একুশে বইমেলায় ২০১৫ সালে প্রকাশিত সচল ও অতিথি সচলদের বইয়ের তালিকা এই পোস্টটিতে যোগ করা হলো।
“তুমি কারও সাথে ছবি তুলতে যাবে না, সবাই তোমার সাথে ছবি তুলতে আসবে।“২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে সদ্য কৈশোরউত্তীর্ণ তামিম ইকবাল যখন সচিন, সৌরভ, দ্রাবিড়দের সাথে ছবি তুলতে ছুটে গিয়েছিল কোচ ডেভ হোয়াটমোর তাকে নিবৃত্ত করেছিলেন।
(এই লেখাটি পত্রিকার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছিল। কিন্তু যেহেতু বইমেলার সময় আর বেশি নেই আমি উইথড্র করে এখানে দিয়ে দিলাম।)
অনুষঙ্গ: একুশে বইমেলায় প্রকাশিত সচলদের বইয়ের লিস্টি পেতে চাই।
একজন জানতে চাইলেন, কবে, কখন বইমেলায় যাচ্ছি।
[ কোবি ও কোবিতা, সর্বাধিক প্রচারিত আলুভাজা, পথিমধ্যে সস্তা বেগুনপোড়া, দেশীমুর্গীর ঝালফ্রাই, জিন্সের পাতলুন, কাছা দেয়া লুঙ্গি, বুকপকেটওয়ালা পাঞ্জাবি, ইলাস্টিক দেয়া পাজামা, চিনি ছাড়া দুধ চা, স-টিকেট রেলভ্রমণ, চলচ্চিত্র, বই, নাটক, রঙের মানুষ আর বইমেলা নিয়ে একটি অগোছালো ব্লগর ব্লগর। নিজ দায়িত্বে পড়বেন। যারা এখনও বইমেলায় যেতে পারেননি তারা দূরে থাকুন। পরে উত্তেজিত হৃদয়ের অন্তস্থল থেকে উৎসরিত উত্তপ্ত-ক্ষিপ্ত-বাক্যবর্ষণ কাম্য নয়। ]
পাশে চায়ের কাপটা নিয়ে বসে আছি বেশ কিছুক্ষণ। নানা ভাবনা চিন্তার মাঝে গরম ধোঁয়া ওঠা চা কখন যেন ঠান্ডা হয়ে গেছে। ইদানিং চা এর নেশাটা খুব পেয়ে বসেছে, অফিসে, ক্যাম্পাসে বাসায় একা ঘরে সব সময় চায়ের কাপটাকেই সবচেয়ে বেশি আপন মনে হয়। একবার কোলকাতার একটা বই এর দোকানে লেখা দেখেছিলাম, “Royalty, liberty, sensuality… you will find tea in all good things of life!” কথাটা বেশ মনে ধরেছিল। বেশ ছোট ছিলাম তখন, কিন্তু ও
সরষেফুল শীতের মাঠকে অন্যরকম সৌন্দর্য দেয়। কিন্তু সেই সৌন্দর্যের আড়ালে হারিয়ে যায় প্রকৃতির ক্ষুদ্র অনেক সুন্দর। কবি গুরু যেমনটি বলেছিলেন, পার্বতমালা, সিন্ধু দেখতে গিয়ে ধানের শীষের ওপর শিশিরকণার সৌন্দর্য আমাদের দেখা হয়ে ওঠে না। শীতে সরষে ফুলের আগুনলাগা সৌন্দর্যও তেমন। মাঠ-ঘাটের অনেক সুন্দরকে আড়াল করে দেয়। বিশেষ করে ঘাসফুল তার নির্মম শিকার।
কবিরা যুক্তি মানেন না আর ধার্মিকেরা যুক্তি বানান। এতে কোনো ঝামেলা নাই কারণ কাব্যকাহিনি যারা পড়েন আর ধর্মকথন যারা মানেন তারা ভিন্ন ভিন্ন লোক; ভিন্ন ভিন্ন রঙের অন্তর নিয়া তারা বসবাস করেন ভিন্ন ভিন্ন জগতে; যদিও দুই দলই ভিত্তি করেন মূলত কল্পনায়। পার্থক্য শুধু এই যে কাব্যভক্তরা কল্পনারে কল্পনা জাইনা বিনোদিত হন আর ধর্মভক্তরা কল্পনারে সত্য জাইনা করেন বিশ্বাস...
উচ্চশিক্ষার অকালসমাপ্তি করে একটা টিউবে মাস্টার্সের সার্টিফিকেট আর দুই লাগেজে স্থাবর-অস্থাবর সকল সম্পত্তি ভরে বছর দুই আগে চ্যাপেল হিল ছেড়েছিলাম। সেই থেকে মোটামুটি অস্তিত্ব থেকে ইলোপ হয়ে গিয়েছিলাম। সব সময় পরিকল্পনা মত সবকিছু হলে যা হয়, অনাকাঙ্খিত ব্যার্থতা গ্রহণ করার সক্ষমতা গড়ে উঠে না। বিদেশ বিভূঁই, যেখানে পায়ের নিচের মাটি সতত সরণশীল, এই ব্যাপার শেখার আদর্শ পরিবেশ না। তাই গত দুই বছর নিজের মুখোমুখি
সরু গলিপথ। বাঁয়ে ঘোলা জলের পুকুর। জলের ছাদে কলমিলতার সাজানো বিছানা। ডানে সারিবদ্ধ ঘুপচি দোকান। একটি সেলুন, একটি লণ্ড্রি এবং একটি দর্জিঘর। দর্জিঘরের পাশেই বাঁধানো গেটের ভেতর সাজানো নিঃসঙ্গ কবরখানা।
কবরখানার উল্টোদিকে প্রাচীন মসজিদ। মসজিদের পাশে সারি বেঁধে শুয়ে কাজীবাড়ির সাতপুরুষ।
খোদার ঘরের দরোজায় মেহেরবানীর প্রতীক্ষায় লুলা ভিখিরির তোবড়ানো বাটি। খিদে পেটে জপছে আল্লা রসুলের নাম।