আস্তমেয়ে (এটি তার লৈঙ্গিক পরিচয় নয়, কারণ মতান্তরে তিনি তেলাপোকা বা পুরাছেলে) আমার ইসলাম ও নারীঃ একটি মোহমুক্ত বিশ্লেষণ-2 এ মন্তব্য করেছেন অন্ধ হয়ে হাতির একটি অংশ ছুঁয়ে নাকি হাতির পুরো অবয়ব বুঝা যায় না। তো তার পুরো হাতিটি কিরকম তা তিনি অবশ্য জানাননি। এদিকে উৎস একটি পোস্ট করেছেন দেখলেই সব সত্য হয়ে যায় না। এই সব মিলিয়ে আমার এই লেখা আস্তমেয়ের হাতি।
ও আস্তমেয়ে, বলুন হাতির কয়টি পা দেখছেন আপনি?
এ হচ্ছে দেখা, বুঝা ও সত্যের এক ধাঁধাঁ।
হুমায়ুন আহমেদ, মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও কাটর্ুনিস্ট আহসান হাবীবকে যে রাজাকার এতিম করেছিলো তার নাম দেলোয়ার হোসেন সাঈদী। পটুয়াখালির এই বর্তমান এমপি সাঈদী'র কুর্কীতির দীর্ঘ বিবরণ পড়ুন সংযুক্ত ছবিটিতে। ইতিহাসকে লুকিয়ে ফেলা যায় না। অপরাধী শত চেষ্টা করেও তার অপকর্মের সব চিহ্ন মুছতে পারে না। কিছু দাগ সে রেখে যায়। আর সঠিক সময়ে মানুষ ঠিকই সাক্ষ্য দিতে এগিয়ে আসে। সুতরাং সাঈদীর বিষয়েও প্রমাণের অভাব নেই।
মুক্তিযুদ্ধ উত্তর প্রজন্মের নবীনরা পড়ো ইতিহাস।
শেখমুজিবকে সপরিবারে হত্যা প্রচেষ্টা 90% সফল হওয়ার পর, সংবিধান সংশোধন ও পাঠ্যপুস্তকের ইতিহাস বিকৃতি করেও তাদের রক্ষা হচ্ছে না। পত্রিকার পাতা খুললে তাদের মাথার চুল খাড়া হয়ে যায়। যেন টাইম মেশিনে করে 1971-এ ফিরে গেছে সবকিছু। কিন্তু এসব নির্বোধেরা বুঝে না, মানুষের প্রবল স্রোত যেখানে ইতিহাস নির্মাণ করে সেখানে এসব বিকৃতি টিকবে কি করে?
মইত্যা রাজাকার সম্পর্কে একটি বিস্তারিত লেখা তুলে দিলাম ছবি আকারে। এটি বাসভূমি পত্রিকার সৌজন্যে। পড়ুন ও জানুন দেশের
তুষার রায়ের রাজাকার বিষয়ক তিনটি ছড়া তুলে দিচ্ছি। কথাগুলো বেশ যুৎসই। বিশেষ করে এই ব্লগ সাইটের জন্য জোরদার ভাবে প্রাসঙ্গিক। যেমন: 'যেমন কুকুর তেমন মুগুর না হলে কি চলে? বলুন সবাই আমার সঙ্গে জোরসে তুলে কণ্ঠ। ধর রাজাকার, মার রাজাকার, কর রাজাকার ঘন্ট।' এটি একটি ছড়া।মুক্তিযুদ্ধ উত্তর প্রজন্মের জন্য খুবই উপযোগী। নতুন প্রজন্মের যারা জানে না রাজাকারদের কিভাবে ঘন্ট বানাতে হবে তাদের এটি মুখস্থ থাকা দরকার।