আলো। ছায়া। রঙ। কম্পন। হাসি। কান্না। রোদ। মেঘ। বৃষ্টি। জীবনতৃষ্ণা। শিমূল, পলাশ, সূর্যমুখী, শিউলি, স্থলপদ্ম, নীলকমল। গোছা গোছা সূর্যমুখী ফুটে আছে রঙপাগল চিত্রকরের আঁকা ছবিতে। কী সতেজ, কী উজ্জ্বল! মনপ্রাণ উজার করা আলোছায়ার কম্পন।
২৬ শে মার্চ ১৯৯৬ সালে ৩০০ আসন ধারী বিএনপি সংসদে একটি বিল এনে একরাতে পাশ করিয়ে ফেলে যাতে বলা হয় কোন রাজনৈতিক দলে অফিসিয়ালি নাম নেই (যাদের কে বলা হয়েছে নির্দলীয়) এবং মানসিক ভাবে কোন রাজনৈতিক দলের প্রতি সহানুভূতিশীল নয় (যাদেরকে বলা হয়েছে নিরপেক্ষ) লোকজন দিয়ে নির্বাচন কালীন একটি প্রেক্ষাপট তৈরী করা হবে। এক্ষত্রে নির্দলীয় মানুষ খুঁজে পাওয়া গেলেও বাংলাদেশে নিরপেক্ষ মানুষ খুঁজে পাওয়া সম্পর্কে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাঁর এপিক কথাটি বলেছিলেনঃ বাংলাদেশে একমাত্র শিশু ও পাগল ছাড়া কেউ নিরপেক্ষ নয় (আমি ব্যাক্তিগত ভাবে এই মহান বানীটির খুব ভক্ত কারন দেশ নেত্রী এদেশের মানুষের মনজগতের কারসাজি যতটা ভাল করে বুঝেন, জননেত্রী সেই এঙ্গেল থেকে বুঝেন না বলেই মনে করি)
'অবসেশান' শব্দটার যুতসই কোন বাংলাই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিকশনারী ঘেঁটে যে কয়টা বাংলা শব্দ পাওয়া গেছে সেগুলোর কোনটাই ঠিক সুবিধার না। ডিকশনারিগুলো লেখে কারা? মনে মনে তাঁদের উদ্দ্যেশ্যে যুতসই কয়েকটা গালাগাল দিলেন। কিন্তু মাথা ঠান্ডা হল না। অদ্ভুদ বাংলা অনুবাদ শব্দগুলোর, অবসেশান মানে আচ্ছন্ন, অন্ধাকারাচ্ছন্ন, আবেশ, বদ্ধসংস্কার, ঘোর? এরকম শব্দ বাংলায় কেউ ব্যবহার করে?
দীর্ঘ ছুটির পরে কাজে ফিরেছে মিলি। বিচ্ছিরি অসুখের চিকিৎসায় ভেঙ্গে পড়েছে শরীর। নিজেকে টেনে টেনে চলে ও। এ শহরের বাসগুলো ইচ্ছে করলেই নিচু করা যায়। বয়স্ক কিংবা হুইল চেয়ারের যাত্রী দেখলেই বাসের চালকেরা বাস নামিয়ে নিচু করে দেয়। কিন্তু মিলিকে বাইরে থেকে দেখে ওর শারীরিক অবস্থা বুঝার উপায় নেই। তারপরেও চালককে অনূরোধ করলে, নিচু করে দিতো যাতে বাস থেকে নামতে সহজ হতো। মিলি কিছুতেই তা করবে না। অদ্ভুত এক আত্মমগ্ন অভিমানে ডুবে আছে ও। তাই প্রতিবার বাসে ওঠা নামা করতে কষ্টে নীল হয় ও। নিজেকে নিজেই বলে, “কষ্টেরা নীলই হয়, মিলি, নীলই হয়...”
মাথার মধ্যে বেঁচে আছে
লতার ঘ্রাণ নদীর স্রোত
এখনো বনফুল
আমাকে চিনতে পারছো
আমি সেই বনচারি
উৎসের কাছে মানুষ ফেরে
আমি শুধু বলতে এসেছি
এই বনবিথিবাহারে গোলাপে কাঁটার কৃষ্টি
বেঁধে যদি বুকে আর দুফোটা অশ্রু
সেই তো পরম প্রাপ্তি
মুখটা ময়লা না মেঘলা
ঠিক মতো বুঝিয়ে না বললে
কী করে বুঝব- বলো হে সবুজ পাতা
মুখটা ময়লা না মেঘলা ?
২৬.০৭.২০১৩
মেডুসা- গ্রীক মিথলজির এক আকর্ষণ। গ্রীক মিথলজির কোনো আলোচনাই মেডুসা ছাড়া শেষ করা সম্ভব নয়। টাইফোয়িয়াসের কথা মনে আছে? যার সাথে দেবতাদের বিশাল এক যুদ্ধ হয়েছিলো? সেই বিশাল দানব টাইফোয়িয়াস বিয়ে করেছিলেন অর্ধেক সাপ, অর্ধেক মানবী এচিডনে-কে। তাদের তিন মেয়ে ছিলো, যারা গর্গন নামে পরিচিত ছিলেন, এদের মধ্যে একজন ছিলেন মরণশীল, তিনিই হচ্ছেন মেডুসা। কেউ কেউ বলে থাকেন, মেডুসা প্রথমে গর্গন ছিলেন না, তিনি খুব সুন্দরী ছিলেন, তার বাবা মা ছিলেন ফোরকিস এবং কিটো।
লেখা শুরু করি অভিযোগ জানিয়ে। আমি দুর্ধর্ষ একজন লেখক। বিদ্যুৎ গতিতে আমি লিখে যাই। দিনে মিনিমাম কয়েকশত গদ্য, পদ্য। সচলায়তনে আমার মোট দুই লাখ ছেচল্লিশটা লেখা ছিল। হঠাৎ একদিন ঘুম থেকে উঠে দেখি দুইলাখ লেখা গুম! ছিল দুইলাখ ছেচল্লিশটা লেখা, এখন গুনে দেখি আছে মাত্র ছেচল্লিশটা। বাকি দুইলাখ লেখা (যার বেশিরভাগই প্রেমের পদ্য ছিল অবশ্য) রাতের বেলা ট্রাকে করে নিয়ে বুড়িগঙ্গায় ফেলে দেয়া হয়েছে । অথবা হয়তো ইলেকট্রিক চুল্লিতে পুড়িয়ে ছাই বানিয়ে সেই ছাই দিয়ে সচলের মডুরা দাঁত মেজে ফেলেছে । যাই হোক, অভিযোগ করা শেষ। আমার দুই লাখ লেখার গায়েবানা জানাজা করে এবারে টিউটোরিয়াল শুরু।
দিকে দিকে রটে গেল হারু মাঝির বাঁশির কথা। আগে তো কেবল মাঝ নদীতে বাঁশি বাজাত। কখনো বর্ষার সন্ধ্যায় বা পূর্ণিমার রাতে একাকী লাগলে বাজাত। সেই বার যখন রাজার মন্ত্রী গ্রামে আসছিলেন, তখন মাঝ নদীতে তাঁর বজরার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল হারু মাঝির ডিঙি। তার ছেলে দাঁড় বাইছিল। মাঝি বোকাসোকা লোক। মন্ত্রীর বজরা দেখে কোথায় নৌকা থামিয়ে প্রণাম ঠুকবে আর সেবায় এগিয়ে আসবে, তা না। সে যেন এতবড় বজরাটা খেয়ালই করে নি এমন