Archive - 2006 - ব্লগ

September 28th

বাংলা ইউনিকোড ফন্টের জন্য অপেক্ষা ও আশাভঙ্গ

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বুধ, ২৭/০৯/২০০৬ - ৬:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


এই সাইটের শুরু থেকেই ইউনিকোড বাংলা ফন্টে লেখার প্রসঙ্গ এসেছে বার বার। এখানে অনেক কম্পিউটার প্রকৌশলী আছেন। তারা আমাদের জন্য বেগার খেটেও থাকেন প্রায়ই। বিভিন্ন রকমের কনভার্টার বানান তারা, আমরা ব্যবহারও করি। তাদের কাছেই অনুরোধ রেখেছিলাম ইউনিকোড বাংলার যদি একটা সমাধান করতেন তারা। যদি জব্বারীয় জটিলতা থেকে মুক্ত করা যেত বাংলা কি-বোর্ড আর কম্পোজিংকে।

শুধু ভাষাপ্রেম থেকে আমার এই দাবী ছিল না। বিদেশে অনুবাদক হিসেবেও কাজ করি আমি। ফ্রি-ল্যানস। বিভিন্ন


September 26th

কলি ও কলা

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: সোম, ২৫/০৯/২০০৬ - ৮:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

... ...

আমি কিছু কহিলাম না, নিরুত্তর চাহিয়া রহিলাম তাহার অনিন্দ্যসুন্দর বদনের পানে।

আমার মাশুকা। প্রকৃত নাম বলিয়া দিয়া তাহার অপমান করিব না। ধরিয়া নিন, তাহার নাম, নূরজেহান।

নূরজেহান আবারও আমার দিকে চাহিয়া ব্যাকূল কণ্ঠে কহিলো, "ওগো, তুমি ভাবিয়া দেখো, আব্বাহুজুরের প্রস্তাবটি এমন খারাপ কিছু নহে।"

আমি মৃদু কণ্ঠে কহিলাম, "না বেবি, তাহা হয় না।"

আদর করিয়া আমি তাহাকে বেবি বলিতাম।

নূরজেহান আমার দস্ত তাহার দস্তমুবারকে লইয়া মৃদু চাপপ্রয়োগ করিয়া কহিলো, "ওগো, ভাবিয়া দ্যাখো, ইহা এমন আর কঠিন কী কাজ? তুমি পারিবে, নিশ্চয়ই পারিবে ...।"

আমি আমার হস্ত ছাড়াইয়া লইয়া কহিলাম, "না, ইহা হইতে পারে না। ঘরজামাই থাকা আমার পক্ষে সম্ভ


[is=\০০৩৩PP] GKwU K

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: সোম, ২৫/০৯/২০০৬ - ৬:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:



"...এসব জটিলতাই ঘূণ পোকা আমার।... মানুষ হিসেবে জম্ম নিয়ে মানুষ হয়ে বেঁচে থাকতে না পারার কষ্ট যে কি ভীষণ! কেন যে আমার কিছুই ভালো লাগে না! না নারী, না কাব্য, না চকচমকে ক্যারিয়ার... কিচ্ছু না! স্বপ্ন আর বাস্তবতার অসহ্য বৈপরীত্য আমাকে ভাঙে। কেবলই... নিজের ভেতর..."

ডায়েরির পাতা জুড়ে এভাবেই একজন সাজিয়েছিল নিজেকে এলোমেলো ।
এখন নেই।
লাশ হয়ে গেছে কাল রাতে। সাদা কাফনে মুড়ে শুইয়ে রাখা হয়েছে সামনের উঠোনে। কালো গেট ঠেলে আসছে


September 24th

সমপ্রীতির সন্দেশ

আনোয়ার সাদাত শিমুল এর ছবি
লিখেছেন আনোয়ার সাদাত শিমুল (তারিখ: রবি, ২৪/০৯/২০০৬ - ২:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ডিসি অফিসে বছরের এই সময়ে এরকম একটা মিটিং হয়। মকসুদআলী আর শাহাবুদ্দির পাশাপাশি নারায়ণ নাথ-কেও বসতে হয়। এবারো অমনটা হলো।ডিসি খায়রুজ্জামান কিছুটা তৃপ্তির হাসি হাসেন- বুঝলেন নারাণবাবু, ঘটনা তেমন কিছু না। গত ক'বছর ধরে এমনটা হচ্ছে। রোজা-পূজা একসাথে। এবারো উপরের অর্ডার আসছে - সেহরী, তারাবীর নামাজ আর ইফতারের সময় বাদ্য-বাজনা-মাইক বাজানো যাবে না।-জ্বী স্যার, বুঝতে পারছি। নারাণ সম্মতি দেয়।পাশ থেকে মকসুদআলী চোখ ঘুরিয়ে বলে - কেবল আপনি বুঝলে তো হইবো না বাবু,


দোতলা ট্রেনে জিনিভা থেকে ইন্টারলেকেন:বৃষ্টি ভেজা পাহাড় আর ফিরোজা রংয়ের লেক

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৩/০৯/২০০৬ - ৯:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


লন্ডনে দোতলা বাস খুব সাধারণ একটা বিষয়। কিন্তু দোতলা ট্রেন নেই। চারপাশের দৃশ্য দেখার জন্য দোতলা বাস-ট্রেনের জানালার পাশে বসার মজাই আলাদা। পাহাড় দেখতে হলে যেতে হবে ইন্টারলেকেনে। কিন্তু জিনিভা থেকে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। একটু ঘুরে রাজধানী বার্ন হয়ে যায় ট্রেন। যদিও শহর দেখে সময় নষ্ট করবো না সিদ্ধানত্দ নিয়েছি তবু ভাবলাম দুপুরের খাবারটা বার্নে সারি। টিপ টিপ বৃষ্টি ঝরছে সকাল থেকে। আকাশ মেঘে ঢেকে আছে একথাটা সুইজারল্যান্ডের জন্য ঠিক প্রযোজ্য নয়। কারণ আমর


দোতলা ট্রেনে জিনিভা থেকে ইন্টারলেকেন:বৃষ্টি ভেজা পাহাড় আর ফিরোজা রংয়ের লেক

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৩/০৯/২০০৬ - ৯:৪১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


লন্ডনে দোতলা বাস খুব সাধারণ একটা বিষয়। কিন্তু দোতলা ট্রেন নেই। চারপাশের দৃশ্য দেখার জন্য দোতলা বাস-ট্রেনের জানালার পাশে বসার মজাই আলাদা। পাহাড় দেখতে হলে যেতে হবে ইন্টারলেকেনে। কিন্তু জিনিভা থেকে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। একটু ঘুরে রাজধানী বার্ন হয়ে যায় ট্রেন। যদিও শহর দেখে সময় নষ্ট করবো না সিদ্ধানত্দ নিয়েছি তবু ভাবলাম দুপুরের খাবারটা বার্নে সারি। টিপ টিপ বৃষ্টি ঝরছে সকাল থেকে। আকাশ মেঘে ঢেকে আছে একথাটা সুইজারল্যান্ডের জন্য ঠিক প্রযোজ্য নয়। কারণ আমর


September 23rd

গল্পবুড়োর আয়োজন কেনো?

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শনি, ২৩/০৯/২০০৬ - ৪:৩৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আইডিয়াটা প্রথম দিয়েছিলো নীতু, ছোটোদের জন্য কিছু অংশ বরাদ্দ রাখা যায় কি না এখানে, যেখানে ছোটোদের জন্য লেখা হবে, আমরা বিভিন্ন রকম তর্ক রাজনীতি নিয়ে ব্যাস্ত থাকি, সেখানে প্রবেশ করা সবার জন্য সম্ভব হয় না, তাই গল্পবুড়োর আগমন, এটা জোড়াতালি ধাঁচের ব্যাবস্থা হলো যদিও তবে নাই মামার চাইতে কানা মামা ভালো।উদ্দেশ্য সরল, এখানে আমরা যা যা পড়েছি তা জমা করা হবে, আমার নিজের প্রিয় শৈশবের চয়নিকা বইটা এখন কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না, অনেক চমৎকার চমৎকার ছড়া নিয়ে বইটা নিরুদ্দেশ, এমন অনেক মানুষের শৈশবের প্রিয় ছড়া, প্রিয় রূপকথা হারিয়ে গেছে, আমাদের শিশুরা হ্যারি পটারের যাদুর গল্প পড়বে এটা খারাপ কিছু না তবে আমাদের শিশু সাহিত্যের মান মোটেও খারাপ না,আমাদের শিশু সাহিত্যের


[is=\০০৩৩PP] c

হাসান মোরশেদ এর ছবি
লিখেছেন হাসান মোরশেদ (তারিখ: শনি, ২৩/০৯/২০০৬ - ১০:৫১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


গোপন ঘাঁটিতে ফিরছেন একদল বিপ্লবী ।
অপারেশন সাকসেসফুল ।
দখলদারদের একটি প্রমোদকুঞ্জ আক্রমন করে হত্যা করা হয়েছে তাদের কজন কে ।

কিন্ত ুকিছুপর দখলদার সৈন্যরা বিপ্লবীদের খুঁজতে বেরুলো , গুলি বিনিময় চলেেলা অনেকক্ষন । বাকীরা নিরাপদে ফিরে এলে ও গুলীতে আহত হয়ে লুটিয়ে পড়লেন অপারেশন প্রধান । সৈনিকেরা চলে এসেছে খুব কাছে ।
না ধরা দিলেননা বি প্লবী। মুখে পুরে দিলেন সাথে রাখা সায়ানাইড ।
সৈনিকেরা এসে তার মৃতদেহের সাথে পেল একটি চিরকুট । পরাধীন দেশবাসী


জিনিভার জলরং-২

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৩/০৯/২০০৬ - ১২:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


জিনিভা লেকের ওপারে পাহাড়ি এলাকায় হচ্ছে পুরনো জিনিভা শহর। সিঁড়ি ভেঙ্গে নানা কসরত করে পুরনো শহরের একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম খাবারের খোঁজে। সবকিছুরই দাম এখানে একটু বেশি। লন্ডনের চেয়েও বেশি। তবে আমাদের পাশের টেবিলে রাখা রম্নটির টুকরোগুলো নিশ্চিনত্দে খাচ্ছিল কয়েকটি চড়ুই। ওদের নিশ্চিনত্দভাব দেখে বুঝলাম এদেশে পাখির দিকে কেউ ঢিল ছোঁড়ে না। সেরকম কোনো আতংক বা সতর্কতা ওদের আচরণে দেখা গেল না। জিনিভা শহর তেমন বড় নয়, পুরনো শহরটা আরো ছোট। সেখান থেকে আমরা ফিরে আ


জিনিভার জলরং-২

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শনি, ২৩/০৯/২০০৬ - ১২:২৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


জিনিভা লেকের ওপারে পাহাড়ি এলাকায় হচ্ছে পুরনো জিনিভা শহর। সিঁড়ি ভেঙ্গে নানা কসরত করে পুরনো শহরের একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম খাবারের খোঁজে। সবকিছুরই দাম এখানে একটু বেশি। লন্ডনের চেয়েও বেশি। তবে আমাদের পাশের টেবিলে রাখা রম্নটির টুকরোগুলো নিশ্চিনত্দে খাচ্ছিল কয়েকটি চড়ুই। ওদের নিশ্চিনত্দভাব দেখে বুঝলাম এদেশে পাখির দিকে কেউ ঢিল ছোঁড়ে না। সেরকম কোনো আতংক বা সতর্কতা ওদের আচরণে দেখা গেল না। জিনিভা শহর তেমন বড় নয়, পুরনো শহরটা আরো ছোট। সেখান থেকে আমরা ফিরে আ