[justify]তৃতীয় পর্বের পর ..................
পুলপ্রিটের চূড়ায় উঠার অনুভূতি ছিল এক কথায় অসাধারণ।
ঠেলে ধাক্কিয়ে যখন পুলপ্রিটের উপরে উঠেই পড়লাম ভাবলাম কিছুক্ষণ জিরিয়ে নেই, একটু নাহয় পাহাড়ের আলো বাতাস খাই, ঊর্ধ্বপানে চেয়ে নাহয় গভীর নিঃশ্বাস ফেলে ভাবি "হায় জীবন এত ছোট কেনে? "
পাহাড় চূড়ায় বসে বসে একবেলা যদি সেই রকমের উদাস-ই না হতে পারলাম তাইলে কিভাবে চলে।
গ্রীষ্মকালে আমায় যখন কেউ প্রশ্ন করে, পাহাড়ে ক্যান যাস? জবাবে হাসিমুখে ভারিক্কি চালে বলে দিই “আমাকে জিজ্ঞেস করলে এই প্রশ্নের উত্তর কোনদিনই পাবিনা”। উক্তিটা আমার না, বিশ্বখ্যাত মার্কিন পর্বতারোহী এডমুণ্ড ভিশ্চাসের। শীতকালে পাবলিক যখন মুচকি হেসে শুধায় “কিরে ঘরে বসে আছিস ক্যান, পাহাড়ে উঠবি না?” তখন মুখ লুকিয়ে বলতে হয় মা’র পিটুনি আর বউর বকুনির ভয় ছাড়াও স্বীকার করতে হবে ওই তুষারআবৃত শৃঙ্গ জয়ের সাহস আমার নেই। এই বয়সে পিছলে পড়ে হাড়গোড় ভাঙার হুটকো ঝামেলায় নিজেকে জড়াতে চাইনা।
বিগত চার শতাব্দী ধরে ঢাকা নগরীর অধিবাসীদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা নানা ধরনের বুনো প্রাণীর অস্তিত্বের জড়িয়ে আছে ওতপ্রোত ভাবে, যার মাঝে কিছু প্রাণী মানববিশ্বে ভয়াবহ বিপদজনক বলেই পরিচিত। যদিও কয়েক শত বছরে ক্রমবর্ধমান শহর তাকে ঘিরে থাকা বুনোজগতের অস্তিত্বকে কোণঠাসা করে ফেলেছে ক্রমাগত। বুড়িগঙ্গার তীরে অল্প কয়েকজন মানুষের অস্তিত্ব নিয়ে স্থাপিত ঢাকা নগরী সতের শতকেও বিশাল অরণ্যে পরিপূর্ণ ছিল, বিশেষ করে শহর
ছেলেটি ডান হাতের তর্জনি দিয়ে নাক খুঁটতে খুঁটতে আমাকে জিজ্ঞেস করল, আপনের নাম কবুতর ফারুক?
আমি খেয়াল করলাম নাকের ময়লা সে তার পিরানে মুছল। ভেজাল। আমি উত্তর না দিয়ে বললাম, পাকশালায় তোর কি কাম?
ছেলেটি বলল, আমি ময়দা মাখি। নান রুটির ময়দা।
কুত্তারে যে ভদ্রসমাজে কুকুর নামে ডাকা হয় সেটা হয়ত সবুজবাগ মহল্লার লোকজন ভুলে গিয়েছিলো অথবা কুত্তাকে তারা কখনো কুকুর নামে ডাকার প্রয়োজনীয়তা বোধ করে নাই। কিন্তু যখন সবুজবাগ মহল্লায় একটা মালিক বিহীন পা-ভাঙ্গা বিলাতি কুত্তার আবির্ভাব হয় তখন ওই কুত্তাকে "বিলাতি কুত্তা" কইতে তাদের সংকোচ লাগে। আবার "বিদেশি কুকুর" শব্দদ্বয়েও তারা ঠিক স্বাছন্দ বোধ করেনা। তখন তারে তারা টমি নামে ডাকা শুরু করে। টমি কেন?
১
"এখনও বিবর্ণ স্বপ্ন আমার, নীরবে এঁকে যায় ধূসর রঙে আমায়। শূন্যতায়।
বাস্তবতার নিয়মে মন, সবই যেন শূন্যতা এখন। হঠাৎ আমি হারিয়ে আজ, সত্ত্বার বিপরীতে বসবাস। শূন্যতায়। "
মাথা নিচু করে হাঁটতে থাকা নাহার ভেবে পায়না কোন্দিকে যাবে। অফিস থেকে বেরিয়ে বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত চলে গিয়েছিলো পুরোনো অভ্যাস বসত। গত ন'মাস সে এই একই রুটে চলেছে। বাসের কিছু নিয়মিত হ্যালপার পরিচিত
হয়ে গিয়েছিলো। ওদেরই একজনের তাগাদায় হুস হয়। সেই শুরু উদ্দেশ্যহীন হাটা। উদ্দেশ্যহীন ঠিক না, বলা যেতে
প্রথম বারের মত কোন একটি দেশে এলে দিন যাপনের সাথে সাথে নানান বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়। লম্বা সময় থাকলে সেই বিচিত্র ব্যাপার গুলো আর আলাদা করে তেমন বিশেষ কিছু মনে হয় না। দেশটির প্রতিটি ব্যাপার তখন উদয়স্তের সূর্যের মত স্বাভাবিক মনে হয়। বোস্টনে এসেছি প্রায় দু´মাস হয়ে গেল। ধীরে ধীরে এখানকার অনেক কিছুই চেনাজানা স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে; তবুও প্রতিনিয়ত নতুন কিছু আবিস্কারের নেশায় পর্যটকের মত ঘার বাঁকিয়ে এদিক সেদিক তাকাতে তাকাতে পথ চলি। শহরের বাইরের খোলসটা দেখা হয়ে গেলে, তারপর ঢুকবো এর রন্ধ্রে।
বরফ
----------------
এইযে টায়ারের ভীড় ঠেলে তোমার এগিয়ে যাওয়া
হোন্ডায় সদ্য ভরা অয়েলের ঘ্রানে পোড়ে পড়ন্ত দুপুর; হেলমেটের
কার্নিশ ঠেলে বের হয়ে থাকা অবাধ্য চুল
উড়ছিল বুঝি? চুল ? স্বপ্ন ? অথবা তোমার এই চলে যাওয়া
পথের বাঁকে কোন নার্সারীর ফুল?
অবশ্য ভাবনার এসব স্টপেজে তোমার বিরতি কই?
আমিতো কস্মিনকালে ভাবি নাই, আমাদের উল্টানো পথে
বিকেলের রঙ ভিন্ন হবে।
মিঃ গোয়েব্লারের বয়স চল্লিশের মত। জার্মান জাতীর মধ্যে যেহেতু গোসল করার স্বভাবজাত প্রবণতা কম তাই উনার চর্বি জমে যাওয়া বিশ্রী ঘাড়ের ভাঁজে জমে থাকা ময়লাকে আগ্রহে নিলাম না। চল্লিশ বছরের শরীরে ইতিমধ্যেই বিয়ার বাউ( বিয়ার পান করলে ভুড়ি হয়। এটার আঞ্চলিক নাম বিয়ার বাউ) হয়েছে। ভুড়ির ভারে উনি হাঁসফাঁস করছেন। আমুদে লোক মনে হলো। উনি এসে বিছানায় বসতেই ক্যাচ করে শব্দ হলো। সিঙ্গেল বিছানা আমার। অনেকটাই পুরাতন। বিয়া