অফিসে পৌছে অভ্যাসবশত বিডিনিউজে ঢুঁ মারলাম। এটা সেটা পড়ার পরে একটা খবর পড়তেই একেবারে মনটা খারাপ হয়ে গেলো। বিশেষ করে এই অংশটা -
সৈয়দ আবুল মকসুদ, স্বনামধন্য গবেষক, প্রাবন্ধিক ও কলাম লেখক। ইদানিং প্রথম আলোয় নিয়মিত কলাম লেখেন, তার স্যাটায়ার ধর্মী লেখাগুলো সত্যিই সুপাঠ্য। কিন্তু আজকের (২৬-০৬-২০১৩) প্রথম আলোয় এক লেখায় তিনি কতিপয় মহিলা সাংসদের কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যাবহার নিয়ে লিখতে গিয়ে আবহমান বাংলার নারীর কোমল মাতৃরূপের সাথে তুলনা করে বাংলার মায়েদের চূড়ান্ত অপমান করেছেন। অশোভনতা পুরুষ বা নারীর একক কোনো ব্যাপার নয়, কিন
তখন গভীর রাত -
মহাসড়কের সাদা দাগ টানা কালো অন্ধকার পথ;
কুয়াশা কুন্ডলী পাকায়ে দুর্ভেদ্য দেয়াল তুলে রেখেছে সারা উত্তর-বঙ্গে;
গাড়ি আর চলছে না।
আমরা কিছুটা পথ যাই, কিছুটা দাঁড়াই, চা-পানি খাই, সিগারেট ফুঁকি
আমরা ভাবতে থাকি, প্রকৃতির এ কী খেলা!
এত শীত, কুয়াশার এ্ত প্রতিরোধ কখনো দেখিনি!
সিগারেটের টুকরো পায়ের তলায় পিষতে পিষতে ভাবি -
বিশ্ব পরিবেশ সম্মেলনে এবারের থিম,
আট বছর। দিন, মাস,ক্ষণের হিসেব করে কী হবে?
---
[ যুক্তিকে বিশ্বাস আর বিশ্বাসকে যুক্তি বলে যেন গুলিয়ে না ফেলি আমরা !]
…
শুনেছিলাম সেই সে কবে, রাষ্ট্র নাকি লড়বে,
আঙ্গুলেতে জয় দেখানো কাদের বোধহয় মরবে
কদিন ব্যাপক উথাল পাথাল সবই এখন ঠান্ডা।
আম জনতার মাথায় কেবল সদাই পিটছে ডান্ডা।।
একাকী নদীটির ধারা আলোর সীমা ছাড়িয়ে সন্ধ্যার দিকে চলে গেছে চুপচাপ। গভীর, নীল, নির্জন স্রোত। আধা ঘুম, আধো জাগা সেই ধারা বয়ে চলেছে নিজেরই নীলাভ সবুজ স্বপ্নের ভিতর দিয়ে।
ডিসেম্বরের সাতাশ তারিখ দুই সুটকেসে জীবনটাকে ভরে সামিয়া উঠে পড়লো ভাড়া করা সাদা রঙের টয়োটা গাড়িটায়। আগে এই ধরনের রজনীগন্ধা সজ্জিত গাড়ি রাস্তায় চলতে দেখতাম, আর এবার গাড়ির ভেতর থেকে দেখলাম রাস্তাটাকে। সেই রাস্তাটা, রাস্তাগুলোকে পার করে একসময় চলে আসলাম মিরপুরের এক চিপায় তুরাগ নদীর পাড়ের এক বাড়িতে, যে বাড়িটা আমার মা-বাবা বানিয়েছিলেন তাদের জীবনীশক্তি নিঃশেষ করে দিয়ে। ডিসেম্বরের সাতাশ তারি
দিনের বেলা বাবা অফিস থেকে ফিরে, মধ্যাহ্নভোজন সেরে শেষ দুপুরে একটু ঘুমুতেন। ওই সময়টা ওনার শোবার ঘরে আমাদের যাওয়া ছিলো বারণ। একেবারে কারফিউ জারি থাকতো সেসময়টা।
জুন ২৩, ২০১৩।
সবুজ সাগরের তীরে ছোট্ট শহরটি ঝিমিয়ে আছে। চারদিক গরমে পুড়ছে। আর আমি বন্যপ্রাণীর অভয়ারণ্যে। সাথে দুই মেয়ে--একটা স্ট্রলারে বসে আরেকটা তাকে ঠেলছে। আমার কাঁধে একটা বড় ঝোলা, আর গলায় একটা অস্ত্র। এই অস্ত্র দিয়ে পাখি সহ অনেক কিছু শিকার করা যায়। আজকাল ছবি তোলার কথা বলতেও ভয় লাগে, পাছে বানর খেতাব পেয়ে যাই।