Archive - 1970 - ব্লগ

তারিখ
  • সব
  • জ্যান
  • ফেব
  • মার্চ
  • এপ্র
  • মে
  • জুন
  • জুল
  • আগ
  • সেপ
  • অক্টো
  • নভ
  • ডিস
ধরন

May 2nd

বন থেকে বেরুলো টিয়া,লালটুপি মাথায় দিয়া...(জেবতিকের কোলাজ ভাবনা)

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: বুধ, ০২/০৫/২০০৭ - ৬:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

একটি ভাবনা:
জামাত-ই-ইসলামী বাংলাদেশ কে আমার যতোটা না পলিটিক্যাল পার্টি মনে হয়,তার থেকে বেশি মনে হয় এন.জি.ও কিংবা মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানি।খুবই প্রফেশনাল তাদের অপারেশন। একবার কলেজের শিবির সভাপতি তোফায়েল ভাই এসে আমার কাছে বিদায় চাইলেন (আমি তখন ছাত্রদলের একজন ছোটখাটো কর্মী,পাশাপাশি দুইটি কলেজের সাংগঠনিক বিষয় দেখভাল করার জন্য জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত)।তোফায়েল ভাইকে নাকি মৌলভী বাজার জেলা ছাত্রশিবিরের সাধারন সম্পাদক পোস্টে নিয়োগ দেয়া হয়েছে! সারা জীবন রাজনীতি করলেন সিলেট শহরে,আর সাধারন সম্পাদক হলেন মৌলভীবাজার জেলার,এ রকমই তাদের সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত।তোফায়েলের সাথে আমার আর দেখা হয়নি,তবে শুনেছি তিনি তার নতুন দায়িত্ব ভালো ভাবেই পালন কর


সৎ মানুষের খোঁজে- আজ আমাদের শ্রমিকদের নিয়ে আলোচনা দিবস

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বুধ, ০২/০৫/২০০৭ - ৫:৩৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আজ মহান মে দিবস, সারাদিন শ্রমিক শ্রেনীর স্বার্থ রক্ষা বিষয়ে নানাবিধ বক্তব্য আসবে, সেমিনার হবে- সভা হবে- আমাদের মধ্যবিত্ত এবং উচ্চ মধ্যবিত্ত মানুষের ভীড়ে নগন্য কয়েকজন শ্রমিকের মুখপত্র আসবেন তাদের কথা বলবেন, আমাদের মধ্যবিত্ত কবলিত শাসন ব্যাবস্থা থেকে তাদের নানাবিধ প্রতিশ্রুতি দেওয়া হবে।
এই রীতিটা এত বেশী প্রতিষ্ঠিত যে এর অকার্যকরতা এবং উন্নাসিকতা বিষয়ে সবাই অবগত। আজও তেমনটাই হয়েছে- এর ভেতরে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা তার বক্তব্য রেখেছেন- লক্ষ্য অবশ্য গার্মেন্টস কর্মীরা- বুঝলাম আমাদের পোশাক শিল্পে অধিকাংশ শ্রমিকই নারী- এটা নারী অধিকারেরও বক্তব্য হতে পারে তবে আমাদের উন্নয়নভিত্তিক পেশাজীবি সমিতি যারা বিভিন্ন পর্যায়ে আমাদের দরিদ্র অবস্থাকে পুঁজি কর


May 1st

:: রুহী ঠাকুর: গানের এই মানুষটা আজ মরে গেল ::

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৫/২০০৭ - ১১:৪০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আমাদের প্রাণের রুহী দা। রুহী ঠাকুর। লোক গান, বিশেষ করে সিলেটের আঞ্চলিক গানের এক প্রাণময় পুরুষ। আজ তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন। বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের ভাবশিষ্য ছিলেন রুহী ঠাকুর। ব্যক্তিগতভাবে আমি অসংখ্যদিন খুব কাছে থেকে তার গান শুনেছি। তার স্নেহ পেয়েছি। সহজিয়া এই মানুষ বড় মমতায় বলতেন, 'আইজ্ঞা, অপুভাই বালা আছুইন!' আমরা লজ্জায় পড়ে যেতাম তার বিনয়ে। বলতাম, দাদা আপনারা গুরুজন হয়ে যদি এভাবে কথা বলেন তা হলে শরম লাগে। তিনি আরও বিনয়ি হয়ে যেতেন। বল


সৎ মানুষের খোঁজ-

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৫/২০০৭ - ১২:১৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমাদের সততা আর সদগুনের বিবরণ লিপিবদ্ধ হয়েছে যিশুর জন্মেরও কয়েকশত বছর আগে যখন আলেকজান্ডার আসলো সিন্ধু উপকূলে- সে সময়ের ঐতিহাসিক বিবরণীতে লিপিবদ্ধ আছে এ অঞ্চলের মানুষ অত্যন্ত সৎ এবং সবাই স্বাধীন-

আমার বিশ্বাস করতে ইচ্ছা হয় এটা- আমরা সবাই স্বাধীন ছিলাম- কাউকে কোনোদিন দাসবৃত্তিতে বাধ্য করি নি- আমাদের পৌরাণিক গাঁথায় আর্যগ্রহন হওয়ার আগে আমাদের গাঁথাগুলো কেমন ছিলো- সাঁওতালী মানুষের বিশ্বাসের মতো? নাকি চাকমা আদিবাসীর বিশ্বাসের মতো- ওদের পৌরাণিক গাঁথাগুলো- ওদের সরল বিশ্বাস কিংবা ওদের সততা এখনও অক্ষুন্ন, যদিও দারিদ্র ওদের পিছু ছাড়ে নি এরপরও এইসব আদিবাসী মানুষের সারল্য আর সততার ঐতিহাসিক বাস্তবতা মিথ্যে হয়ে যায় নি-
পৈরাণিক যুগে যখন আর্যরা ক্ষমতা


সাদিক মোহাম্মদ আলম এর 'ফাকা আবেগ' তত্ব ও কলবের আয়না

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ৮:০৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


এই ব্লগে যারা আমার সুহ্রদ আছেন, সাদিক মোহাম্মদ আলম নিঃসন্দেহে তাদের একজন । প্রিয় ব্লগার তালিকায় তার নাম একটা স্থুল উদাহরন হতে পারে ।
সুহ্রদ সাদিক তার পোষ্টে আমার মন্তব্যের জবাবে আন্তরিক এক উপদেশ দান করেছেন । বলেছেন আমার 'এই এটিচুড' বদলানোর জন্য । কেনো বদলানো? কি লাভ বদলালে? 'এই এটিচুড' যতো দ্রুত বদলানো যাবে, তত দ্রুত নাকি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিশ্চিত হবে ।

'এই এটিচুড' কি রকম 'এটিচুড'? সাদিকেরই লেখ্যমতে 'এই এটিচুড' হলো- মুক্তিযুদ


April 30th

: আমাদের ক, খ, গ, ঘ, এবং ঙ :

নজমুল আলবাব এর ছবি
লিখেছেন নজমুল আলবাব (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ১২:৩৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ক.

বাড়ির সামনেই কবরটা। সাদা মার্বেল দিয়ে বাঁধিয়ে রাখা। আগে ছিল লাল রংএর ইটের দেয়াল। তিন বছর আগে দাদা যখন সার্টিফিকেটধারী রাজমিস্ত্রি হল তখন মার্বেল দিয়ে বাঁধিয়ে দিল। এতে নাকি তার মেধার উন্নতি হবে। আগামিতে সে হবে ফাঁটাফাঁটি ইঞ্জিনিয়র। এমনই আমাদের বিশ্বাস। আমরা সবাই বিশ্বাস করি। যতকিছু আছে আমাদের ভালো সবই তার দোয়ায়। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের বিপদ আপদ সবই হয় যখন তিনি রেগে যান।

খ.

আমাদের মূলত নির্ভেজাল জিবনযাপন। আমদের বাড়ির ছেলে মেয়েরা পড়ালেখায় ভাল। পাশ করার আগেই তারা কাজ পেয়ে যায়। ভালো ভালো সব চাকরি। ভালো সব ব্যবসা। সবই আছে আমাদের।

গ.

রোজ স্কুল, কলেজ অথবা অফিস যাওয়ার পথে আমরা শান বাঁধানো কবরটার সামনে দাড়াই। নতজানু


আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি,কার তাতে কী ?-(দ্বিতীয় এবং শেষ কিস্তি)

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ১২:০০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তিন.
কম্পিউটার টিপে টিপে আমার যে সামান্য কমনসেন্স জন্মেছে তাতে করে আমি নিশ্চিত জানি ইন্টারনেট একটি ফ্রি মাধ্যম এবং এখানে কোন কিছু সেন্সর করার কথা বলা অর্থহীণ।আমি সর্বভূক ধরনের প্রানী।ব্লগে আমি তাই চোরের ছড়া,রাসেলের শিশ্ন সমৃদ্ধ লেখা,ত্রিভুজের মহাজ্ঞানী লেখা হোসেইন আর রাগইমনের পাল্টাপাল্টি পোস্ট কোন কিছুকেই বাদ দেই না,সব গুলোই পড়ি। যেটা সঠিক মনে হয়,সেটাকে সমর্থন করি,যেটা ভুল মনে হয় সেটাও বলি আর যেটা বুঝতে সক্ষম হই না,সেটা থেকে নীরবে কেটে পড়ি।

ব্লগে অম্লীল শব্দ,বাক্য এগুলো বাদ দেয়া সম্ভব না জেনেই আমি ব্লগিংয়ের প্রথম দিকে সবার কাছে বিনীতভাবে জানিয়েছিলাম,আমার এসব ভালো লাগে না,এবং আমি এসব পড়া থেকে বিরত থাকি।আমি যেমন কারো লেখার অধিকারকে বন


আমরা যদি এই আকালেও স্বপ্ন দেখি,কার তাতে কী ?-(প্রথম কিস্তি)

আরিফ জেবতিক এর ছবি
লিখেছেন আরিফ জেবতিক (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ৯:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক.
গরীব একটা দেশে থাকি,এখানে বিনোদনের সত্যি সত্যিই খুব অভাব।আধুনিক দেশে যাওয়ার সুযোগ হয় নি,তাই পাব,বার,নাইট ক্লাব ,পথের মোড়ে মোড়ে ধন্যধান্যে পুষ্পে ভরা পার্ক,এসবের কিছুই নেই আমাদের। উইক এন্ড কেটে যায় কোন্ বাজারে মাছ সস্তা সে খবর নিতে নিতে, ঠাসাঠাসি করা খোপের মতো বাসায় থাকি,বাসার পিছে ব্যাকইয়ার্ড বলে কোন ফাকা জায়গা নেই যে আয়েশ করে বসে বারবিকিউ করে খাবো। বিনোদনের মাঝে আছে বেইলিরোডে নাটক দেখা,আজিজ অথবা ছবির হাটের ফুটপাতে বসে বিড়ি ফুকে আড্ডা,বসুন্ধরা আর ইস্টার্ণ
প্লাজায় জানালা দর্শন শেষে কুড়ি টাকা প্লেটে ফুচকা খাওয়া।

পুওর মধ্যবিত্ত;গাড়ি কেনার মতো সামর্থ নেই,বাসের গাদাগাদি ভিড়ে ঠেলাঠেলি করতে অসুবিধা আর কালো ক্যাব আর স্কুটারকে বাপ ডেকে


নারীকে ক্ষমতাহীন করেছে একক ঈশ্বরের প্রবক্তারা-১ (উত্সর্গঃ জামাল ভাস্কর)

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ৮:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সৃষ্টির অসীম রহস্যময়তা দেখে ভক্তিতে গদগদ হয়ে মাথা নোয়াতো অসহায় আদিম মানুষ। সৃষ্টির যত কর্মকান্ড তার মধ্যে সবচে জরুরি, তখনও মানুষের ব্যাখ্যা-অজানা আর গুরুত্বপূর্ণ ছিল মানব-জন্ম। (নারী আর পুরুষের মিলনের মধ্য দিয়েই ঈশ্বরকে বন্দনা করতো একসময় মানুষ। এই মিলন তখন ছিল উপাসনা, পবিত্র কর্ম। যখন নারীদেহ নাপাক ঘোষিত হলো তখন এই মিলন হলো নিষিদ্ধ আর পাপকর্ম।) আর এই অসম্ভব জটিল কর্মকান্ডটা ঘটতো নারীর উদরে; বিমুগ্ধ পুরুষের কাছে নারী ছিল তাই জীবনের আরেক নাম


সৎ মানুষের খোঁজে- সততা আসলেই দারিদ্র বয়ে আনে- ০১

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ৬:৩৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সব মানুষের সমান অধিকারের কথা ইশ্বর নির্মাণকারী কোনো ধর্মই বলে নি, নিরীশ্বর নৈতিকতাই সব সাম্যতার বোধের জন্ম দিয়েছে- নিরীশ্বর নৈতিকতাই সকল মানুষের সাম্যের কথা বলেছে- মানুষের অপরিমিত সম্ভবনার কথা বলেছে, বলেছে মানুষের জন্মগত যোগ্যতা আছে- এসব নীতির পেছনে কোনো শিখন্ডী ইশ্বর ছিলো না।
ইশ্বরপ্রধান ধর্মে মানুষের বর্ণাশ্রম প্রকারান্তরে মেনে নেওয়া হয়, কেউ কেউ বেশী যোগ্য হয়েই জন্ম নেয়, কেউ কেউ ক্ষীণযোগ্য হয়ে জন্ম নিবে- এটাই ইশ্বরের অভিপ্রায়= তিনি এভাবেই মানুষের পরীক্ষা নেন- এ অসমতা আসলে মানুষের ইশ্বরপ্রণততার পরীক্ষার নিমিত্তেই তৈরি করা হয়েছে। এমন একটা অর্থনৈতিক- যৌক্তিক কিংবা অযৌক্তিক অসমতাও মেনে নেওয়া হয় ইশ্বর প্রধান ধর্মে- এই মৌলিক নীতি ধর্মে প্রোথি