মধ্যযুগের খোঁয়াড়ে আজ
নব্যযুগের জীবগুলো
'ভাবনার উপর খাজনা বসাও'
লেজ নাড়িয়ে কয় হুলো ।
এক খাঁচাতেই বন্দি সবাই
মাংসাশী আর শাকাশী,
হুলো ঘোরায় শাষণছড়ি,
বাদবাকি সব জলখাসী ।
সংখ্যাগুরু গবাদিরা
গোবর ছাড়ে আরামে
ধীমান গরু ধ্যান করে আর
গাভী ভোগে ব্যারামে ।
ক্ষ্যাপা বলে, 'স্বাধীনতা,
জ্যান্তো বাঁচো নয় মরো'
হুলো শুধু চোখ পাকায়,
'চুতমারানি চুপ করো' ।
যাদের মনে দ্বিগুন জ্বলে
(গল্পে বর্ণিত প্রতিটি ঘটনা ও চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবের কোন ঘটনা বা ব্যক্তির সাথে তার মিল অনিচ্ছাকৃত ও কাকতালীয় মাত্র।)
[আমি দেশপ্রেমিক নই, দেশ নিয়ে আশা-ভরসা কিছুই নেই, হতাশাবাদী মানুষ, এই লেখা আশাবাদী মানুষরা না পড়লেই ভাল। ব্লগ লেখার কোন ইচ্ছা ছিল না তারপরেও অযথা মনে হল কিছু কথা বলা থাক]
বাবুলের হাত এবং মাথা দুটোই সমগতিতে চলছে। বুঝতে পারছিনা এটা কি অভ্যাস বসত নিজের অজান্তেই হচ্ছে, নাকি এটাই স্বাভাবিক। হাত চলছে ডানে-বামে কিন্তু মাথা উপরে- নিচে। ব্যাডমিন্টন খেলায় যারা দর্শক সারিতে থাকেন তাঁরা নিজেরাও অনেক সময় বুঝতে পারেননা কর্কের মুভমেন্টের সাথে সাথে তাঁদের চোখ নয়, পুরো মাথাটাই ডানে বামে মুভ করে! এটাও সেরকম নাকি?
১.
রিমন ঘুম জড়ানো চোখে মোবাইল ফোনে সময় টা দেখে নিলো। ৭ টা ১৫ বাজে, আরো মিনিট পনেরো গড়িয়ে নেয়া যাবে। এই সুযোগে সে ফোন থেকেই ফেসবুকে ঢুকল। হোম পেজে এক গাদা নতুন পোষ্ট। সবগুলোর মূল বক্তব্য একই, সরকার কেন কোটি কোটি টাকা সরাসরি গরীব মানুষেকে না খাইয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মত ফালতু কাজে ব্যয় করতে হবে? প্রায় প্রতিটি পোষ্টের সাথেই গরীব মানুষের কষ্ট করে জীবন যাপনের ছবি। রিমন ফেসবুক থেকে বেড়িয়ে এল। চোখ কচলে বাথরুমের দিকে গেল ফ্রেশ হবার জন্য।
ইদানীং ঢাকা শহরে চলাফেরা করা শুধু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার নয়, একটা ধৈর্য্যেরও বিষয় বটে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রায় একই জায়গায় আধা ঘন্টা ধরে বাসটি নিশ্চল দাঁড়িয়ে আছে, জানালার পাশে বসে উদাস দৃষ্টিতে বাইরে তাকিয়ে থাকা দিপুকে দেখে অবশ্য মনে হচ্ছিলো না হাসপাতালে পৌঁছাতে তার কোনো তাড়া আছে অথবা ক্রমশ ভিতরে ভিতরে অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। দেশের একটি বড় নামকরা হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করে সে। খুব বেশিদিন হয় নি নামের আগে ডাক্তার শব্দ বসিয়েছে। ইনফ্যাক্ট এক বছরের ইন্টার্ণশীপ শেষ করে এই রকম একটি বড় হাসপাতালে চাকরী পেয়ে যাবে, সেটা সহজে ভাবেওনি দিপু। এই অর্জনের পিছনে দিপুর জাঁদরেল বাবার, যিনি কিনা সরকারের একজন হাই অফিসিয়াল, ভুমিকা অবশ্য কম নয়!
খেলোয়াড়দের জন্যঃ
১। সরকারি চাকুরীজীবিদের মতো দলের প্রত্যেক সদস্যের স্থান স্থায়ী করতে হবে। কোন অবস্থায় দল থেকে বাদ দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে পেনশানের ব্যবস্থাও করতে হবে।
২। সবসময় দেশের বাইরে খেলতে দিতে হবে। কোন অবস্থায় দেশে খেলা হতে পারবে না।
নিয়তির উপর আগ্রাসন চালালাম। খোদাতালা মাওলা কপালে যা রেখেছে রাখুক। আমার পেটে খিদে, পকেটে পয়সা নেই, উপোস থাকাই নিয়তি। দুম করে পড়ে গেলাম ফুটপাতে।