প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।
এতক্ষণে একটু দম ফেলবার সময় পেল শাঁওলী। মা গো! কাল সেই সকাল থেকে শুরু করে আজ এই ঘণ্টাখানেক আগে অব্দি যা ঝড়টা গেল! প্রথমে তো হলুদ, তারপর এক এক করে আশির্বাদ, বিয়ে থেকে আজ সকালে বাসি বিয়ে। ইস! বিয়ে করে নাকি কেউ?
ওভারব্রিজের অন্ধকার একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আলো দেখছিল পলাশ। অন্ধকার থেকে আলো দেখার আলাদা একটা মজা আছে। এখনো বেশ ভিড় ব্রিজের উপরে। অনেক লোকজন এপাশ ওপাশ দিয়ে খালি নামে আর উঠে, হনহন করে হাঁটে। ‘প্রতিদিন এরা কই যায় এতো?’ পলাশের মনে হয়। পলাশ তার এখনকার নাম। আগে নাম ছিল সয়ফল। তেমন জুতের নাম ছিল না। সয়ফল বা পলাশ, অথবা পলাশ বা সয়ফল আদতে একটা বেজন্মা। তার আলাভোলা মুখ দেখে তা বোঝার উপায় নেই। আগে কেবল জন্মসূত্র
অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক যে ছিল গাঁ, সেই গাঁয়ে ছিল দা-রু-ণ মিষ্টি এক বাবা, আর ভী-ষ-ণ মিষ্টি এক মা। আর তাদের ছিল দা-রু-ণ মিষ্টি এক সংসার। এমন মিষ্টি সংসার নাকি ত্রিভুবনে কেউ দেখেনি। সেই সংসারে সুখ, শান্তি আর ভালোবাসার কমতি ছিল না কোনো, ছোট্ট বাড়িটার চারপাশে ছিল ভালোবাসার ছড়াছড়ি।
সৃষ্টির মাহাত্ম্য কখনও কখনও কি সৃষ্টিকর্তাকেও আড়াল করে দাঁড়ায় না?
স্বীয় ঔজ্জ্বল্যে কি ঢেকে দেয় না সৃষ্টির দিনক্ষণ, বিবরণ?
টিকাটুলী থেকে রিকশা নিয়ে প্রেসক্লাব অতিক্রম করতে করতে ভাবতে থাকি আমরা। ভাবতে ভাবতে হাইকোর্ট পার হই। দোয়েল চত্বর অতিক্রম করে একসময় পৌঁছে যাই বাঙালির প্রাণের মিনার শহীদ মিনারে।
গদির কলা খাইবা রে?
আইসো তবে ভাইবারে।
পাকিস্তানের বিশ্বকাপরঙ্গ চলার আগেই, এশিয়া কাপ চলার সময় এদেশীয় পাকি-পেয়ারুদের শীৎকারের আবেগ থামাতে একটা লেখা লিখেছিলাম। আজকাল আর পাকি সমর্থক তেমন পাওয়া যায় না, আড়ালে-আবডালে তাদের চাপা কান্না শুনি, তবে ফেসবুকে হাহাকার (পড়ুন ম্যাৎকার) কমে গেছে। এখন তারা কথা বলে ব্যালেন্সিং করে, ভারত হারলে খুশি হয়,কিন্তু পাকি হার-জিতে আবেগ প্রকাশ করলে আশেপাশে দুষ্টু 'খেলার সাথে রাজনীতি' মেশানো লোকজন দৌড়ে এসে ভরে দেয়।
সেই লেখার আর ২য় পর্ব লেখার আগ্রহ বোধ করিনি। কিন্তু অলস বসে আছি বলে মনে হলো, লিখেই ফেলি (অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা)। পাকি-পেয়ারুদের যত বাগারম্বড় তো সেই এক বিশ্বকাপ জয় নিয়েই। শুরু করি পাকিস্তানের বিশ্বকাপ কাহিনী।
মহাভারতমতে যাদব আর পাণ্ডব বংশ দুইটা শুরু হইছে ভৃগুমুনির পুত্র শুক্রাচার্যের কন্যা দেবযানী এবং তার সতিন; রাজা বৃষপর্বার কন্যা শর্মিষ্ঠার গর্ভ থাইকা রাজা যযাতির ঔরসে। দেবযানী গর্ভজাত রাজা যযাতির বড়ো পোলা যদু থাইকা যাদব বংশ যার শেষ মাথায় পাই কৃষ্ণরে। শর্মিষ্ঠাগর্ভজাত যযাতির ছোট পোলা পুরু থাইকা পয়লা পুরু বংশ তার পর কুরু বংশ তারপর পাণ্ডব বংশ; যার শেষ মাথায় পাই পঞ্চপাণ্ডব। তো শর্মিষ্ঠার পোলা পুরু থাইকা
গ্রীষ্মের ছুটিতে আমরা মানে আমি রিমা মা-বাবা আর তিন্নিমাসীরা মানে তিন্নিমাসী, অরুণমেসো আর ওদের তিনবছর বয়সী ছোট্টো মেয়ে বুবলি সবাই মিলে বেড়াতে এসেছি। তিন্নিমাসী মায়ের স্কুলের বন্ধু ছিল। মা আর তিন্নিমাসী একসঙ্গে পড়েছিল ক্লাস ফাইভ থেকে টেন অবধি।
[ একুশের দিনটি লাল একটি দিন বৈকি। এই দিনে এক বসায় লেখা তিনটি গল্প প্রচেষ্টাও কিভাবে যেন লাল হয়ে গেল। ফ্যাকাশে লাল না, রক্তের মত টকটকে লাল। তাই লালচে শিরোনাম দিয়ে দিলাম। আমি গল্পলেখক নই, ভুলত্রুটি ক্ষমার্হ। ]