বিবর্তনের উপর লেখাটার প্রথম দু'টো অধ্যায় সচলে দেওয়ার পর অনেকদিন আর কিছু পোষ্ট করা হয়নি বিভিন্ন কারণেই। অনেকেই সে সেসময়ে অনুরোধ করেছিলেন সিরিজটা চালিয়ে যেতে, ব্যাক্তিগতভাবে ইমেইল করেও বলেছেন কয়েকজন। দেখা যাক এবার বাকিটা শেষ ক...
আবার
বরাবরের মতো বাধাহীন রোদে
ডালাপালা শুকিয়ে লাকড়ি হবে
ভবে ভাবের ছেনালী হালাল
ছাল-বাকলা পুড়ে ন্যাড়া
বেলতলায় অবিরাম
কোয়ান্টাম ফলোথ্রু
১২.০১.২০০৭
ক্যামেরা নিয়ে আমি ঠিক পুলিশের কানের কাছাকাছি ঘেষে আছি।
একটা ছেলে খুব সামনে এসে পড়েছে, টিয়ারের শেলটা হাতে তুলে নিয়ে ছুড়ে দিতেই তাকে উদ্দেশ্য করে খিস্তিও তুবড়ি ছুটলো - আরে ওরে মারনা - দুই ঠ্যাঙের মধ্যে .. এক পশলা ফাকা গুলি করতে থাকা ...
'প্রোষিতভর্তৃকা' অর্থাত যে নারীর স্বামী বিদেশে থাকেন। এমন একটা এক কথায় প্রকাশ আমরা ছোটবেলায় সবাই মোটামুটি পড়েছি। বিদেশী প্রবাসী স্বামীদের স্ত্রীরা দেশে কেমন থাকেন? স্বামীরাই বা বিদেশে কেমন থাকেন? তা নিয়ে ভালোই লেখালেখি হয়েছে ...
যখন শুধু একটাই চ্যানেল ছিলো, সবেধন নীলমণি আমাদের বিটিভি, তখন অখন্ড মনোযোগে সেটায় প্রাচারিত প্রায় সব নাটকই দেখা হতো। এখনো ভালো নাটক নিয়ে কথা বলতে চাইলে বুড়ো মানুষদের মতো স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ি, একে একে মনে আসে ছোটবেলায় দেখা নাটকগুলো...
১৯৮৩-৮৪ এর কথা।
রায়েরবাজার পটারির পশ্চিমে, কালিমন্দিরের আখড়ার নামায় একটু গেলেই লম্বা লম্বা কচুরি পানা, ভরা একটা ময়লা ডোবা ছিল। ডোবার পার ভর্তি ছিল কেয়ার কাঁটাঝাঢ়, চালতা আর মান্দাল গাছে। ডোবার ও...
রুপীকার রুপকথা/অন্তোজ
নিমগ্ন কোন ধ্যানে ছুটছে পেছনের স্মৃতি
রাত পোহাবার দেরী এসো কথা বলি
অন্ধকার ঘরের কোণটা বেশ অস্বস্তি লাগছে
পাশ ফিরে চাইনি যদি ভোর হয়ে যায়
সাজানো কথামালা জুড়ে তারাদের পথচলা
আয়নার সামনে বসে কোন রুপকের রুপ...
তোমাকে তার সাথে মানায়
মাঝে মধ্যে কবিতা যেভাবে পর করে দেয়
চিনেও যেন চেনো না চিরকাল।
ভালোবাসা হলো চুম্বনে চুম্বনে গলাকেটে ফেলা
মাথাটা মূলধন। কথাটা বললেন শেষে
আমার
প্রণয়িনী।
[justify]
আজ থেকে প্রায় বছর ছয়েক আগে হঠাৎ খুব নিঃসঙ্গ হয়ে পড়তে হলো। সে এক দুর্বিষহ অনুভূতি, মনে হয় বিরান তেপান্তরের মাঝে দাঁড়িয়ে আছি।
নিঃসঙ্গতা কাটানোর জন্য প্রথম ঔষধ হতে পারে ব্যস্ততা। ব্যস্ত ছিলাম এমনিতেই, ব্যস্ততর হয়ে পড়লাম। এটা করি, সেটা শিখি, অমুক জায়গায় যাই, তমুক সংঘে কাজ করি। কাজ হতে চায় না।
সময়ের সাথে নিঃসঙ্গতার তীব্রতা কমে আসে, বোধ করি আসক্তিও জন্মায় তার প্রতি। একদিন মনে হল...
উর্ধ্বমুখি, চোখা
ধারালো পেন্সিলের মতো
প্রাচীন-প্রসিদ্ধমাথাটা
ঘোলা-কালিবর্ণ মেঘের মধ্যে ডুবিয়ে
কী লেখে অই গীর্জা?
অকাল-অন্ধকারের চাপে :
মাথায় তখনও পাওয়া যাবে
ছিন্ন কিছু মুকুল- জীর্ণ কিছু পাতা
আর দু’একটি কীট, কীটের ঝরা-পাখ...