আন্তর্জালে অভূতপূর্ব প্রতীকি প্রতিবাদ বাংলাদেশের সময় হিসেবে শেষ হয়েছে। যারা এই প্রতিবাদে অংশ নিয়ে লেখালেখি বন্ধ রেখেছিলেন তাদেরকে দূরদর্শিতা ও বলিষ্ঠ মনোভাবের জন্য সংগ্রামী অভিনন্দন। যারা বাধাহীনভাবে মতামত প্রকাশের জন্য সোচ্চার হয়েছেন, সমর্থন জানিয়েছেন তাদেরকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। যারা ভীরু ভীরু পায়ে ও শংকিত বুকে এই নীতিগত লড়াইকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন তাদেরকে অযুত অভিনন্দন। সত্যিকার স্বাধীনতা ছাড়া লেখালেখি তা যে মাত্রায়ই হোক না কেন, অর্থহীন। সৃজনশীলত
মুক্তচিন্তাকে সমুন্নত ও বাধামুক্ত রাখতে অনেক শীর্ষস্থানীয় ব্লগার 5 ও 6 মার্চলেখা বন্ধ রেখে প্রতীকি প্রতিবাদ করেছেন। তাদের অনুপস্থিতিতে কাযত: এই সাইট প্রাণস্পন্দনহীন হয়ে পড়েছিল। এই প্রতিবাদে অনেকে সংহতি প্রকাশ করেছেন। ভিন্ন মন্তব্য পোষণ করে অনেকে তাদের পোস্টিং অব্যাহত রেখেছেন। কিন্তু মুক্তভাবে নিজের মত প্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়ে সবাই ছিলেন সোচ্চার। মত প্রকাশ ও সৃজনশীলতাকে অহেতুক সেনসরশিপের হাত থেকে মুক্ত করার জন্য বাংলা ব্লগিং সাইটে এই অভূতপূর্ব ক
প্রিয় সহযোদ্ধারা আপনাদের ধৈর্য, সহমর্মিতা ও অটুট ঐক্যের জন্য ধন্যবাদ। সিদ্ধান্ত হয়েছে যে আবার আমাদের লেখালেখি শুরু হবে আড্ডাবাজের লেখা দিয়ে। তিনি 7 মার্চ প্রথম এ বিষয়ে একটি লেখা পোস্ট করবেন। তারপর আমরা আবার পুরোদ্যমে আমাদের সৃজনশীলতা চালিয়ে যাবো। কোনো ধরনের ষড়যন্ত্র ও হীনমন্যতার কাছে আমরা নত হবো না।
আড্ডাবাজের লেখা প্রকাশিত না হওয়া বা সময় পার না হওয়া পর্যন্ত নিয়মতান্ত্রিকভাবে বিরতি পালন করুন। আর নিজস্ব সেরা লেখাটির জন্য প্রস্তুতি নিন।
আপনা
প্রতীকি প্রতিবাদে বস্তুত সাইটটি লেখাশূন্য হয়ে পড়েছে। যারা মুক্তচিন্তার ধারক-বাহক তারা ছাড়া সত্যিকার অর্থে ব্লগে যে উল্লেখযোগ্য লেখা পোস্ট করার মত কেউ নেই তা অনেক আগেই প্রমাণিত হয়েছে। তারা ব্লগে ব্লগে মন্তব্য ও ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় সময় কাটিয়েছেন। বিষয়টি অনেকটা রাজধানীতে ডাকা হরতালের সময়কার পরিস্থিতির মত।
এর ফাঁকে অপবাক তার বক্তব্য দিয়েছেন এবং বিভিন্ন প্রান্তিক ব্লগারকে দলে ভেড়াবার চেষ্টা করেছেন। তিনি সাইটের প্রতি সহমর্মিতা বশত: এর পরিবেশে বিঘ
লেখা বন্ধ রেখে প্রতিবাদ চলছে। তেমন কোনো উল্লেখযোগ্য লেখা কেউ লিখেনি। শীর্ষস্থানীয় ব্লগাররা মূলত: প্রতিবাদের ভাষাকে শাণিত করতে নতুন যুক্তি উপস্থাপন করেছেন, নিজের বক্তব্য দিয়েছেন, মুক্তমনস্কতার প্রতীক উপহার দিয়েছেন কিন্তু তাদের স্বাভাবিক লেখালেখিতে ফিরে যান নি।
আড্ডাবাজ ইন্টারনেটের সেনসরশিপকে নিয়ে গ্লোবাল পরিসরে লেখার আয়োজন করছেন। মনে রাখতে হবে আমরা এ অঙ্গন 'অন্ধকারের জীব'দের হাতে ছেড়ে দেই নি। সবাই সবার সেরা ও শক্তিশালী লেখাটা তৈরি করতে থাকুন।
আমার ব্যাক্তিগত একটা সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে বেশ কিছু ব্লগার বিতর্কিত হয়ে গেলেন এবং আমার নিজের ইচ্ছা ছিলো তাদের সমর্থনে আরও 14 ঘন্টা বিরত থাকবো লেখা থেকে তবে এটা মেনে চলতে পারি নি বলে আমি লজ্জিত এবং দুঃখিত।
সবাই বিষয়টার একটা ভুল ধারনা করেছেন, এটা ধর্মঘটের আহবান ছিলো না মোটেও যদিও অনেক ব্লগার বিষয়টাকে সেভাবে নিয়েছেন,
আমি এটা উত্থাপন না করলে অন্যকেউ করতও, তবে আমি কেনো প্রথম কথাটা বললাম,
এখানে অনেককেই বিষয়গুলো পীড়া দিয়েছে, সবাই অনুভব করেছে বিষয়টা নিয়ে কেউ কোনো কথা উত্থাপন করুক, বাঙালি সব সময় শোভনতার পক্ষে থাকে তবে আপনদ্্বিধায় কেউ প্রথম হতে চায় না, আর কিছু নপুংশক আছে যাদের আসলে নিজের বক্তব্য তুলে ধরার সাহস নেই, তাদের নপুংশকাতা নিয়ে আমা
অপ বাক তার শেষ যে পোস্টটি করেছেন তাকে প্রতিবাদী বুলেটিন-7 হিসেবে ধরা হলো। সুতরাং ঐ লেখাটির মানে এই নয় যে, প্রতিবাদ শেষ হয়ে গেছে। বিরত রাখুন আপনার লেখালেখি। আপনার বিশেষ কোনো বক্তব্য থাকলে বুলেটিনের নীচে মন্তব্য করুন। অন্ধকারের জীবদের ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে মূলধারার মুক্তবুদ্ধির মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সমুন্নত রাখুন। আরো স্বাধীনভাবে লেখার প্ল্যাটফরম তৈরি করার জন্য প্রতীকি প্রতিবাদে অংশ নিয়ে লেখা বন্ধ রাখুন। সহযোদ্ধাদের অভিনন্দন।
আমি আমার আদর্শের সমর্থনে 2 দিন বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আশা করেছিলাম এ দুই দিনে মডারেশনের পক্ষে যারা মডারেটর তাদের একটা বক্তব্য আসবে, কেনো তারা মাসুদার লেখাটা মুছে দিলো এবং এ সাইটের সহনশীলতার চর্চায় তাদের আইনানুগতার এবং সচ্ছতার একটা চিত্র তুলে ধরবেন।
এখনও কতৃপক্ষীয় বক্তব্য আসে নি, অতএব তাদের কাজটা করার পিছনের যুক্তি হয় তারা খুজে পান নি অথবা তাদের মনে হচ্ছে না এটা নিয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া দরকার, দুটোই ভয়ংকর বিষয়।
তবে আমার প্রতঃম থেকে একটা ধারনা ছিলো যারা প্রোগ্রামার তাদের লিজিক্যাল সেন্স ভালো হয়, কারন একটা সমস্যা সমাধানে নির্দিষ্ট কিছু যুক্তির ধারাবাহিকতা মেনে চলতে হয়, সুতরাং ডেভলপারদের যুক্তহীন এ অপবাদ দেওয়া অনুচিত হবে।
এ
বিরত রাখুন এই সাইটে আপনার লেখালেখি। এই প্রতীকি প্রতিবাদ চলছে এখন। সকল সহযোদ্ধাদের অভিনন্দন। পরবর্তী কার্যক্রম আগামীকাল ঘোষণা করা হবে। যাতে কোনো বিভ্রান্তি না হয়। আন্দোলনের ক্ষেত্রেও নিয়মতান্ত্রিকতার চর্চার জন্যই এই প্রচেষ্টা। আমার তিনটি প্রস্তাব হলো:
1. যেহেতু অপ বাক প্রথমে এই কলম বন্ধের ডাক দিয়েছেন সেহেতু তিনি সময়সীমা শেষ হওয়ার সংকেত দেবেন। তখন আবার সবাই এই প্রতিবাদ ও অন্যান্য বিষয়ে লিখবেন।
2. আমরা সবাই মিলে মাসুদা ভাট্টিকে অনুরোধ ক
মত প্রকাশের স্বাধীনতা একটি মৌলিক অধিকার। সৃজনশীলতা ও লেখালেখির ক্ষেত্রে এ অধিকারের মাত্রা হয় সীমাহীন। লেখকের স্বাধীনতাই লেখকের অহংকার। 'অন্ধকারের জীব'রা ষড়যন্ত্র করে এমনকি আন্তর্জালেও লেখকের স্বাধীনতাকে পঙ্গু করে দিতে চায়। হুমায়ুন আজাদের প্রতি তাদের ঘৃণা আমরা দেখেছি। কিন্তু সত্যিকার সম্মিলিত প্রতিবাদ করার প্রয়োজন বোধ করিনি। কিন্তু আমাদের পিঠ দেয়ালে। তাদের এসব অন্ধকার ছড়ানোর ষড়যন্ত্র আমরা আর সহ্য করবো না। তাই এই প্রতিবাদ। প্রতীকী কলম বন্ধ থাকার