লর্ড ক্লাইভকে ঘৃণা করলেও আমার নিজের জীবনের জন্য তার প্রতি কৃতজ্ঞতা বোধ না করে পারি না। সে না থাকলে আমার এই পৃথিবী দেখা হতো না।
লর্ড ক্লাইভ যদি পলাশীর প্রান্তরে বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে জয়লাভ না করতেন তাহলে ভারতে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হতো না। আর ভারতে ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে ১৯০ বছরের সংগ্রামের প্রয়োজন হতো না।
- তোমার চিঠি আছে।
- আমার চিঠি! কে পাঠালো? কৈ- দাও দেখি।
- এই যে!
- কই?
- এইযে আমার চোখে।
- তোমার চোখে আমার চিঠি!!
- হ্যা চোখ মেলে দেখ, আমার মধ্যেই সে তোমাকে অনেক কথা বলে পাঠিয়েছে।
- কে?
- প্রকৃতি। আমি হলাম তোমার কাছে প্রকৃতির চিঠি। তুমিও তাই। তুমি আমার কাছে প্রকৃতির চিঠি।
অনেকদিন ধরে বিষয়টা নিয়ে একটা লেখা লিখতে চাচ্ছিলাম। লেখাটার মুখ্য উদ্দেশ্য আসলে যারা ‘বাংলা লেখা’ বিশেষত অভ্র অথবা রিদ্মিক নিয়ে লেখালেখি করে বা বিষয়টা জানে তাদের কাছে সরাসরি পৌঁছানো। সেজন্য ফেসবুকে নিজের দেয়ালে না লিখে সচলায়তনের দ্বারস্থ হলাম। সম্প্রতি নতুন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রীর নাম শুনে মনে পড়ে গেলো এই বিষয় নিয়ে লেখাটা আর হয়ে ওঠেনি। তাই ব্লগের উপর নতুন কোন আইন পাশ হবার আগেই আমি
[justify]১.
৬ নভেম্বর ১৯৭৫। মাঝরাত হতে তখনো কিছুটা বাকি। ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি হেডকোয়ার্টারের পাশে যে লাল মসজিদটা, তার পাশের একটি বাড়ি থেকে বের হয়ে এলেন ইউনিফর্ম পরা একজন নায়েব সুবেদার। একা। বাইরে এবং চারিদিকে তখন ভীষণ অন্ধকার।
নিভে যাওয়া আগুনের শিখার ঘুষঘুষুনি উত্তাপটুকুও থেমে গেছে কখন, শুধু কালো কালো কয়লার মতো স্তূপ হয়ে পড়ে আছে কালকে পর্যন্ত যা ছিল চেয়ার, টেবিল, ঘরের বেড়া, দরজা, চৌকাঠ। এখন আর আলাদা করে চেনা যায় না কিছুই, কেবল আধপোড়া টিনগুলো একটু দূরে নিজেদের ক্ষয়িষ্ণু অস্তিত্ব জানান দিতে লালচে পোড়ামাটির দগদগে রঙ নিয়ে শুয়ে আছে মাটিতে।
গল্প-উপন্যাস এবং সিনেমায় ভুতের যে বর্ণনা পাওয়া যায় তার অধিকাংশই ভুল। ভুত মানেই কঙ্কাল নয়। শরীরের জায়গায় জায়গায় ছোপ ছোপ রক্ত, আর ছেঁড়া ছেঁড়া পচা গলা মাংস নিয়ে ঘুরে বেড়ানো ভয়ঙ্কর যে অবয়ব মানুষের সামনে তুলে ধরা হয় তার সর্বৈব মিথ্যে। ভুতেরা খোনা সুরে কথা বলেনা, তাদের চোখ ভাঁটার মতো গনগনে নয়, যখন তখন যে কোন রূপে আবির্ভুত হবার ক্ষমতাও তাদের নেই।
- কি করছ?
- কে?
- আমি, এই যে এখানে।
- ও তুমি! কি চাও?
- তোমার আয়নায় ধরো আমায়।
- তারপর?
- আমার স্বপ্ন সফল করবে - সাজিয়ে তুলবে আমায়!
- তাই? অনেক কিন্তু সইতে হবে!
- আচ্ছা!
- হেসো না।
- বলো, শুনছি।
ল্যাঙ্গু পরীক্ষা !
১.
অশেষ স্বলেহনের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি সহজে যূথচিন্তনের সুযোগও ফেসবুক খোলা রেখেছে। পরিভাষা নিয়ে চিন্তার জন্যে আগ্রহী কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে গড়া এমনই এক যূথচিন্তনের জায়গায় সেদিন একটি প্রশ্ন দেখে থমকে গেলাম: "জেলিফিশের বাংলা কী হতে পারে?"