Archive - 1970 - ব্লগ

তারিখ
  • সব
  • জ্যান
  • ফেব
  • মার্চ
  • এপ্র
  • মে
  • জুন
  • জুল
  • আগ
  • সেপ
  • অক্টো
  • নভ
  • ডিস
ধরন

January 7th

প্রৌঢ় ভাবনা চিরবিদায় নিলেন

সন্দেশ এর ছবি
লিখেছেন সন্দেশ (তারিখ: সোম, ০৬/০১/২০২০ - ১০:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সচলায়তনের অতিথি সচল প্রৌঢ় ভাবনা আমাদের ছেড়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। তাঁর লেখা আর মন্তব্য সচলায়তনের পাতায় ব্যথার স্মারক হয়ে রয়ে গেলো। বিদায়, কবির ভাই। সচলায়তন পরিবার আপনাকে হারিয়ে ক্ষীণ হলো।


January 3rd

লড়াই ক্ষ্যাপা

সত্যপীর এর ছবি
লিখেছেন সত্যপীর (তারিখ: শুক্র, ০৩/০১/২০২০ - ১২:৪২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মোগল সাম্রাজ্যের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট বাবুর বাদশার জানপহেচান নেতা ছিলেন তার পূর্বপুরুষ আমীর তৈমুর। তৈমুর সমরখন্দে রাজধানী করেছিলেন, তাই বাবুর বাদশারও স্বপ্ন ছিল সমরখন্দ চেপে বসার। তৈমুর দিল্লীজয় করে ফিরে গিয়েছিলেন তাই বাবুরেরও শখ ছিল দিল্লী লুটে ফের সমরখন্দ বুখারায় ঘরের ছেলে ঘরে ফিরত যাবেন। কিন্তু ম্যান প্রপোজেস গড ডিজপোজেস। সমরখন্দ থেকে সেইযে জুয়ানকালে চড় খেয়ে কাবুল পালাতে হয়েছিল আর ফিরে যাওয়া হয়নি। বাকী জীবন সমরখন্দ জয়ের টাকা ও সিপাই জড়ো করার উদ্দেশ্যে ভারতবর্ষে নানাবিধ যুদ্ধমুদ্ধ করতে করতে আঁৎকা অক্কা পেয়ে কাবুলে ঘুম গেলেন বাবুর। রেস্টিনপীস।

ফাস্ট ফরোয়ার্ড সোয়াশো বছর। নাতির নাতি শাজাহানের আমল। কাবুল তখন মোগল সাম্রাজ্যের পশ্চিম সীমান্ত, সেখান হতে তিনি পুলা মুরাদ বখশকে আরো পচ্চিমে বলখের দিকে পাঠালেন অভিযানে, রিজার্ভ ফোর্স নিয়ে তৈয়ার ছিল আরেক পুলা আওরঙ্গজেব। অপারেশন সমরখন্দ।

বুড়াদাদা বাবুরের স্বপ্নপুরুষ, আমীর তৈমুরের রাজধানী সমরখন্দ। হাঁটু চাপড়ে শাজাহান কইলেন রাজা বানকে আনা রে। ফির না জানা রে। ছম ছমা ছম ছম।


January 1st

তাক থেকে নামিয়ে – ০২

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: মঙ্গল, ৩১/১২/২০১৯ - ১০:৫৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


December 15th

যুক্তরাজ্যের নির্বাচন ২০১৯

বিদিত লাল দে এর ছবি
লিখেছেন বিদিত লাল দে [অতিথি] (তারিখ: শনি, ১৪/১২/২০১৯ - ৯:৫৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

যুক্তরাজ্যের এবারের জাতীয় নির্বাচন অনেক দিক থেকেই তাৎপর্যপূর্ণ। এই নির্বাচন যুক্তরাজ্যের রাজনীতির ধারাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের আভাস দিচ্ছে। যদিও ব্রেক্সিটকে কেন্দ্র করেই প্রাক-নির্বাচন প্রচার এবং মেরুকরন আবর্তিত হয়েছিল, নির্বাচনের ফলাফল থেকে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন দেশটির ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে আমি নির্বাচনকেন্দ্রিক রাজনীতির কিছু ব্যাখ্যা এবং বিশ


December 12th

ত্রিমাত্রিক

খেকশিয়াল এর ছবি
লিখেছেন খেকশিয়াল (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/১২/২০১৯ - ২:২৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মশানে : প্রথম পর্ব

রাত্রির তৃতীয় প্রহর। নিস্তব্ধ চারিধার। কিয়ৎক্ষণ পূর্বেও শূলাবিদ্ধদিগের কাতর আর্তনাদ, আত্মীয়াদির চিৎকার আর শৃগাল শকুনীদের মড়া আধমড়া লইয়া টানাটানিতে বধ্যভূমি নারকীয় হইয়া ছিল। নিকটবর্তী শ্মশান হইতে চিতার কাষ্ঠ বিদীর্ণ হইবার শব্দ শোনা যাইতেছিল। এখন প্রকৃতি সম্পূর্ণরূপে স্তব্ধ। হয়তো অন্যান্য দণ্ডীদিগের মৃত্যু হইয়াছে। শবদাহ করিয়া বাড়ির পথ ধরিয়াছে শ্মশানবন্ধু সকল। শৃগাল শকুনীরাও সরিয়া পড়িয়াছে নিজ নিজ ক্ষুন্নিবারণ শেষে। কিন্তু চমরবাল এখনো মরে নাই। তার প্রাণবায়ু এখনো দেহ হইতে নির্গত হয় নাই। আশ্চর্য হইয়া অনেকক্ষণ ধরিয়া তাহাই দেখিতেছিল বুঝি এক শিবা, এক্ষণে সেও সরিয়া পড়িল। নড়িল না শুধু মশাল হাতে এক যুবক। চমরবাল অস্ফুটে কী জানি কহিতে চাহিলো, বোঝা গেল না। হয়তো আকুতি, হয়তো বা তার তীব্র যন্ত্রণার প্রকাশ।


December 10th

তিনি বিদায় নিলেন…

সাক্ষী সত্যানন্দ এর ছবি
লিখেছেন সাক্ষী সত্যানন্দ [অতিথি] (তারিখ: সোম, ০৯/১২/২০১৯ - ৯:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


বিদায়, অধ্যাপক অজয় রায়। (ছবি কৃতজ্ঞতাঃ bdnews24ডটকম)


December 8th

পুতুলবন্দী

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৭/১২/২০১৯ - ৭:৩৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]সন্ধ্যা সাতটা পেরুতেই বাসটা একরাশ ধুলো আর কালো ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে যশোর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাঘেরপাড়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে দিল। বাসের নামটা এতক্ষন তারেক সাহেবের চোখে পড়েনি। ড্রাইভারের সামনে একদম সামনের আসনে বসার কারনে সামনের কাঁচের উপরে লেখা নামটা চোখে পড়ল, “বাঘেরপাড়া ভি আই পি এক্সপ্রেস”। দেখেই তিনি মনে মনে মুচকি হাসলেন। এই বুঝি ভি আই পি বাসের অবস্থা, তার উপর আবার এক্সপ্রেস!


December 5th

অলঙ্কার বাক্স রহস্য

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৪/১২/২০১৯ - ৮:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সম্প্রতি এক শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি আমার প্রতি স্নেহসিক্ত হইয়া একখানি অলঙ্কার বাক্স দান করিয়াছেন। মোড়ক খুলিয়া উহার চন্দ্রালোকের ন্যায় বিচ্ছুরিত ছটা আর খোদাই দেখিয়া চিত্ত বিগলিত হইয়াছিল। তৎক্ষণাৎ সিদ্ধান্ত নিলাম আমার মূল্যবান গয়নাগাটি বলিতে যাওবা কিছু আছে বলিয়া আমি মনে করি সেইগুলির তাবৎ খুঁজিয়া পাতিয়া ওই মোহণীয় বাক্স খানায় গুছাইয়া রাখিব।


November 27th

November 24th

রুদাই

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ২৪/১১/২০১৯ - ১০:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

(দু বছর আগে সচলে কয়েকটা কিস্তি দেয়ার পর গল্পটা নিয়ে আর বসা হয়নি। আজ শেষ করে মনে হচ্ছে ঘাড় থেকে একটা বোঝা নামলো )

এক।।

এরা মাঝে মাঝেই জানতে চায়, আমি কোথা থেকে এলাম। আমি বলি, একটা ভালব টেনে। আর সে ভালবটা ছিলো সুতোয় বাঁধা।

তখন সবাই অবাক বিস্ময়ে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে, ভালব সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই এদের, সুতো জিনিসটাও অচেনা। আমি নিজেও বুঝিয়ে বলতে পারিনা, আমার কিছু মনে নেই। এদের কৌতূহল অবশ্য ওই পর্যন্তই, খুব বেশি ঘাটায় না। আমিও নিবিষ্ট মনে কাজ করে যাই।

এখানে সবার একটাই কাজ, ছাঁকনদারি করা। আমি ছাড়া আরও একশ একুশ জন ছাঁকনদার রয়েছে এই তল্লাটে। আমরা সোনালি স্রোত থেকে রুদাই সংগ্রহ করি। ছাঁকনদার শব্দটি শুনে মনে হতে পারে আমরা বুঝি সার বেঁধে ছাঁকনি হাতে দাঁড়িয়ে থাকি আর সোনালি স্রোতটা এলেই ঝাঁপিয়ে পড়ি রুদাইয়ের খোঁজে। আসলে তা নয়।

আমরা থাকি সবুজ তল্লাটে। এখানকার ঘর-বাড়ি-রাস্তা-ঘাট এমনকি আমরা, সব কিছুই সবুজ রঙের। সোনালি স্রোতটা তরল নয়, অনেকটা বাষ্পের মতো, আবার ঠিক বাষ্পও নয়! কেউ জানেনা কী এর উৎস। কখনো দীর্ঘক্ষণ, কখনো অল্পক্ষণ, যখন আসে চতুর্দিক প্লাবিত করে চলে যায়। আমাদের সবুজ তল্লাট ফুলে ফুলে ওঠে রুদাইয়ের ভারে। স্রোত চলে গেলে আটকে পড়া রুদাইগুলোকে জড়ো করে বড় রাস্তাটার মোড়ে নিয়ে যাই আমরা, পৌঁছে দেই আরেকটা দলের কাছে। ওই দলে আছে একুশ জন, ওরা থাকে বাদামি তল্লাটে, যেখানে আমাদের যেতে মানা। এক দুজন যে চেষ্টা করেনি তা নয়, কোন এক বিচিত্র কারণে বড় রাস্তার মোড়টা পেরুনো যায়না।