... ...
আমি কিছু কহিলাম না, নিরুত্তর চাহিয়া রহিলাম তাহার অনিন্দ্যসুন্দর বদনের পানে।
আমার মাশুকা। প্রকৃত নাম বলিয়া দিয়া তাহার অপমান করিব না। ধরিয়া নিন, তাহার নাম, নূরজেহান।
নূরজেহান আবারও আমার দিকে চাহিয়া ব্যাকূল কণ্ঠে কহিলো, "ওগো, তুমি ভাবিয়া দেখো, আব্বাহুজুরের প্রস্তাবটি এমন খারাপ কিছু নহে।"
আমি মৃদু কণ্ঠে কহিলাম, "না বেবি, তাহা হয় না।"
আদর করিয়া আমি তাহাকে বেবি বলিতাম।
নূরজেহান আমার দস্ত তাহার দস্তমুবারকে লইয়া মৃদু চাপপ্রয়োগ করিয়া কহিলো, "ওগো, ভাবিয়া দ্যাখো, ইহা এমন আর কঠিন কী কাজ? তুমি পারিবে, নিশ্চয়ই পারিবে ...।"
আমি আমার হস্ত ছাড়াইয়া লইয়া কহিলাম, "না, ইহা হইতে পারে না। ঘরজামাই থাকা আমার পক্ষে সম্ভ
"...এসব জটিলতাই ঘূণ পোকা আমার।... মানুষ হিসেবে জম্ম নিয়ে মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে না পারার কষ্ট যে কি ভীষণ! কেন যে আমার কিছুই ভালো লাগে না! না নারী, না কাব্য, না চকচমকে ক্যারিয়ার... কিচ্ছু না! স্বপ্ন আর বাস্তবতার অসহ্য বৈপরীত্য আমাকে ভাঙে। কেবলই... নিজের ভেতর..."
ডায়েরির পাতা জুড়ে এভাবেই একজন সাজিয়েছিল নিজেকে এলোমেলো ।
এখন নেই।
লাশ হয়ে গেছে কাল রাতে। সাদা কাফনে মুড়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে সামনের উঠোনে। কালো গেট ঠেলে আসছে