বেদনার শহরে থাকি বলে ঘুম ভেঙ্গে গেলে বেদনার উপর বেদনার নতুন একটা প্রলেপ পড়ে- আরেকটি দীর্ঘদিন কাটাতে হবে ভেবে। বেদনার শহর- কথাটি যখন বলে ফেলি তখন নিশ্চিতভাবেই এমন একটা ধারণার জন্ম হয় যে- তাহলে কোথাও বুঝি আনন্দের শহর বলে কোনো জায়গা লুকিয়ে আছে।
সে এক দিন গেছে। তারপর এখন দেখছি সবই বদলে গেছে এই বলে অমিতা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বিষন্ন বদনে বসে রইল।
বিয়ের আগে ও পরের পরিস্থিতি এক করলে তো হবে না। কিন্তু এই তফাৎ টা এত বেশী নয় যে জীবন বিষয়ে হতাশ হয়ে পড়তে হবে। এটা সবার ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। বিজ্ঞ ভাবে মন্তব্য করল সমর। তার পর খাট থেকে উঠে ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় পায়চারি শুরু করল।
'খুসখুসে কাশি ঘুসঘুসে জ্বর
ফুসফুসে ছ্যাঁদা বুড়ো তুই মর।'
এমনিতে আমার বেশি অসুখবিসুখ হয় না। কিন্তু অল্প যা কিছু হয় সেইটা বেশ ভালই ভোগায়। একটা সময় আমার সুতীব্র ডাস্ট এলার্জির সমস্যা ছিলো, নাকেমুখে মুখোশ এঁটে ঘর থেকে বের হতে হইতো। আজকাল ঢাকা শহরের বেশিরভাগ যানবাহনই সিএনজিতেও চলায় শহরের বাতাস মোটামুটি পরিষ্কার, তারপরেও বসন্তকালটা আমার কাছে সবসময়েই একটা আতঙ্ক নিয়ে এসে উপস্থিত হয়।
আগস্ট মাস, ১৬৫৯। দিল্লী।
নাজিরের কথাঃ
জিনিসটা ধরে আমি মুখ কুঁচকে বললাম, এহ দুনিয়ার রক্ত। এইটা দেখে কিছু বুঝার উপায় আছে নাকি?
আছে, মোতালিব ঘাড় নেড়ে বলল, যে চেনার সে ঠিকই চিনবে। সময় অল্প, বাহাসের সময় নাই। ধুয়ে পরিষ্কার করি আয়। বাইরে পানি আছে না?
‘He was mistakenly born in Bangladesh’—Otto Pfister
আজকের দিনে হাজারো ক্রিকেটারদের ভিড়ে মনে পড়ে গেল, বাংলাদেশের ফুটবলের স্বর্ণযুগের অসাধারণ ফুটবলার মুন্নার কথা। যারা তার খেলা দেখেনি বোঝা সম্ভব না তিনি কী অসাধারণ একজন ফুটবলার ছিলেন!!
গোলাম আজমের মামলা তখন পূর্ণোদ্যমে চলছে। পিজিতো জাতীয় জাদুঘরের কাছেই। অনেকদিন কেবিনে শুয়ে বসে কাটাতে কাটাতে জাদুঘরের প্রভাবে তার মধ্যে শিল্পী সত্ত্বা সৃষ্টি হল। তো সে রংতুলি নিয়ে লেগে পড়ল। তার সৃজনশীলতার বিষয় একাত্তরের বধ্যভূমি। সেসময় তারা বিভিন্ন বধ্যভূমিতে মৃতদেহ ফেলার সময় স্তুপ হওয়ার বিভিন্ন প্যাটার্ন সৃষ্টি হত। সেটির নান্দনিক দিকটিই তার কাজের বিষয়। কিছুদিন পর ছবির হাটে গেল প্রদর্শনী করা নিয়ে কি
স্টলের নাম্বারটা যেন কতো? বাহান্ন? নাকি তেপ্পান্ন?
আমার বয়স তখন এগারো-বারো বছর হবে। ভাড়া থাকি দোতলা এক বাড়ির নীচের তলাটিতে। কিন্তু আমার বিচরণ ছিল গোটা বাড়ি জুড়েই। এক মায়াবী দুপুরে, চিলেকোঠার ঘরটা থেকে হাতে এসে গেল আগফার একটি বাক্স-ক্যামেরা, আদিযুগের। তার সবচেয়ে পছন্দের বৈশিষ্ট্য ছিল - দুটি ভিউ-ফাইন্ডার। একটি ক্যামেরার পিছনের দেয়ালে, অন্যটি ক্যামেরার ছাদে। ক্যামেরাটির বহিরঙ্গের রূপে তাকে কোলে তুলে নেওয়ার মত ছিল না। কিছু অকর্মণ্যতাও ছিল হয
মৃত্যুটা ঠেকান গেল না। দুপূর দুটো নাগাদ খবর পাওয়া গেল যোগমায়া মারা গেছে। আগের সন্ধ্যায় নিজেই যখন কেরোসিন গায়ে ঢেলে ও আগুন ধরায় তখন খবর পেয়ে আমরা ওদের বাড়ী গিয়ে দেখি একটা সাঙ্ঘাতিক ব্যাপার ঘটে গেছে। ফর্সা এবং মোটাসোটা চেহারার যোগমায়ার শরীর দিয়ে মাংসপোড়া গন্ধ বের হচ্ছিল। ঐ অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব ওকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।