Archive - 1970 - ব্লগ
July 24th
গ্রীষ্মের কয়েকটি দিন
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৪/০৭/২০১৮ - ৩:৫০অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
আমাদের বাগানের পশ্চিম পাশটায় সূর্যের আলো খুব একটা আসেনা। রোদ না পেয়ে একেবারে যা তা অবস্থা ঘাসের। হামবার নার্সারির ম্যানেজার আলফান্সোর কথামতো গতো দু-মাসে চার বার সার দিয়েছি। সার মানে কম্পোস্ট, যেমন তেমন নয়, পাহাড়ি ভেড়ার নাদি মেশানো কালো কালো মাটির দলা। সেই দলা রোদে শুকিয়ে, হাত দিয়ে ভেঙে, গুঁড়ো গুঁড়ো করে মেশাতে হয় ঘাসের গোড়ায়। কাজের কাজ কিছুই হয়নি, বরং উৎকট গন্ধে এদিকে আসাই দায়। একগাল হেঁসে আলফান্সো বললো, সারে কাজ হবে না।
July 18th
একটি ইঁটের আত্মজীবনী
লিখেছেন মৃদুল আহমেদ (তারিখ: বুধ, ১৮/০৭/২০১৮ - ১১:১৭পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
দুশো সতের তলা বাণিজ্যিক ভবন থেকে পড়তে পড়তে ইঁটটি ভাবছিল, আজ কেউ মারা না যাক।
কিন্তু একশো আটানব্বই তলায় প্রিয়তম স্বামীটি তখন প্রাইভেট সেক্রেটারির অন্তর্বাসের ফিতের জট খুলছিল।
আর একশো বিয়াল্লিশ তলায় প্রবল আশাবাদি তরুণটি সিলিংফ্যানে বাঁধছিল গলার দড়ির অপর প্রান্ত।
ওদিকে বিরাশি তলায় কমিটির নির্বাচনী মিটিংয়ে মারামারি। ভাঙা কাঁচের গ্লাস। তোবড়ানো এজেন্ডা। থুতনিতে কালশিটে।
July 12th
পতন
লিখেছেন Sohel Lehos [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৭/২০১৮ - ৩:৩৬অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
প্লেনটি যখন হাজার টুকরো হয়ে দুপুরের আকাশে আতশবাজির মত ফুটছিল তখনও ফেরদৌস মরেনি। হাত পা চারদিকে চাগিয়ে দিয়ে তীব্র বেগে সে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে যাচ্ছিল। এটাই ছিল তার জীবনের প্রথম এবং সম্ভবত শেষ প্লেন ভ্রমন।
শাহাদুজ্জামানের ' একজন কমলালেবু'-
লিখেছেন কনফুসিয়াস (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৭/২০১৮ - ১২:৩৮অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
কিছু বিষাদ হলো পাখি। সম্ভবত প্রতিটি বাঙালি কিশোরের প্রথম ঈশ্বর দর্শন হয় জীবনানন্দের কবিতা পড়ে।
বছর কুড়ি বা তারও বেশি আগে, কোন এক মেঘলা মফস্বলের চুপচাপ দুপুরে, প্রায় হঠাতই হাতে আসা নিউজপ্রিন্টের দুর্বল কাগজে ছাপা একটা বইয়ের ভেতর আমি প্রথম চোখ মেলে দেখি, সেখানে অলস গেঁয়োর মত এক টুকরো ভোরের রোদ মাথা পেতে শুয়ে আছে ধানের উপরে। একটা ইগনরেন্ট দানবের মত অবহেলাভরে সেই যে জীবনানন্দ আমাকে ছুঁয়ে দিলেন, সেই ঘোর আমার আজও কাটেনি, মনে প্রাণে চাই, কখনও যেন না কাটে।
July 11th
খৈয়ামি রুবাই: ১. সুরার গ্রাস
লিখেছেন শিক্ষানবিস (তারিখ: বুধ, ১১/০৭/২০১৮ - ১২:০৫পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
অন্ধের হঠাৎ দেখার সাধ হলো—এক বাক্য ফার্সি না জেনেও অনুবাদ করতে বসে গেলাম খৈয়ামি রুবাই। ‘খৈয়ামের’ রুবাই না, ‘খৈয়ামি’ রুবাই। স্বামী গোবিন্দ তীর্থ ১০৬৯টি খৈয়ামি (বা ওমরীয়) রুবাই মূল ফার্সি থেকে প্রথমে মারাঠি (‘গুরু করুণামৃত’) এবং পরে ইংরেজিতে (‘দ্য নেক্টার অফ গ্রেইস’) অনুবাদ করেছিলেন। কিন্তু এর মধ্যে স্বয়ং ওমর খৈয়ামের লেখা রুবাই ৭২ টা
July 8th
নৈরঞ্জনা(৫)
লিখেছেন তুলিরেখা (তারিখ: রবি, ০৮/০৭/২০১৮ - ৭:৪৪পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
৫।
"সবুজবীথি" থেকে বার হয়ে আবার একটা ছায়াশীতল রাস্তা, সেই রাস্তা দিয়ে গিয়ে পৌঁছলাম একটা বড়ো দিঘির কাছে, নির্জন ঘাটের কাছে ছায়া মেলে দাঁড়িয়ে আছে এক মস্ত ঝুরি নামানো বট। বটের ছায়ায় বসলাম সবাই।
July 7th
হুমায়ূন আহমেদের চোখ- ১
লিখেছেন কর্ণজয় (তারিখ: শনি, ০৭/০৭/২০১৮ - ১২:৩৫অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
১
আজব নাম্বারের ফোন কল
July 6th
“মায়ের দোয়া”র শিকড় সন্ধানে : পঞ্চম পর্ব
লিখেছেন সোহেল ইমাম [অতিথি] (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৭/২০১৮ - ১০:৩৩অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
July 5th
পাঠ প্রতিক্রিয়া — ঈশ্বরীতলার রূপোকথা
লিখেছেন ষষ্ঠ পাণ্ডব (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৫/০৭/২০১৮ - ২:১৬অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি: