Archive - মে 2006 - ব্লগ

May 30th

বাউন্ডুলে কথন

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: মঙ্গল, ৩০/০৫/২০০৬ - ১০:৩০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই আলোচনার মূল সুর সংস্কৃতি, কৃষ্টি মানুষের যৌগিক চেতনার উৎপত্তি এবং আমাদের সরলিকরন প্রক্রিয়া, বাকি অংশ এই ভাবনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন চিন্তার আঁচর। এখানে বিবেচিত বিষয়ের মধ্যে আমার ধারনায় সমাজগঠনের মূল প্রক্রিয়া এবং সাংস্কৃতিক বিবর্তনের পার্থক্য কিভাবে সমাজের সত্তাকে বদলে ফেলে এটার উপর আমার অনুভব, মানুষ মাত্রই অনিশ্চয়তায় ভুগে, এটাও আমার অভিমত, সত্যকে যাচাই করার মূল উপায় পরীক্ষন, কিন্তু সমাজের মতো অনেক লতানো প্যাঁচানো জীবন্ত সত্ত্বাকে পরীক্ষন করার জন্য যেই বিচ্ছিন্নতা প্রয়োজন তা আমাদের নেই, আমরা মানুষকে গিনিপিগ হিসাবে ব্যাবহার করতে পারি না, এবং বিষয়টা মানবিকও না আমার বিবেচনায়, একেবারে প্রাচীন সভ্যতার উত্তরাধিকারি মানুষকে হঠাৎ করে যন্ত্রযুগের


May 28th

বারোমিশালি প্যাঁচাল

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: রবি, ২৮/০৫/২০০৬ - ২:২৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বিজ্ঞান এবং ধর্ম নিয়ে এবং ধর্মনিরপেক্ষতা এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিয়ে ব্লগটা বিভক্ত। অবশ্য ইদানিং সাধারন কিছু নতুন মাপের ঐক্য এসেছে, শালিনতা আন্দোলন, সমমনা ব্লগারদের নিয়ে অশালিনতার বিরুদ্ধে বর্জন কর্মসূচি- মানুষ উদযাপন ভালোবাসে,
মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির পার্থক্য থাকবে, মানুষের গন্তব্য এবং উদ্দেশ্যের পার্থক্য থাকবে, এটাই স্বাভাবিক, একেবারে উগ্র ধরনের কামুকও থাকবে এবং অন্য পাল্লায় থাকবে তীব্র বৈরাগি দল। সাধারন মানুষ এই 2 মাত্রার ভেতরে নিজেদের অবস্থান গ্রহন করবে, প্রকৃতির সাম্য বজায় রাখার জন্য মধ্যপন্থি জনগনের সংখ্যা বেশি হবে, ওরাই সংখ্যাগুরু সমপ্রদায় হবে। কিন্তু শালিনতা আন্দোলনটা কি নিয়ে এটাই বুঝে উঠতে পারলাম না এখনও? একেক জন একেক ভাবে বিষয়টাকে


আদমচরিত ০০৭

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শনি, ২৭/০৫/২০০৬ - ৯:২০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]

স্বর্গে মহা ক্যাচাল লাগিয়া গিয়াছে। পালের গোদা স্বর্গদূতগণের মধ্যে কাজকর্মে ফাঁকি দিয়া দুই নম্বরি কাজে মন দেয়ার কারণে স্বর্গের বড়বড় কাজ সব ভজঘট লাগিবার যোগাড়।

গুজরিলের দায়িত্ব ছিলো প্রাণসংহারের। সে বড়সড় একখানি রশ্মিনির্মিত দাও লইয়া ঘুরিয়া বেড়ায়, কারো আয়ু ফুরাইলে সে গিয়া দাও দিয়া কোপাইয়া সংশ্লিষ্ট হতভাগ্যের জান কাটিয়া লইয়া আসে। সম্প্রতি তাহার কী জানি হইয়াছে, সে আনমন...


May 27th

ব্যাবিলনের দেবতাকূল

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শনি, ২৭/০৫/২০০৬ - ৮:৪৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সভ্যতায় প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মাগমনের বিষয়টা নিয়ে লিখবো ভাবছিলাম, অনেক আগে থেকেই, আরও কিছু দিন সময় লাগবে বিভিন্ন উপকথার জন্ম এবং বিবর্তন কিভাবে হলো এটা বোঝার জন্য। গত কোনো এক লেখায় উৎসের মন্তব্য ছিলো মিশরের পুরোহিত তন্ত্রের অনুমান কেনো, অন্য কোনো সমসাময়িক সভ্যতায় কি পুরোহিত তন্ত্র ছিলো না? সমসাময়িক এবং কাছাকাছি সভ্যতা বলতে ব্যাবিলনের সভ্যতা এবং এসিরিয় সভ্যতা, মিশরের সভ্যতার আচমকা বিবর্তনে এদের ভূমিকা আছে, এমন কি প্যালেস্টাইনের সভ্যতাও মিশরের মাটিতে প্রবাহিত হয়েছে, পারস্পরিক বিনিময়ের সবটা হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবে না, মানুষ নির্মম, যখনই কোনো শহর দখল করেছে সেই শহরের সবকিছু পুড়িয়ে ধ্বংস করেছে, এবং মানুষ ফিনিক্সের মতো সেই পোড়া শহরেই আবার নতুন বসতি গড়েছে


লাবণ্যময়ী লুবিয়ানা-৮ (উৎসর্গ: হাসান)

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৭/০৫/২০০৬ - ৮:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


প্রথম দিনেই দুটি মিউজিয়ামে গিয়েছিলাম। একটি ছিল সিটি মিউজিয়াম, যার কথা আগে লিখেছি। সিটি মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে কিছুটা হেঁটে গিয়ে মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট। বাকী সবগুলো মিউজিয়ামই কাছাকাছি। কিন্তু সব মিউজিয়াম দেখতে গেলে শহরের আর কিছুই দেখা হবে না আশংকায় অন্য কোথাও ঢুঁ মারিনি। মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টে গিয়ে ওদের স্থায়ী প্রদর্শনীটার চেয়েও ভালো লাগলো ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ফটোগ্রাফ প্রদর্শনী।

মূল দরজা দিয়ে ঢুকতেই প্রদর্শনীটা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একশ


লাবণ্যময়ী লুবিয়ানা-৮ (উৎসর্গ: হাসান)

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৭/০৫/২০০৬ - ৮:৩২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


প্রথম দিনেই দুটি মিউজিয়ামে গিয়েছিলাম। একটি ছিল সিটি মিউজিয়াম, যার কথা আগে লিখেছি। সিটি মিউজিয়াম থেকে বেরিয়ে কিছুটা হেঁটে গিয়ে মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্ট। বাকী সবগুলো মিউজিয়ামই কাছাকাছি। কিন্তু সব মিউজিয়াম দেখতে গেলে শহরের আর কিছুই দেখা হবে না আশংকায় অন্য কোথাও ঢুঁ মারিনি। মিউজিয়াম অব মডার্ন আর্টে গিয়ে ওদের স্থায়ী প্রদর্শনীটার চেয়েও ভালো লাগলো ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ফটোগ্রাফ প্রদর্শনী।

মূল দরজা দিয়ে ঢুকতেই প্রদর্শনীটা। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের একশ


আমার ছাত্রশিবির জীবন-৫

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৭/০৫/২০০৬ - ৬:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


প্রশ্ন করাকে অনেক সংগঠনেই দ্রোহ হিসেবে দেখা হয়। আমার প্রশ্নকেও ছাত্রশিবিরের বড় নেতারা সেভাবে দেখা শুরু করলেন। নানারকম ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কর্মশালার আয়োজন করা হতো। ছাত্রশিবির তখন ফুলটাইম কর্মীদের মাসোহারা দিতো। আমরা মাসোহারা না পেলেও খরচের সব টাকাই পেতাম। টাকা কোথা থেকে আসছে তার হিসাব রাখাটা জরুরি। কর্মীদের চাঁদার রশিদ তাই সযত্নে রাখা হতো। জ্যেষ্ঠ একজনকে এর কারণ জিজ্ঞেস করেছিলাম। কেন এইসব রশিদ বইয়ের মুড়ি এত যত্নে সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি যে উত্তর দিয়


আমার ছাত্রশিবির জীবন-৫

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৭/০৫/২০০৬ - ৬:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


প্রশ্ন করাকে অনেক সংগঠনেই দ্রোহ হিসেবে দেখা হয়। আমার প্রশ্নকেও ছাত্রশিবিরের বড় নেতারা সেভাবে দেখা শুরু করলেন। নানারকম ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কর্মশালার আয়োজন করা হতো। ছাত্রশিবির তখন ফুলটাইম কর্মীদের মাসোহারা দিতো। আমরা মাসোহারা না পেলেও খরচের সব টাকাই পেতাম। টাকা কোথা থেকে আসছে তার হিসাব রাখাটা জরুরি। কর্মীদের চাঁদার রশিদ তাই সযত্নে রাখা হতো। জ্যেষ্ঠ একজনকে এর কারণ জিজ্ঞেস করেছিলাম। কেন এইসব রশিদ বইয়ের মুড়ি এত যত্নে সংরক্ষণ করতে হবে। তিনি যে উত্তর দিয়


পুনর্বার দেহাতী আযানঃ ডাক দেয় দীক্ষক দ্রাবিড়

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: শনি, ২৭/০৫/২০০৬ - ২:৫২পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


মাদলের দ্রিমিকি দ্রিমিকি ছন্দে রক্তের গভীর থেকে ডাক দেয় দার্ঢ্য দ্রাবির। আমার এই পলল মাটির উপত্যকায়, আমার এই অসীম ভূ-সৌন্দর্যের লীলাক্ষত্রে আরব, হুন, শক, আর্য শকুনেরা হানা দিয়েছে বারংবার। সুফলা শ্যামল মৃত্তিকায় তারা হানা দিয়ে জন্মভূমিকে বানিয়েছে লু-হাওয়ার মরুভূমি আর নামিয়ে এনেছে সমাধির নিস্তবদ্ধতা।

অপরাধী ছন্নছাড়া ব্রিটিশরা যেমন সাগর পাড়ি দিয়ে এ্যাবরিজিনালদের পাখির মত গুলি করে হত্যা করেছে লাখে লাখে এবং দখল করেছে অস্ট্রেলিয়া তাদের রাণীর না


পুর্নবার সৃষ্টির খেলাঃ নতুন ঈশ্বর গড়া

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: শুক্র, ২৬/০৫/২০০৬ - ৭:০২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


(মুক্তমনস্ক, গণতান্ত্রিক, উদার ও বৈষম্যহীন বিশ্বব্রহ্মান্ড নিশ্চিত করার জন্য)

প্রারম্ভিকা: বিশ্বের এখন ক্রান্তিকাল। এ পর্যন্তসৃষ্টি করা স্রষ্টা ও ধর্মের বিরোধে বিভিন্ন ধর্মবিশ্বাসী মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত। যুক্তিসঙ্গত কারণে মানুষের প্রয়োজন একটি নতুন, কার্যকর ও যুগোপযোগী ধর্ম। কিন্তু নতুন ধর্মের কাঠামো নিয়োগ দেয়ার আগে প্রয়োজন একজন গণতান্ত্রিক, উদারমনা, বৈষম্যবিরোধী ও পরিবর্তনে আস্থাশীল ঈশ্বর নিয়োগ। ঈশ্বর একক, দ্বৈত বা বহুসত্ত্বা হওয়ার ক্ষেত্র