জানালার ফাঁক গলে দেখা ঘাসের পাপোষে লেপ্টানো রৌদ্রের উজ্জ্বলতা যতটা মনে ধরেছিল রাস্তায় বের হয়ে আসার পর তা আর স্থায়ী হয়না বরং ফুটপাত থেকে ঠিকরে আসা আলোর গনগনে উষ্ণতাকে কষে থাপ্পড় লাগাতে ইচ্ছে করে আজাদের তারচে‘ সকালের মিঁউ মিঁউ বেড়ালছানার মত উম উম নরোম আলোটাকে সহানুভূতিমাখা বলে মনে হয় ওর হয়তোবা ওর পাংচারড্ মনের আকুল অবস্থার সাথে খাপ খায় বলেই। গলায় আটকানো কাঁটার মতো মনপিন্ডের ভেতরে খচ খচ করে খোঁচাচ্ছে মিথ্যাটা এখন, কেন যে হঠাত্ করে নিজের এথন
অত:পর বিনিয়োগ আসছে। বিনিয়োগের মিটারে মাপা হচ্ছে সরকারের সাফল্য,অর্থসচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ,অর্থমন্ত্রীর মেয়াদ।বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান মনের সুখে ঘুরে বেড়াচ্ছেন দেশ থেকে দেশে,প্রথম আলোর পিচ্চি সাংবাদিকরা টাটা নগর দেখে এসে যে বর্ণনা দিচ্ছে, বেহেশত ঘুরে এসেও সাঈদী সেই বর্ণনা দিতে পারবেন না তার রসনায়,সেমিনারে দেবব্রত বাবু গ্রাফ একে আমাদের চোখ ঝলসে দিচ্ছেন; আর আমরা ভেবে যাচ্ছি,আর মাত্র কয়েকটা দিন,একটু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা,একটু অবকাঠামোকে ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করা,তারপরই শুরু হবে দুধে ভাতে পেটপুরে রাম ঢেকুর।
আমাদের কেউ বলছে না,বা আমরাই শুনতে আগ্রহী নই,আমরা চাইও না ইতিহাস পড়তে ,(অন্যদের তো পরের কথা,আমাদের নিজেদের ইতিহাস পড়লেও পরষ্পরকে গালি
অধিকৃত উপনিবেশগুলোতে চরম নিষ্ঠুরতার উদাহরন সৃষ্টি করলে ও বৃটিশরা নিজেদের ভু-খন্ডে, নিজেদের জন্য একটা জবাবদিহি মুলক বিচার ব্যবস্থা সফল ভাবে তৈরী করেছে অনেক আগেই ।
সেই ১২১৫ সালের 'ম্যাগনা কার্টা' তে ব্যক্তিস্বাধীনতার ঘোষনা এসেছে যা ' হ্যাবিয়াস কর্পাস' নামে বহুল পরিচিত । এর মুল বক্তব্য হচ্ছেঃ
কোন অবস্থাতেই একজন সাধারন নাগরিককে বিনা বিচারে আটকে রাখা যাবেনা ।
কালক্রমে বৃটেন পরিনত হয়েছে ব্যক্তিস্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার
আমিই প্রথম এবং আমিই শেষ
আমিই সম্মানিতা এবং আমিই ধিক্কৃতা
আমিই পতিতা এবং আমিই পবিত্রা
আমিই স্ত্রী অথচ আমিই কুমারী
আমিই মাতা এবং আমিই কন্যা
আমিই আমার মায়ের সন্তান-সন্ততি
আমিই বন্ধ্যা এবং শত সন্তানের জননী
আমারই বিবাহ-উত্সব ছিল ভুবনখ্যাত
এবং আমিই কোনো স্বামী গ্রহণ করিনি
আমিই ধাত্রী এবং যে কিছুই ধারণ করে না
আমিই আমার প্রসব বেদনার শান্তনা
আমিই বর এবং আমিই কনে
আমার স্বামীই আমাকে জন্ম দিয়েছে
আমার বাবার আমিই মা এবং
আমার স্বা
( সুমেরু'র ভয়ে, নেট চুরি করে ছবি ঝোলানোর খায়েশ বাদ দিয়ে দিলাম )
তিনটে শকুনী ।
বৃহৎ বৃক্ষে উপবিষ্ট ছিলো তারা ।
বৃক্ষ ছিলো বৃহত্তম খাঁচায় পুরা ।
পুর্ন উদরে তৃপ্ত শকুনীগন,অতীব মহান
আমাদের করের টাকার উত্তম সম্প্রদান ।
তারপর, পরবর্তী খাঁচা দর্শন ।
একটি মানুষ ।
নিজের বিষ্ঠাই তার আয়োজন ।
চিনলাম ।
পাড়ার সাবেক ডাক পিয়ন ।
প্রতিটি দরজায় যে কড়া নাড়তো,
আর বলতো- 'শুভ দিন আসুক,সবার জন্য '
হুররে!আমাদের শুভ দিন এসে গেছে । ।
***লেখার অণুবীজ সংগৃহীত, চার্লস বুকস্কির কবিতার খামার থেকে ।
এক পথিক হেটে যাচ্ছিলেন পথ দিয়ে।পথে দেখতে পেলেন এক চড়ুই পাখি চিৎ হয়ে শুয়ে আছে তার পা দুটি শূণ্যে মেলে দিয়ে।
ফেরার পথে পথিক আবার সেই একই দৃশ্য দেখলেন।এবার পথিক কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,'' চড়ুই,কী হয়েছে তোমার?
চড়ুই বললো,''আমি খবর পেয়েছি,আজ আকাশ ভেঙ্গে পড়বে পৃথিবীর বুকে।আমি তাই পা আকাশের দিকে তুলে দিয়েছি।আকাশটাকে ঠেকাতে হবে।''
পথিক হেসে বললেন,''বোকা চড়ুই,তুমি কি মনে করো তোমার কাঠির মতো সরু ঐ দুইটি পা দিয়ে তুমি আকাশকে ধরে রাখতে পারবে?পারবে পতন ঠেকাতে?''
চড়ুই বললো,'' তা হয়তো পারবো না।তবু মৃত্যুর আগে আমি এ সান্তনা নিয়ে যাবো,আমি আমার সীমিত সাধ্যের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছিলাম।''
(নারীকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে একক ঈশ্বরের প্রবক্তারা-৩)
মূল কথা ছিল নারীপ্রধান বা মাতৃতান্ত্রিক একটা সমাজ যদি আদিকালে থেকে থাকে তবে সে সমাজে মাতৃমূর্তি বা নারী-ঈশ্বর বা দেবীদের উপাসনা হওয়ারই কথা। এখন আমরা একক ঈশ্বরের ধারণা পৃথিবীতে চালু হওয়া ও তার সাথে মহাদেবী বা নারী-ঈশ্বর পূজার বিরোধের সন্ধান করতে পারি।
বাইবেল ও কোরানে আদম-ইভের যে ঈশ্বরের গল্প আমরা পাই তার বয়স মানুষের চেয়ে অনেক কম। নবী মুহাম্মদকে আদমের ২৫ তম প্রজন্ম ধরে আদম ও তার সন্ত
এক(গাজিঁতা সংস্করন)
নি:শ্বাসের কার্বন বৃক্ষ হন্তারক ,কে বললো ?
আরিফের দীর্ঘশ্বাসে তো গাছেদের মড়ক লাগলো না।
এক(হুশ সংস্করন)
নি:শ্বাসের কার্বন বৃক্ষ বর্ধক ,কে বললো ?
আরিফের দীর্ঘশ্বাসে তো সুন্দরবনের গাছগুলি সাতআসমানের উপরে গেল না এখনো।
দুই.
একটা জীবন যদিও ডাকে,
আরেক জীবন আটকে রাখে;
হায় আরিফ,তুমি পড়ে গেছ দুই সতিনের ফাকে।
তিন.
এইটুকু পথ যাবে বলে,এতো জোরে দৌড়েছিলে?
অথচ আরিফ,জীবনকে নিয়ে একদিন তুমি কতো কিছুই না ভেবেছিলে।
(অদ্য রাতে সাধক শন্কুর আগমনে ব্লগে যে ধোয়াঁশা সৃষ্ঠ হইয়াছে,তাহাতে প্যাসিভ ধুমপানে দুষ্ট হইয়া কিছু শের ঝাড়িয়া দিলাম।কাব্যামোদীরা পড়িয়া ব্যথা পাইলে এক চিলিম টানিয়া যায়েন অধমের সাথে)
ব্লগীয় অপরবাস্তবতায়, ঠিক সে রকম বন্ধুতা গড়ে উঠে কিনা জানিনা । জানিনা, অথবা জানি ।
সামহোয়ার ইন কে ঘিরেই তো এরকম জানা শোনা হয়ে গেলো বেশ । কিছু নতুন বন্ধুকে পেয়ে যাওয়া, কোন কোন পুরনো বন্ধুকে ফিরে পাওয়া ।
এই সব গল্প ভিন্ন মোড়কে করা যেতে পারে আরেকদিন ।
আজ শুধু বলি, সেই শুরুর দিনে যার সাথে বন্ধুতা গড়ে উঠতে দ্বিধা হয়নি একেবারেই, প্রিয় ব্লগার 'হযবরল' সেই জন ।
আজ 'হযবরল' এর জন্মদিন ।
শুরুর দিকের অনেকগুলোর দিনে, আমরা কহলীল জিব্রান নিয়ে মেতে ছিলাম ।
আজ ক ছত্র জিব্রান প্রিয় হযু'র জন্য আবারো, সাথে কফিবীনের উপর জ্বলে উঠা নীল আগুন সহ সাম্বুকা ( পেগ আনলিমিটেড) .........
--------------------------------------------------------------
আমাদের শ্রমিকের সংখ্যা যতই হোক না কেনো তারা অধিকাংশই যে পরিমাণ পারিশ্রমিক পায় তাতে তাদের কোনোমতে বেঁচে থাকাটাও কষ্টকর। শ্রমশোষিত হওয়া এবং সরকারের বিমাতাসুলভ মনোভাবের কারণে যখন দেশের শিল্পায়নের পরিমাণ কমছে- এবং যেহেতু সরকার কোনোভাবেই পৃষ্ঠপোষকতা করছে না তাই চালু কারখানাগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে- প্রাকৃতিক উৎসে শ্রম দিয়ে জীবনধারণ করা মানুষের জন্য দুর্ভোগ হয়ে এসেছে প্রাকৃতিক উৎসগুলো ক্ষীণধারা হয়ে যাওয়ার বিষয়টা-
এ সময়ে উদ্যোক্তাদের ভেতরের ঐক্য একটা বিষয় নিশ্চিত করেছে- তারা সবাই শ্রমশোষণের নিমিত্তে একটা কৃত্রিম নীতি নির্ধারণ করে দিয়েছে- শ্্রমবাজারে এখনও নারী পুরুষ বৈষম্য আছে- শিশু নারী বৈষম্য আছে- এসব মিলিয়ে আমাদের হঠাৎ করেই একটা মানবিক মজুরি আন