[justify]ছোটবেলা থেকেই সব কিছুতে বড্ডো তাড়া আমার। এই তাড়াহুড়ার ঠেলায়, কাকের ঠেং বকের ঠেং হাতের লিখা প্রসব করে দিয়ে সব উত্তর লিখে এসে ও নাম্বার পেতাম কম। এই জন্য বাবার বকা ছিল অবধারিত। আস্তে আস্তে সুন্দর করে লিখে দিয়ে আসলে ভাল নাম্বার পাওয়া যায় জানতাম, কিন্তু ঐ যে তাড়াহুড়া করা এক্কেবারে আমার হাড়ে হাড়ে ঢুকে গিয়েছিল। কলেজে উঠার পর রুলটানা কাগজে নতুন করে ইংরেজি এলফাবেট শিখতে হয়েছিল সিস্টার জোসেফ মে
-আ্যই ঘুমুবে না? অনেক রাত হয়ে গেল...পাশের ঘর থেকে নীলজের ঘুম জড়ানো গলা শুনতে পেল সেমন্তী।
দ্বিতীয় পর্বঃ
আগের পর্বের প্রথম মন্তব্যের উত্তরে কথা দিয়েছিলাম যে লেখার সাথে সাথে ছবি দেব। সেই জন্য প্রথম থেকেই ছবি চালু করে দিলাম।
কিছু কথাঃ
মানব ইতিহাসে প্রাচীন মিসর ছিল সবচেয়ে লম্বা সময়ের সভ্যতা, যা ৩০০০ বছরের বেশী টিকে ছিল। মিসরীয়রা অনেক দেবতার পূঁজা করতো, তার মধ্যে আইসিস এবং ওসিরিস ছিল সবচেয়ে জনপ্রিয়।
আইসিস এবং ওসিরিসের এই পৌরাণীক কাহিনীর উপর ভিত্তি করে মিসরীয় অন্তষ্টিক্রিয়া ও মমি তৈরীর প্রচলন শুরু হয় বলে ধারনা করা হয়।
[justify]বছরের শুরুতেই হাতে একটা সিলেবাস বই ধরিয়ে দেয়া হতো আমাদের ইশকুলে। কোন পরীক্ষায় কোন বইয়ের কতটুকু থাকবে, কোন অধ্যায় থেকে ক’খানা প্রশ্ন আসবে, অথবা ক’টা প্রশ্ন থেকে ক’টা লিখতে হবে তার সুলুক-সন্ধান। বছর শুরুর হইহই মিলিয়ে এলে মাস্টারমশাইরাও কেমন যেন মিইয়ে যেতেন। ক্লাসের শুরুতে নাম রোল নাম্বার ডেকে কিছু মিছু একটা কিছু লিখতে দিয়ে চেয়ারে বসে ঝিমোতেন। ঝিমোতে ঝিমোতে আমরাও হারিয়ে ফেলতাম সিলেবাসের সেই
আপামর পাঠকমহোদয় ও আবদেরে বাড্ডেবালিকা সুরঞ্জনার জন্য কুইজ,
সেই প্রবাদপ্রতিম সফরে বীগল জাহাজের প্রকৃতিবিদের পদে কে নিযুক্ত ছিলেন?
যাঁরা ঝটপট করে ‘ডারউইন’ উত্তর দিতে যাচ্ছেন, তাঁদের জন্য সতর্কতা, অত সহজ উত্তর হলে নিশ্চয়ই প্রশ্নটা করতাম না!
(ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা রইলো। ঈদ হয়ে উঠুক ত্যাগের মহিমায় সমুজ্জ্বল। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। আর ঈদের অবসরে সময় কাটাতে আপনাদের জন্য রইলো গ্রীক মিথলজির ২১তম পর্ব। এপোলো এবং আর্টেমিসের জন্মকাহিনী নিয়ে এই পর্ব।)
ছোটবেলায় প্রথম পূজো দেখার স্মৃতি আব্বার হাত ধরে, রাজশাহী শহর থেকে আধা ঘণ্টার দূরত্বে, পুঠিয়ায়। দুর্গাপূজোর ছুটিতে বাসে চড়ে পুঠিয়ার রাজবাড়ি দেখতে গিয়ে পুজামণ্ডপও ঘুরে দেখা হয়েছিলো, সেটা মনে হয় ক্লাস থ্রি বা ফোরে। তার আগে ঢাকায় থাকতে এ সুযোগ হয়নি। এরপরে শহরের অলিতে গলিতে ঢাক-বাদ্য আর মণ্ডপের আলোকচ্ছটা দেখেছি বহুবার।
প্রায় এক দশকের বেশি সময় ঘুরে ঘুরে পূজো দেখা হয়নি। ২০১১-তে ঠিক করে রেখেছিলাম প্রতিমা তৈরি দেখতে হবে। ঘুরতে ঘুরতে হাজির হয়ে গেলাম গণকপাড়ার বৈষ্ণব সভার দোরে, ভেতরে কারিগরেরা তখন মহাব্যস্ত।