Archive - 2006 - ব্লগ

July 8th

আমরা কি কোরানের ইসলাম অনুসরন করি??

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৭/২০০৬ - ১১:০৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

প্রশ্নটা চলে আসলো আবারও মওদুদিকে নিয়ে শুভর পোষ্ট পড়ার পর- প্রশ্নটা সাধারন- মানুষের হৃদয়ের ইসলাম আর কোরানের ইসলাম একই নাকি ভিন্ন?
সাদিকের পোষ্টে ইসলামের একটা মানবিক রূপ চলে আসে-সেটা সাদিকের হৃদয়বৃত্তি, সাদিক কোরানের সেইসব আদর্শকে সমর্থন করছে যা তার হৃদয়ে সাড়া দেয়, সেইসব কথাকে সামনে নিয়ে আসছে যার সাদিকের হৃদয়বৃত্তি অনুসরন করতে চায়, সাদিকের ইসলাম যতটা কোরানভিত্তিক ধর্ম তারও বেশী একজন মানুষের ধর্মিয় পরিচয়কে সমর্থন করার জন্য ঐশী গ্রন্থের শরনাপন্ন হওয়া , সেটাকে ইসলাম বলাটা উচিত না বরং এটা সাদিকের নিজস্ব ধর্মভাবনা, যা শৈশব থেকে যৌবন পর্যন্ত অর্জিত সাংস্কৃতিক চেতনা দ্্বারা সংশোধিত।
আস্ত মেয়ের ধর্মবোধের জায়গাটাতেও একই রকম ভাবে বলা যায় বিভিন্ন স


July 7th

আমার ছাত্রশিবির জীবন -৯

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৭/২০০৬ - ৬:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


নানাবাড়িতে খুব ফূর্তিতে ছিলাম। আমার দুই মামা ও নানী যে কি মজার মানুষ তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার মত না। মা ও ছেলে-মেয়েদের মধ্যে এত বন্ধুত হতে পারে সে ধারণাও আমার ছিল না। তারা নানা গল্পে-গুজবে, খাওয়া-দাওয়া আর অলস আড্ডায় সময় পার করে দেয়ার জমিদার। আরেকটা মজায় জিনিস ছিল তাদের। সবাই মিলে সিগারেট ভাগাভাগি করে ফুঁকতেন। আমার সময়ও কাটছিলো বেশ। আর মাঝে মাঝে যাচ্ছিলাম গন্ড কোনো গ্রামে বেড়াতে, কোনো বন্ধুর মামা-চাচা বাড়ি। এই সময়টাতেই আমার বাংলার দামাল ছেলে


আমার ছাত্রশিবির জীবন -৯

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৭/২০০৬ - ৬:১৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


নানাবাড়িতে খুব ফূর্তিতে ছিলাম। আমার দুই মামা ও নানী যে কি মজার মানুষ তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করার মত না। মা ও ছেলে-মেয়েদের মধ্যে এত বন্ধুত হতে পারে সে ধারণাও আমার ছিল না। তারা নানা গল্পে-গুজবে, খাওয়া-দাওয়া আর অলস আড্ডায় সময় পার করে দেয়ার জমিদার। আরেকটা মজায় জিনিস ছিল তাদের। সবাই মিলে সিগারেট ভাগাভাগি করে ফুঁকতেন। আমার সময়ও কাটছিলো বেশ। আর মাঝে মাঝে যাচ্ছিলাম গন্ড কোনো গ্রামে বেড়াতে, কোনো বন্ধুর মামা-চাচা বাড়ি। এই সময়টাতেই আমার বাংলার দামাল ছেলে


শেরশাদ আর আলেকজান্ডার

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৭/২০০৬ - ৫:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


শেরশাদ বললেন, "সালামালাইকুম। আপনি কোন আলেকজান্ডার?"

আলেকজান্ডার ক্ষেপে গেলেন। মাকেদোনিয়ার লোকজন এমনিতেই বদমেজাজি, তার ওপর বিশ্বজয়ী আলেকজান্ডারকে না চেনা! তিনি তরবারি উঁচিয়ে বললেন, "হাল্লা পেঙ্কির পো আলেকজান্ডার কি একটার বেশি দুইটা হয় নিকি? এক্কেরে জানে মাইরা ফালামু কোয়া দিলাম!"

শেরশাদ হাসলেন। বললেন, "খোঁজখবর তো রাখেন না দুনিয়ার। কতো আলেক-বালেক-খালেকজান্ডার দিয়ে রাস্তাঘাট ছয়লাপ এখন! ঐ দ্যাখেন ঐ অশ্লীল সিনেমার পোস্টারে নায়কের নাম কী ল


রহস্যগল্প ০০৩

মুখফোড় এর ছবি
লিখেছেন মুখফোড় (তারিখ: শুক্র, ০৭/০৭/২০০৬ - ১২:১০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

গাব্রিয়েল মগাদিশু চৌরাসিয়া ধড়ফড় করে উঠে বসেন বিছানায়। তারপর তাকান ঘরোয়া ঘড়ির রেডিয়ামচর্চিত কাঁটার দিকে। রাত দেড়টা।

দুঃস্বপ্ন দেখে যে তাঁর ঘুম ভাঙে না, এমন নয়। মাঝে মাঝেই স্বপ্নে দেখেন বউটা বাপের বাড়ি থেকে গাঁটরি বোঁচকা সহ ফেরত এসেছে, এসেই শাড়ি গাছকোমর করে পেঁচিয়ে তাঁকে কান পাকড়ে ধমকাচ্ছে, "বাসাবাড়ির এই হাল? য়্যাঁ?"

তবে আজ দুঃস্বপ্ন নয়। ঘুম ভেঙেছে দরজায় করাঘাতের শব্দে। না, তাঁর দুঃস্বপ্ন সত্যি হয়ে ওঠেনি, বউটা এলে দরজায় লাথি মারে। সম্ভবত কোন প্রতিবেশী, খুচরা কোন রহস্য নিয়ে এসেছে। রহস্যের সমাধান হয়ে গেলে শালারা ঠিকমতো টাকাপয়সাও দেয় না, দিচ্ছি-দেবো করে খালি ঘোরায়। দীর্ঘসূত্রিতা। মাঝে মাঝে ভাবেন চৌরাসিয়া, ফেনসিডিলের ব্যবসায় নেম


July 6th

সুধা কেনা ও পানি বেচা

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/০৭/২০০৬ - ২:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ক্রেতা আমরা সকলেই। জীবন বাঁচাতে ও সাজাতে কেনা-কাটা লাগে না এমন সাধু-সন্তও আজকের বাজারে বিকায় না। কিন্তু তাই বলে বেচা-বিক্রিও কি সবাই করি। হ্যা, তাতেও সবাইকে হাত লাগাতে হয়। ফকিনি্ন থেকে রাজরাণী বিক্রেতার তালিকায় নাম পাওয়া যাবে সবার। কেউ বেচে ভিক্ষার চাল, কেউ হীরে-জহরত। তফাৎ এতটুকুই। কিন্তু কেনাবেচার যে ক্রিয়াকর্ম, তাতে হাত ময়লা করে সকলেই। তাইতো সচল এত অর্থনীতির চাকা। তবে কেউ কেউ হয়তো পেশাদার ক্রেতা। কম মূল্যে বেশি দামের জিনিস কেনাটাই তার পেশা।


সুধা কেনা ও পানি বেচা

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৬/০৭/২০০৬ - ২:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


ক্রেতা আমরা সকলেই। জীবন বাঁচাতে ও সাজাতে কেনা-কাটা লাগে না এমন সাধু-সন্তও আজকের বাজারে বিকায় না। কিন্তু তাই বলে বেচা-বিক্রিও কি সবাই করি। হ্যা, তাতেও সবাইকে হাত লাগাতে হয়। ফকিনি্ন থেকে রাজরাণী বিক্রেতার তালিকায় নাম পাওয়া যাবে সবার। কেউ বেচে ভিক্ষার চাল, কেউ হীরে-জহরত। তফাৎ এতটুকুই। কিন্তু কেনাবেচার যে ক্রিয়াকর্ম, তাতে হাত ময়লা করে সকলেই। তাইতো সচল এত অর্থনীতির চাকা। তবে কেউ কেউ হয়তো পেশাদার ক্রেতা। কম মূল্যে বেশি দামের জিনিস কেনাটাই তার পেশা।


July 5th

হুমায়ুন আহমেদ -অনেক দিন পরের পাঠ

অপ বাক এর ছবি
লিখেছেন অপ বাক (তারিখ: বুধ, ০৫/০৭/২০০৬ - ১২:৫০পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

অনেক অনেক দিন পর হুমায়ুন আহমেদের উপন্যাস পড়া হলো, হলুদ হিমু কালো র্যাব,এই শুভ্র, এই আর আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি।

হুমায়ুন আহমেদের লেখার ভঙ্গি নিয়ে কিছু বলার নেই, ঘটনার বর্ননা আর সহজ ভাষা, সহজপাঠ্য বই, পড়া শেষ হয়- ঘন্টাব্যাপি বিনোদন শেষ। এর পর আর কিছু মনে থাকে না, কোনো ছাপ পড়ে না। অবশ্য অতীতের কিছু উপন্যাস বাদ দিলে হুমায়ুন আহমেদের সব লেখাই ঘন্টাবিনোদনী লেখা।
তবে আমি যেটা মনে করার চেষ্টা করছি তা হলো হুমায়ুন আহমেদের চরিত্রের রা কর্মবিমুখ কেনো?
সবাই মানে চরিত্র যতগুলো থাকে তারা কেউই সেই অর্থে কর্মরত নয়- আমি এবং কয়েকটা প্রজাপতির চরিত্রগুলোর প্রধান চরিত্রের বিলাসের ব্যামো- তার অঢেল টাকা অঢেল অবসর, এবং তার মাথাভর্তি ফ্যান্টাসি, খ্যাপাটে বৈজ


আমার ছাত্রশিবির জীবন -৮

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/০৭/২০০৬ - ১০:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


স্কুলের বক্তৃতায় আমি যখন স্কুল ছাত্রদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণকে নিন্দা করি তখন অনেকেই আমাকে বাহবা দেন। নামাজ পড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, সাহিত্যের আসর, ইসলামী বই পাঠের নামে যে কোমলমনের কিছু শিশুর মগজ ধোলাই চলছে তাও তারা বুঝতে পারেন। তারা প্রশংসা করেন আমার এই হুইসেল ব্লোইংয়ের সাহস ও বুদ্ধির। আমার সতীর্থ ছাত্রশিবিরের কর্মীরা কিন্তুআমার বক্তৃতার সাথে দ্বিমত পোষণ করে। আমার সবচে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রকিবই সময় চেয়ে পাল্টা একটা বক্তৃতা দেয়। জামায়াত করা এক বিজ্ঞ


আমার ছাত্রশিবির জীবন -৮

শোহেইল মতাহির চৌধুরী এর ছবি
লিখেছেন শোহেইল মতাহির চৌধুরী (তারিখ: মঙ্গল, ০৪/০৭/২০০৬ - ১০:৩৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


স্কুলের বক্তৃতায় আমি যখন স্কুল ছাত্রদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণকে নিন্দা করি তখন অনেকেই আমাকে বাহবা দেন। নামাজ পড়া, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, সাহিত্যের আসর, ইসলামী বই পাঠের নামে যে কোমলমনের কিছু শিশুর মগজ ধোলাই চলছে তাও তারা বুঝতে পারেন। তারা প্রশংসা করেন আমার এই হুইসেল ব্লোইংয়ের সাহস ও বুদ্ধির। আমার সতীর্থ ছাত্রশিবিরের কর্মীরা কিন্তুআমার বক্তৃতার সাথে দ্বিমত পোষণ করে। আমার সবচে ঘনিষ্ঠ বন্ধু রকিবই সময় চেয়ে পাল্টা একটা বক্তৃতা দেয়। জামায়াত করা এক বিজ্ঞ