নিরপেক্ষ ব্যক্তি নিয়ে বাংলাদেশে এখন সমস্যা দানা বাঁধছে। সমস্যার শুরু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা থেকেই। সামনে নির্বাচন তাই বিষয়টি আবার চলে এসেছে প্রচ্ছদে।এখানে আড্ডাবাজ এ নিয়ে লিখে ফেলেছেন দুটি লেখা। তার মতো অনেককেই নিশ্চয় ভাবাচ্ছে অস্থির ও অস্বস্তিকর রাজনৈতিক বাতাবরণ থেকে উদ্ধারের সুলুক।
শুরু করি তার শেষ লেখা দিয়ে। তার সব কথার সার বলেই কিনা তিনি তুলে দিয়েছেন প্রথম লেখায় করা দীক্ষক দ্রাবিড়ের মন্তব্য:
ক্ষমতাদখল যেখানে মুখ্য
দল-বদলের
আকবর একটা ভুল করেছিলেন তার রাজত্বকালে, অশিক্ষিত এই সম্রাট কি যেনো কুবুদ্ধি এসেছিলো ঘটে তাই সভাসদদের বললেন হিজরি মাস অনুযায়ি সৈর দিনপঞ্জি তৈয়ার করো, একজন হিসেব কষে তৈয়ার করলেন, সে মোতাবেক আমরা বাংলা সন পাইলাম, পাইলাম পহেলা বৈশাখ, তাহলে হিজরি সন আসিল কোথা থেকে, জানা যায়, কাফের আরব বাসি মোহাম্মদের উপর পিতৃপুরুষের ধর্ম নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অপরাধে ক্ষিপ্ত ছিলেন, তারা হত্যা করতে পারেন এই আশংকায় রাতের অন্ধকারে মোহাম্মদ চুপিসারে, তার তৎকালিন ভ্রাতা, পরবর্তিতে জামাতা আলিকে আমানত রাখা জিনিষপত্র বুঝাইয়া দিয়া গৃহত্যাগ করেন, মোহাম্মদ চরম স্বদেশ প্রেমি ছিলেন তাই এই দেশত্যাগের ব্যাথ্যা ভুলিতে পারেন নি। তিনি লিপিবদ্ধ রাখেন , এি জালেন কাফেররা আমাকে কত দিন মক
ভাষার চেয়ে ছবি শক্তিশালী। অনেক কথা মুহুর্তেই তুলে ধরে ছবি। পত্রিকায় অনেক যুক্তি দিয়ে যে সমালোচনা করা হয় তার চেয়ে একটি কাটর্ুন অনেক বেশি নাড়া দিতে পারে।
কাটর্ুনের আরেকটি দিক হলো এর রসিকতা। যদিও সমালোচনাই থাকে কাটর্ুনের মূল উপজীব্য। তবুও কাটর্ুনে তা করা হয় অনেক রসিয়ে রসিয়ে। যাতে মূল মেসেজটা পাওয়া যায়। কিন্তু হাসিটাও বাদ যায় না।
ডেইলি স্টার তাদের পত্রিকায় প্রকাশিত কাটর্ুনগুলো নিয়ে একটি প্রকাশনা বের করেছে। নি:সন্দেহে একটি ভালো উদ্যোগে। বিশেষ করে
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের শিক্ষক হত্যার নির্মম নির্লজ্জ প্রক্রিয়ায় এভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিবেককে জাগ্রত কর।
এ কথাটা আজ সারাদেশের ক্ষেত্রে সমভাবে প্রযোজ্য। প্রশাসন, সরকার ও ক্ষমতাসীন জোটের নির্লজ্জ আচরণে অসহায় জনগণের হৃদয়ের আর্তি হচ্ছে, বিবেককে জাগ্রত কর। এখন দেশে প্রতিবাদ অর্থহীন। অভিযোগ করা হাস্যকর। সবচে' দুর্ভাগ্য যে বিচার চাইতে যাওয়ার জায়গা মানুষের নেই। কার কাছে বিচার চাইবে তারা। যেখানে অভিযোগ আর বিচার নিয়ে চলছে না