিবাদ করবে... তারপর সেই যুথবদ্ধ কণ্ঠের মাঝ থেকে সবচেয়ে তীব্র কণ্ঠটাকেই নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হবে।
না, আজকে হতাশার কথা লিখতে বসি নাই। এর আগে এই সচলেই বহুবার লিখেছি এই দেশের কিচ্ছু হবেনা। কথা সত্য, কিচ্ছু হবেনা, এই দেশের মূল সমস্যা মৌলবাদীরা না, মূল সমস্যা মধ্যপন্থা অবলম্বনকারী চুতিয়া নাগরিকেরা, যারা দুধে-গুয়ে মিলিয়ে থাকতে আগ্রহী। আমাদের দেশের ধার্মিকেরা ধর্মকে বুফ্যের মত মানে, যার পোলাউ ভাল লাগে সে পোলাউ নেয় যার বিরিয়ানি সে বিরিয়ানি, কিন্তু যখন মাদ্রাসার শিক্ষিত জঙ্গিরা ভাল মানুষের কল্লা নামায়
হুমায়ুন আজাদের পর এবার ব্লগার অভিজিৎ ও তার স্ত্রী বন্যার ওপর আক্রমন হলো। আক্রমনের উদ্দেশ্য-পদ্ধতি-কারণ একই। এরা কারোও কোন ক্ষতি না করে কিছু একটা লিখেছেন এবং এতে ধর্মের নিশানওয়ালাদের অনুভুতি আহত হয়েছে। আগে এই আহত অনুভুতির মাশুল দিতে হয়েছে হুমায়ুন আজাদকে, ব্লগার রাজীবকে। আজ এই মাশুল দিতে হলো অভিজিৎ দম্পতিকে। হুমায়ুন আজাদ প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। অভিজিৎ প্রাণে বাঁচতে পারেননি।
একুশের বইমেলার থেকে ফেরার পথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে মুক্তমনা ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা লেখক অভিজিৎ রায়কে । গুরুতর আহত হয়েছেন স্ত্রী ব্লগার রাফিদা আহমেদ বন্যা।
ফাক!
http://www.banglanews24.com/beta/fullnews/bn/371811.html
প্রথম পর্ব এখানে
দ্বিতীয় পর্ব এখানে
[justify]মেসের জীবন আমার কখনই ভালো লাগতো না।
কিন্তু আমাকে যে কতবার মেস বদলাতে হয়েছে তার ঠিক নেই। প্রায়ই দেখা যায় আমাকে কেউ বলছে, “আরে তানিম! কি খবর?”