প্রতিদিন বাংলায় কিছু একটা লেখার অভ্যাস হারিয়ে যাচ্ছিল প্রায়। বিদেশে বাংলা বলা হলেও লেখার সুযোগ খুব একটা আসে না। বাঁধ ভাঙার আওয়াজ সে সুযোগ ও পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছে। সেজন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ।
যদিও পরিকল্পনা মাফিক লেখা হচ্ছে না। কারণ কোনো একটি বিষয় নিয়ে লিখতে হলে যে হোমওয়ার্ক করতে হয় সে সময় পাওয়া দুষ্কর। বেশ কয়েকটি বিষয় মনে মনে ঠিক করে রেখেছি। কিন্তু সেগুলো লেখার সময় করতে পারছি না।
সুতরাং লেখার পরিকল্পনা বদলে নিচ্ছি। এ যেন প্ল্যান বি। এখন থেকে
একাত্তরের ঘাতক দালালদের এবং তাদের সহযোগি রাজাকারদের নিমর্ূল করলেই বাংলাদেশ সোনার বাংলা হয়ে যাবে এমন অলীকবিশ্বাস আমার নেই। এটা খুব ভালো একটা রাজনৈতিক বিজ্ঞাপন, বেশ অনেক মানুষ এটাতে বিশ্বাস করে, নেতারা একাত্তরের চেতনা বলে কথার প্রাসাদ বানাতে পারে কিন্তু তেমনকোন যৌক্তিক ভিত্তি কথাটার নেই।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবে, আমরা মর্যাদাসম্পন্ন একটা জাতি হিসেবে পরিচিত হবো, আমরা পাকিস্তানের কাছে বকেয়া টাকা ফেরত পাবো এসব আকাংক্ষা আমারও। আমার শ্রদ্ধা ভালোবাসা সব মুক্তিযুদ্ধে প্রতক্ষ্য বা পরোক্ষ্য ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি। যারা একাত্তরের চেতনার কথা বলছেন তারা ধর্মনিরপেক্ষ বাঙ্গালি সংস্কৃতির সহায়ক একটা দেশ দেবার প্রচেষ্টা করছেন না। তারা রাজাকারদের কথা
প্রায় তিন যুগ এবং দুই প্রজন্ম পার হয়ে গেছে '71এর পর। যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত হয়েছেন, যারা যুদ্ধের বিভীষিকার প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ শিকার তাদের সম্মানিত অবস্থান যারা এই স্বাধীন ভুখন্ডে মর্যাদার সাথে বসবাস করছেন ও সুন্দর আগামির স্বপ্ন দেখছেন সবার চেতনায়।
মুক্তিযুদ্ধ একটা আদর্শ নিয়ে শুরু হয়েছিলো, আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী প্রজন্ম তাদের হতাশা, লজ্জা এটাই যে আমাদের পূর্ববর্তী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এবং অনাগত সব রাজনৈতিক নেতৃত্ব সেই আদর্শ ভুলে ক্ষমতালিপ্সু। আমি বেশ অনেক দিন ধরে শুনছি কথাটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা- কি সেই চেতনা তা পরিস্কার কেউ বলছে না। একটা ভালো বিজ্ঞাপনের শব্দ। সবাই নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ভাসিত দাবী করছেন। কিন্তু চেতনা
আমার আগের পোস্টের সাথে কিছু ছবি আপলোড করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু প্রতিবার একই ছবি আপলোড হয়। সুতরাং এই পোস্টে আবার ছবিগুলো দেয়ার চেষ্টা করছি। দেখা যাক কয়টা আপলোড করা যায়।
লন্ডনের স্কাইলাইন খুব সুন্দর। বিচিত্র ডিজাইনের বিলিডং একে দিয়েছে বহুমাত্রিকতা। আছে সেন্ট পলস গির্জার মতো সুদৃশ্য গম্বুজ ওয়ালা ভবন। বিগবেনের মত ঘড়িওয়ালা লম্বা সোনালী রংয়ের কারুকাজ করা দালান। আছে লন্ডন আই। বিশাল গোল এক বৃত্ত। যার ছোট ছোট ঝুলন্ত ডিমগুলোতে চড়ে ঘুরে ঘুরে দেখা যায় পুরো লন্ডন। এসব ভবনের মধ্যে নতুন সংযোজন হচ্ছে ঘেরকিন। সম্পূর্ণ কাঁচ দিয়ে বানানো নতুন এই ডিজাইনের ভবন পৃথিবীতে অদ্্বিতীয়। কিরকম আকার এই ভবনের? কারো কাছে মনে হয় এটি আনারসের মত
এই ছবিটা বধ্যভূমিতে নেওয়ার আগে তোলা। এমন পৌরুষ ছিলো তাই আমরা এখন এভাবে কথা বলতে পারছি।
কোনও এক কবিতা সম্মেলনে শুনেছিলাম কবিরা নিরীহ শান্তিপ্রিয় মানুষ। যারা কবিতা লেখে এবং যারা কবিতা পড়ে তারা মানুষ খুন করতে পারে না।এমন প্রশংসা কমই পাওয়া যায়।
অনেকে কবিতা লিখছে লিখেছে, সভ্যতার প্রায় শুরু থেকেই এবং ভবিষ্যতেও লিখবে। কবিতা মানুষের ভেতর বাহির যোগাযোগ। এক মানুষের অনুভব যা এমন ভাবে উচ্চারিত যেটা অন্যসব পাঠকের অন্দরমহলের কড়া নাড়ে।
কবিতা লেখার শর্ত কবি হয়ে ওঠা। এটা ধারাবাহিক অনুশীলনের বিষয়। কেউ কেউ শুরুতেই কবি হয়ে যায়, কারো খানিকটা পথ পাড়ি দিতে হয় আর কেউ মরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত কবিতা লিখেও কবি হতে পারে না। সবাইকে দিয়ে সব কিছু হয় না। আমার কয়েকটা পংক্তি মনে পড়ে কবি কিংবা লেখকের নাম জানি না।
যদি আজ বিকেলের ডাকে তার কোনোও চিঠি পাই যদি
বাংলা ব্লগের এই নতুন সাইটটি এখন জনারণ্য। সবাই যে ব্লগিংয়ের মানসিকতা নিয়ে আসছেন তা নয়। অনেকেই আছেন বিরক্তি উৎপাদনের তালে। তাই তারা বন্যা বইয়ে দিচ্ছেন ব্লগের। লিখছেন যা মনে হয় তাই। উলেটা পালটা মন্তব্য করছেন।
তার মনে সাইটটি এখন কঠিন ক্রান্তিকাল পার হচ্ছে। ভালোকে কিভাবে খারাপের হাত থেকে রক্ষা করতে হয়- সে পরীক্ষাই দিতে হবে এখন আয়োজকদের।
আমাদের সকল শুভকামনাতো তাদের জন্য রইলো। নিশ্চয়ই আমরা দেখতে পাবো তাদের সাফল্য। তাই আগাম প্রাণঢালা অভিনন্দন। বেঁ
প্রন্ততত্ত্বের উপর একটা আকর্ষন তৈরী করার পেছনে ছিলো দানিকেন। তার ভিনগ্রহের মানুষ খোজার অন্তবিহীন যাত্রার শেষ কোথায় জানা হয় নি। প্রাচীন উপকথার সাথে পরিচয় তার লেখায়। গ্রীক আর হিন্দু পুরানের গল্প পড়া। মানবিক ইশ্বরের সাথে পরিচয়। ইশ্বরের ভিতরের মানবিক আবেগ একটা সময় প্রায় অনিবার্য মনে হয়।
সেমিটিক উপকথার সবটুকু পড়া হলো না। বাংলায় তেমন অনুবাদ নেই। তবে প্রথম ঝাকি খাওয়ার মতো পড়া বই বারমুদা ট্রায়াঙ্গল। উদ্ভট ব্যাখ্যাবিহীন ঘটনা বিশ্বাস করেছিলাম। সে যেভাবেই অন্তে আসা যাক না কেন পরবর্তীতে নৃতত্ত্বের উপর একটু টান। শেষ পর্যন্ত কোনটাই পড়া হয় নি আনুষ্ঠানিক ভাবে। আক্ষেপ নেই । কিন্তু সময়ের অভাব বা পর্যাপ্ত আগ্রহের অভাবে এখন প্রত্নতত্ত্ব বা নৃতত্ত্ব পড়া হ
আমার বেশ কিছু বন্ধু গানের সাথে যুক্ত। কেউই পেশাদার শিল্পী না। নিজেরা গান লিখে নিজেরা সুর করে আর আমরা বন্ধুরা শ্রোতা। আমি গায়ক হিসেবে ভয়ংকর। এক গানের আড্ডায় গান শুরুর পর বন্ধুর লাথি খেয়েছি। অতএব গান গাওয়া আমার কাজ না। এখন চেষ্টা করছি নতুন ধাঁচের গান লেখার। মাঝে আটকে আছি। কেউ জট খুলে বাকিটা শেষ করে দিলে ভালো হয়। বিষয়টার সূচনা দিতে পারি বাকিটা দেখা যাক কোথায় দাড়ায়---
বাড়ুই নদীর পারে মধুখালি গ্রাম
হেমন্তে পাতা ঝড়া বনে
আদিবাসী তরুনির ঘরে
শুকনো পাতা শেষ হলে
শরীরে আগুন জ্বেলেছিলাম।।
উৎসবে মেতে ছিলো সাঁওতাল পাড়া
মহুয়া মদির রাতে মাদলের তালে
ভরা চাঁেদর নীচে উর্বরা উজাড় মিলন.....
এরপরের অংশ জুড়ে কেউ কি কোন সহযোগিতা করবে??