(ব্রেকিং নিউজ: জামাতের রক্ষাকর্তারা এখন চাঁদা উঠাইতাসেন। দাদা-দিদিমনিদের প্রতি উনাদের অপার ভালোবাসা!)
ফকির বানামু তোরে এরপর ভিক্ষাও দিমু
তবেই আমারে লোকে ক’বে বেশ দয়ালু অপার
ভিখারী বানানো হবে ইশারায় রাতের আড়ালে
ভিক্ষা দেয়ার কালে যাবতীয় মিডিয়া সজাগ
হাতের শঙ্খ খোল, কপালের লোহিত সিঁদুর
ঘরের আগুণে পুড়ে হবে আরো টকটকা লাল
একেএকে পোড়া হবে, মালাউন, সবক’টা বাড়ি
কিছু কষ্ট থাকে যা প্রকাশের জন্য সব ভাষাই ব্যর্থ। সংখ্যালঘু হবার যাতনাও তেমনি। নিজেদের সাথে ঘটে যাওয়া কিছু তুচ্ছ ঘটনা শেয়ার করছি গল্পের আদলে। ঘটনা গুলো ছোট হতে পারে কিন্তু কেন যেন ভুলতে পারি না, ভোলা যায় না!
(১)
মিষ্টি বিকেল। মাঠে আট ন’বছরের কিছু বাচ্চামেয়ে খেলছে, বরফ-পানি। হঠাৎ একজনকে ছুঁয়ে দিতেই ‘বরফ...বরফ’ বলে শোরগোল শুরু হয়ে গেল।
প্রায় আড়াইশ’ গল্পের পঞ্চাশতমটি থাকছে এবারের পঞ্চকে। সমকালীন সমাজের সাথে কতটা প্রাসঙ্গিক এই গল্পগুলি সেই কৌতুহল থেকে কয়েকমাস আগে এদের ফিরে পড়তে আর সেই সাথে আমার অনুভব-এ অনুবাদ করতে শুরু করি। যত দিন গেছে তত অবাক হয়ে গেছি দেখে যে একের পর এক গল্পগুলি কি প্রবলভাবে আমাদের সময়ের কথা বলছে। এই গল্পগুলিতে যাঁরা মন্তব্য করেছেন তাঁরাও বিভিন্ন সময়ে একই অনুভব-এর কথা জানিয়েছেন। এবারের পঞ্চক-ও সে অনুভব থেকে বঞ্চিত করবে না।
অনেক কথা বলা যায়। সুন্দর করে, আবেগ দিয়ে, হিউমার দিয়ে, যুক্তি দিয়ে। আজ বরং তা বাদ দেই। সহজ কথা সহজে বলি। প্রথম আলোর সাজিদ হোসেন এর তোলা এই ছবিটি দেখেছেন সবাই আশা করি।
; যখন আমি ছোট ছিলাম, তখন সব কিছু সহজ লাগত। পাশের বাসায় যাওয়া মানে ছিল দুধভাত। আমাদের মাঝে অন্যরকম এক সৌহার্দের সম্পর্ক ছিল। বিকেলের আড্ডা থেকে শুরু করে কারও বাসায় মেহমান আসলে আমাদের উপস্থিতি, আমারা যেন সবাই আপন মানুষ ছিলাম। শুধু আমাদের পাশের বাসা নয়, আমাদের পাশের বাড়ি এবং তার সবগুলো পরিবার ছিল আমাদের চেনা জানা। আপন মানুষ। একবার আমাদের পাশের বাড়িতে তিন তলায়, এক ছোট্ট শিশু ঘরের ভেতর থেকে দরজার ছিটকি
প্রথমেই সতর্কতাবাণীর ঝামেলাটুকু সেরে নেই। এটি কোন বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা নয়। কেন নয়?
আমি ভাগ্যবান মানুষ; সবার এক্টা হ্যাপি বার্থডে থাকে, আমার ২টা আছে। ২য় জীবনের ১ম বার্থডেটা এখনও পালনের সময় আসে নাই। তো আমার বয়স হইলো একুনে সাত মাস। আমার পরিবার ও ২টা। সেই সচল বহুভাবে পাশে ছিলো, আছে।
আজকের দিনটা অন্যরকম ছিলো। দীর্ঘ একটা প্রতীক্ষার অবসানের আগের দিন। অনেকটা চৈত্র সংক্রান্তির মত। সূর্য ডুবে যাওয়ার পর মনটা উদাস হয়ে গ্যালো। ভাবলাম, হ্যাপেনিং ডে'র আগের রাত আজ, সামান্য ডাল-রুটি'র বদলে কয়েক পদের সামুদ্রিক মাছের কালিয়া; কবুতর বা হাঁসের কোর্মা; মটর পোলাউ কী নসিব হতে পারতো না (কী হাল, খাবারের নাম ও আজকাল মনে থাকেনা) ! আর পরে ভরপেটে একটা হাভানা সিগার! নসীবে বেনসন লাইট ও নাই
হিন্দু নির্যাতন বাংলাদেশে নতুন কিছু না। পদ্মা-মেঘনা-যমুনা যেমন বহমান, হিন্দু নির্যাতনের জাঁতাকলও একইভাবে চলমান। প্রত্যেকটা ঘটনার পরে এই নিয়ে আমার মত কিছু পাব্লিক খামাখা হাউ-কাউ করে, বাকিরা তামাশা দেখে, কেউ মজা নেয়, কেউ আহা-উঁহু করে, তারপরে সব আগের মত। দেশে গণতন্ত্র আছে কিনা এই প্রশ্নে দ্বিমত, ত্রিমত, বহুমত থাকতে পারে তবে মালাউন কোপানো হবে কি হবেনা এই প্রশ্নে কোন দ্বিমত নাই, একটাই উত্তর, হবেনা মানে? হতেই হবে