আর ইউ ওকে টু টক?
সামনে বসা পুলিশ অফিসারের প্রশ্ন। গলায় অঢেল কোমলতা। ধবধবে সাদা চামড়া। নীল চোখ। রিয়েল অ্যামেরিকান পুলিশ।
বাড়াকাত মোটেই ওকে না। ওকে থাকার কথাও না। পশ্চাৎদেশের ব্যথা কঠিন ব্যথা। কী যাতনা বিষে, বুঝিবে সে কিসে, কভু আশীবিষে দংশে নি যারে!
বাড়াকাতের মনে হচ্ছিল অন্য কথা। এই ব্যথার চেয়ে আশীবিষের কামড় ভালো ছিল। হায় রে সাপ! তুই কামড় দিলি না, কামড় দিল অভিশাপ!
বৃত্ত ভাঙা নিয়ে ভাববার খুব একটা অবকাশ পাচ্ছিনা। এখানে এখন রুদেলান্তির সময়, ঈশ্বরের অনুগ্রহ হাত ভরে নেবার কাল। সোনালি স্রোতের যেন কোন শেষ নেই, শেষ নেই ছাঁকনদারদের ব্যাস্ততার, তারচেয়েও ব্যাস্ত বাদামিরা। এরই ফাঁকে আমাদের তল্লাটে বেশ কিছু পরিবর্তন ঘটে গিয়েছে। বৃত্ত গুলো এখন আরও বড়, আরও উষ্ণ। আর্দ্রতা কমে এসে অমৃতের স্বাদটাকে কেমন যেন পাল্টে দিয়েছে। তবে নিজেকে দারুণ শক্তপোক্ত আর চনমনে লাগে আজকাল, বাকি একুশ জনের দিকে তাকিয়ে টের পাই কলেবরে বেশ বেড়েছি আমি।
ঘটনাটা অনির যতবার মনে পড়ছে ততবার মজা লাগছে। কাঁথার ওম উপভোগ করতে করতে অনি মাঝে মাঝে আজমাইনের চেহারাটা মনে করে হাসছে। অনির আজ আনন্দের সীমা নেই। আজমাইন আজ বেশ একটা শিক্ষা পেয়েছে। অবশ্য এটার পুরো কৃতিত্ব সেই মেয়েটার। তবে রুমন যদি আজ সেই মেয়েটার কাছে আজমাইনকে দিয়ে মাফ না চাওয়াতো তাহলে আজ নির্ঘাত বিষয়টা মা-বাবা অবধি গড়াতো। আজমাইনের সবকিছুতেই সবজান্তা ভাব। অথচ রুমন কত কি জানে, গাদি গাদি বই পড়ে ও। অথচ রু
তাঁর বিপুল ছন্দে ছন্দে
মোরা যাই চলে আনন্দে,
তিনি যেমনি বাজান ভেরী মোদের তেমনি নাচের ভঙ্গি ॥
যাঁর নানা রঙের রঙ্গ মোরা তাঁরি রসের রঙ্গী ॥
----বুড়োটা আর বুড়ো হয় নারে!
আরে, এই ইলেকট্রিকের খাম্বার পাশেইতো ছিলো মেয়েটা! লাল ফ্রক পরা! মিনিট তিনেক আগেইতো মিনুকে এখানে ট্রাঙ্কের উপর বসিয়ে রেখে ড্রেনের ধারে বহুক্ষন ধরে চেপে রাখা “ছোট-কাজ” সারতে গিয়েছিলেন নজীর আলী। কোথায় গেল বাচ্চাটা? এতবড় ঢাকা শহর। কিছুই চেনেন না। সদরঘাটে লঞ্চ থেকে নেমে সরাসরি বাসে চেপে পি.জি.
এমন নয় যে অনেক দূরে অথবা ঝক্কি-ঝামেলার পথ। দুই-তিন মিনিট পূর্ব দিকে হাঁটলেই ভূমি থেকে নিম্নদিকে একতলা এবং উর্ধে দুই তলার লাল টকটকে ভবনটি কচি-কাঁচা-আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সহ প্রায় উনতিরিশ হাজার জনগনের নিবিড় জ্ঞান অর্জনের জন্য সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত সাধারণ পাঠাগার- ওয়েষ্ট লাফায়েত পাবলিক লাইব্রেরী। গত তিন বছরের প্রতিটি দিনেই এই রক্তলাল ভাবনের পাশ দিয়ে হেঁটেছি। কিন্তু, ঘূর্ণাক্ষরেও ভেতরে উ
তোমার জন্য লেখা এলোমেলো শব্দের ঝাঁক-৪(১)
এই যে তুমি কল্পনার পাখায় ভর করে বাংলাদেশ থেকে সাইপ্রাসে এলে, সে জন্য তোমার কোন ট্রাভেল ডকুমেন্টসের প্রয়োজন হল না। এ যেন তোমার আনন্দিত শৈশবে গেয়ে ওঠা রবি ঠাকুরের গান,
কোথাও আমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা মনে মনে!
মেলে দিলেম গানের সুরের এই ডানা মনে মনে।
কয়েক বছর ধরে স্যারের হয়ে কাজ করছে জয়নাল হাটিকুমরুলি। খাটনির তুলনায় বেতন খারাপ না। দুই ঈদে বোনাসও দেন স্যার। ছুটি তেমন পাওয়া যায় না অবশ্য, কারণ কখন কোথায় স্যারের ডাক পড়ে, আর তাঁর সাথে তাকে ছুটতে হয়, তার তো কোনো ঠিক নেই।
দুঃখ একটাই।
হরিপূর্ণ ত্রিপুরা