প্রায় তিনশ’ দিন পার করে এই ধারাবাহিকের ১০০তম গল্পটি থাকছে আজ।
ঈশপের গল্পগুলিতে নানা জন্তু, গাছ, প্রকৃতি মানুষের মত কথা বলে, কখনো বা মানুষদের মত আচরণ করে। এই অবাস্তবতার মোড়কে ধরে রাখা থাকে আমাদের চারপাশের একান্তই বাস্তব জগৎটি। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে রচিত ভিনদেশী এই গল্পগুলি স্থান-কালের সীমানা পেরিয়ে আজো আমাদের চেনা জগতের কথা বলে যায়।
অপ্রকাশ
প্রণয় সে গোপন গভীর থাকা ভালো।
শহরের উষ্ণতম সরোবরের অভিমানী জলে-
শীত-দুপুরে কোন ঘুম ভাঙানিয়া স্নান,
তারও চেয়ে ভালো, ডুবে ডুবে ডুবে
পানকৌড়ির অলৌকিক আহবান।
[আইজ্যাক আসিমভ আমার অন্যতম প্রিয় লেখক। তার 'হাঊ ডিড উই ফাইন্ড আউট' সিরিজের 'যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার' বইটি অনুবাদের একটি প্রচেষ্টা নিলাম। আজ শেষ পর্ব]
যেভাবে আমরা জানলাম পৃথিবী গোলাকার- আইজ্যাক আসিমভ (দ্বিতীয় পর্ব)
জুবায়ের কখনো কখনো সখের বসে কবিতা লিখতো, মুখে মুখে রচিত কবিতা আবৃতি করে শোনাতো, সে সব আমি জানি। কিন্তু জুবায়ের যে কখনো ছড়া লিখতো বা লিখেছিল, সেটাই আমার জানা ছিল না। এবার ঢাকা থেকে ওর প্রকাশিত হওয়া বেশ কিছু পুরনো লেখার কাটিং (যে সব কিনা ওর বোন ঝর্ণা সংগ্রহ করে রেখেছিল।) সাথে করে নিয়ে এসেছিলাম।
তুমি গান গাও, যেন আকাশে সূর্য ওঠে
যেন সবুজ জিভে রিনরিনে সুর ভাঁজে সরল পাইন
যেন শীতের বুক চেরে পাখির সুরেলা শিস
তোমার কন্ঠস্বর মুহূর্ত থেকে গমের তুষ ছাড়িয়ে নেয়।
সাগর তার গভীর শস্যভাণ্ডারে জমিয়ে তোলে ঘন্টাধ্বনি,
পায়ের খসখস, শেকলের ঢং আর গুঙিয়ে ওঠা কান্না,
জমিয়ে তোলে সুরহীন ধাতুর আওয়াজ, ভবঘুরে
রায়হান খুব মনোযোগ দিয়ে ফেসবুকে তার বন্ধু মাসুদের স্ট্যাটাস আর কমেন্টগুলো পড়ছিল। রিলেশনশিপ স্ট্যাটাস বদলেছে মাসুদ, সেটা নিয়ে তুমুল পঁচানি চলছে মাসুদের ফেসবুক ওয়ালে। পাশের ঘর থেকে মা আর কাজের বুয়ার আলাপ কানে আসছে; বুয়ার জামাই নাকি রিক্সা চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েছে গতকাল সন্ধ্যায়।
।। ১।। মা'র জন্মদিনে তাকে নিয়ে জিয়া উদ্যান ঘুরতে গিয়েছিলাম পড়ন্ত দুপুরে, দেখলাম, ১২-১৩ বছরের কতক নগ্ন, অর্ধনগ্ন কিশোর দুপুরের গরমের মাঝে জিয়া উদ্যানের পানিতে সাঁতরে বেড়াচ্ছে, আমাকে ঈর্ষান্বিত এবং বাকরুদ্ধ করে দিয়ে তাদের কয়জন জিয়া উদ্যানের প্রায় আড়াইতলা উঁচু ব্রিজটার ঠিক উপর থেকে ডাইভ দিয়ে পানিতে পড়তে লাগল!
এমনিতে ঘুমের ক্লাসে মোটেই ঘুমাতাম না, একদিন কীজানি কী হলো ঘুমের ক্লাসে খুব ঘুমিয়ে পড়লাম। ঘুমের আগে শেষ যেটা মনে আছে, চিত্রালী আর আমি পাশাপাশি শুয়ে ফিসফিস করে গাইছিলাম, "আমরা দুটি ভাই, শিবের গাজন গাই/ ঠাকমা গেল গয়া কাশী ডুগডুগি বাজাই।" বারে বারে ঘুরিয়েফিরিয়ে এই লাইন দুটো গাইছিলাম আর ফিরফির করে হাসছিলাম। তারপরে আর কিছু মনে নেই।
গ্রীষ্মকাল, ১৭০৫ সাল। ফিরোজগড় দূর্গ।
গুদামঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে বাবুর্চি নাজিমুদ্দিন জামার খুঁট দিয়ে কপাল মুছল একটু। ঘটনা কি সে ধরতে পারছে না ঠিক, সকাল সকাল খানসালার তাকে ডাকবেন কেন? সে তো প্রতিদিনকার মতই ভোরে পাকশালায় বাসন মাজতে লেগে গিয়েছিল, এমন সময় খবর এল খানাসালার মুস্তাকিম উস্তাদ তাকে ডেকেছেন। কিন্তু ডাকার কারণ? সে মনে করতে চেষ্টা করল গতকাল সে কী রেঁধেছিল, কারো পেট খারাপ করল নাকি?