-কী এমন রাজকার্য সামলাচ্ছিলে তুমি যে আমার ফোন ধর নাই?
ফুটন্ত তেলে পাঁচফোড়নের মত জ্বলে উঠল মিলি!
-ইয়ে মিটিং এ ছিলাম, তাই খেয়াল করি নাই…
-অফিস থেকে ফেরার পথে পেইনকিলার আনবা বিশটা!
-কেন জান? আবার মাথাব্যথা হইসে নাকি?
-জ্বি না, চল্লিশবার ফোন করসি তোমাকে, আমার হাতটা ব্যথা হয়ে গেসে।
-কই চারটা মিসকল তো…
-ফাইজলামি কর তাইনা? খেয়াল করে নাই আবার কথা বল!
-আচ্ছা বল কেন ফোন করসিলা।
ছবি: হোমিও-টোটকা [সুত্র]
বাংলাদেশে ব্যাপকভাবে প্রচলিত চিকিৎসাপদ্ধতি হোমিওপ্যাথি কি সত্যিই কাজ করে, নাকি এটি একটি ফাঁকা অপবিজ্ঞান? অপবিজ্ঞান দাবী করবার পিছনে কারণগুলো কি হতে পারে? আপনার আশেপাশের অনেকের ক্ষেত্রে তাহলে হোমিওপ্যাথি কাজ করল কেনো? হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করলে কোনো ক্ষতির সম্ভাবনা আছে? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এবং হোমিওপ্যাথি অপবিজ্ঞানটির বিস্তারিত নিয়ে এই লেখাটি।
সেস্টাস- প্রাচীন গ্রীকের একটি শহর, কিন্তু বর্তমান কালের তুরস্কের ইউরোপীয় অংশে অবস্থিত। অনেক অনেক বছর আগে এপ্রিল মাসের এক রৌদ্রকোজ্জ্বল দিনে এই সেস্টাসের এক নির্জন টাওয়ারে বসে এক সুন্দরী যুবতী সামনের হেল্লেসপন্ট প্রনালীর (বর্তমানের দার্দানালিশ প্রনালী) দিকে তাকিয়ে ছিলেন। এই সেই হেল্লেসপন্ট প্রনালী, যেখানে হেল্লে নামের এক বালিকা স্বর্নলোমের ভেড়া থেকে পড়ে গিয়ে মারা গিয়েছিলেন এবং তার নামেই প্রনালীর নামকরণ করা হয়েছিলো হেল্লেসপন্ট। পরবর্তীতে স্বর্নলোমের ভেড়ার চামড়া উদ্ধারের জন্যই জেসন এবং অন্যান্য আর্গোনটরা তাদের বিখ্যাত অভিযান শুরু করেছিলেন। সে যাই হোক, সেই সুন্দরী যুবতী টাওয়ার থেকে নিচে তাকিয়ে দেখছিলো, নীল জলরাশি কীভাবে সৈকতে লুটোপুটি খাচ্ছে, পাথরের উপরে কীভাবে আছড়ে পড়ছে আর দেখছিলো সাদা পাল তোলা জাহাজগুলো ব্যবসায়ীদের জিনিসপত্র নিয়ে সেস্টাসের প্রবাহ থেকে কীভাবে দূরে সরে যাচ্ছে। যুবতীটি প্রনালীর অন্য প্রান্তের দূরের তীরের দিকে তাকালেন, এবাইডোস (বর্তমান কালের তুরস্কের এশিয়া অংশে অবস্থিত)- সবুজ পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত বাড়িগুলোর অস্তিত্ব এই সেস্টাস থেকে যেনো অনুভব করতে পারছিলেন হিরো।
ম্যারিস্যা ক্রাউসোভার সাথে প্রথম দেখা হয়েছিল বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের এক আড্ডায় অনেক অনেক বছর আগে, জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবী ডাক্তার হিসেবে বাংলাদেশে কর্মরত ছিলেন দুই বছর, সেই অল্প সময়েই টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথারিয়া কিছু বাদ রাখেন নি ঘুরতে, ফাঁকে ফাঁকে ভারত, নেপালের হিমালয়ে। চেক দেশের মানুষ, নিজের নাম সহজ করে বলতেন মারিয়া, যাতে সহজেই লোকে উচ্চারণ করতে পারে, ভাঙ্গা বাংলায় নিজেকে বিদ
১।
৫৭ ধারা নিয়ে বেশ ভয়েই আছি- আজকের লেখায় আবার নিচুমানের এক বিজ্ঞানীর বেশরিয়তী কাজকারবারের গল্প শোনাব কিনা। অনুভূতি জিনিসটা বড়ই অনুভূতিপ্রবণ। মুশকিল হল, কেউ সেটাকে জিন্সের প্যান্ট আর আনডারওয়ার দিয়ে চেপেচুপে কলার মত প্যাকেট করে রাখে। (সুপারম্যান কিংবা ব্যাটম্যানের অতিমানবিক অনুভূতি সামাল দিতে তো প্যান্টের উপরেও এক্সট্রা প্রোটেকশন লাগে।) কেউ আবার সেটাকে দাঁড়া করিয়ে জিপার খুলে আদম স্টাইলে বাগিয়ে ধরে ঘুরে বেড়ায়। এমন দণ্ডায়মান অনুভূতি দেখলে লজ্জাও পাই, ভয়ও পাই। ভাবছি, নীলস বোরের গল্প না জানি কার কোন অনুভূতিতে টোকা দিয়ে বসে। কিন্তু আমাকে যে বলতেই হবে। এক কাজ করি বিজ্ঞানকে দুটো গাল দিয়ে শুরু করি, পরে সাক্ষী দিতে কাজে লাগবে।
১.
অফিসের কাজগুলো গুছিয়ে দুপুরে ইন্টারনেটে ক্লিক করতেই বিরক্ত লাগলো। হোমপেজ এরর। আবারো গেছে নাকি? দুদিন পরপর এ এক হ্যাপা। কখনো ফাইবার কেটে যায়, কখনো আইএসপির ইউপিএস জ্বলে গেছে, কখনো সার্ভার ডাউন। আইটিতে ফোন করলাম। আইটির ছেলেটা এসে দেখে বললো, আপনার হোমপেজ সমস্যা। হোমপেজে ফেসবুক ছিল। ফেসবুক নাকি কোথাও খুলছে না। ওটা বদলে হোমপেজ গুগল করে দিল। এবার খুলছে। আমি তেমন রেগুলার ফেসবুকার নই। তাই পাত্তা দিলাম না ব্যাপারটাকে।
[justify]
১) অলিখিত তবে প্রচলিত নিয়মের কারণে অথবা বলতে পারি, প্রকৃতির একটা খেলা হিসেবেই দীর্ঘদিন ধরে বেকার থাকা বন্ধুদের এড়িয়ে চলতে হয়। আমার বাসা থেকে পায়ে হাঁটা দূরত্বে আমার যে বেকার বন্ধুটি থাকে তাকে আমি ঐ নিয়মের বেড়াজালে আটকে পড়ে স্বভাবত এড়িয়ে চলি। আজ দুপুরে যখন বাসা থেকে বের হলাম ঠিক তখন হতচ্ছাড়া কোথা থেকে এসে হাজির হয়ে ধুম করে পিঠে ঘুষি বসিয়ে দিল। পিঠে ব্যথা উপশম করতে করতে কী খবর, আমি একটু
[justify]আমার পাঠক জীবনে দুইটি দন্ত স এর প্রভাব অপরিসীম - সুকুমার রায় আর সেবা প্রকাশনী। বুঝতে পারিনি কখন যেন তৃতীয় দন্ত স এর আবির্ভাব ঘটেছে এবং তা আমার জীবনের অঙ্গাঙ্গী অংশ হয়ে পড়েছে। বুঝলাম অফ লাইনে কয়েকটি দিন কাটানোর সময়ে। বুঝতেই পারছেন এই তৃতীয় দন্ত স হচ্ছে সচলায়তন। আগে এই দন্ত স এর প্রভাব বুঝতে পারিনি, অনেকটা দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝতে না পারার মত। বুঝলাম কিছুদিন আগে, যখন বিশেষ ক