ইউএনডিপি-তে চাকরীটা হয়ে যাবে সরণ কল্পনাও করেনি। সিটিসেলের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেতন। এক বছরের কন্ট্রাক্ট শেষ করে সরণ যখন পার্মানেন্ট হলো তখন তার জন্য অফিস থেকে গাড়ী। বছরে দু'য়েকবার দেশের বাইরে কনফারেন্সে অফিস ট্যুর। ভীষণ ব্যস্ত সময়। সকাল আটটায় অফিস যাওয়া, ফিরতে ফিরতে রাত। কখনো রাত দশটা। ব্যস্ততায় সময় চলে যায় দ্রুত। মাঝে মাঝে কাক দেখলে কী যেন মনে পড়ে যায়। সরণের মনে হয় - ব্রেনের স্মৃতি কোষের কোনো একটা অংশ জেগে উঠতে চায়। অথচ ঐ অংশটা সরণ অনেকদিন যাবত ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে। সরণ বিশ্বাস করে - অনেকটা সময় পেরিয়ে এ স্মৃতিগুলো মারা যাবে একদিন। কেবল সময়ের অপেক্ষা, পলাতক সময়!
।
।
।
।
।
জয়া এ নিয়ে পাঁচবার ডাক দিলো।
দরজার কাছে এসে বলে গেছে
বেলা:
আপনাকে শেষ মেইল করেছিলাম আজ থেকে বাইশ দিন আগে।
এরপর আপনার কোন মেইল পেলাম না।
হয়্তো রাগ করে আছেন।
প্লিজ রাগ করবেন না।
আমি আপনাকে অনুরোধ করবো, খুব মন দিয়ে আমার এ মেইল পড়ার জন্য!
আমি কখনো এমন ভেবে চিন্তে মেইল করিনি।
এ মেইল করার আগে অনেক ভেবেছি। গত দু'সপ্তাহ নিজের সাথে অনেক বুঝাপড়া করেছি।
আবারও বলি - অনেক ভেবে এ মেইল করছি।
কোন একদিন চ্যাটে আপনি জিজ্ঞেস করেছিলেন - আমার গার্লফ্রেন্ড নেই কেনো?
আমি বলেছিলাম - কেউ হয়তো পছন্দ করেনি।
আজও বলি - ওটাই খুব সত্যি কথা।
আসলে আমাকে পছন্দ করার মতো কিছু ছিল না।
আমার চলাফেরায় কিংবা কথাবার্তায় মোহনীয় কিছু ছিল না।
আপনাকে বলা হয়নি, ইচ্ছে করেই অনেক ব্যক্তিগত প্রসংগ এড়িয়ে গেছি।
আম
হ্যালো,
কেমন আছেন? কী করছেন? আমার মন-মেজাজ দুটোই খারাপ। বাসায় উটকো ঝামেলা শুরু হয়েছে। আমার অনার্স শেষ হয়ে এলো। আব্বু-আম্মু আমার বিয়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে। কোথাকার কোন এক আর্মী অফিসারের সাথে নাকি বিয়ে। বলেন তো, এটা কোন কথা? জানি না চিনি না, এমন মানুষকে কীভাবে বিয়ে করি? একদম ভালো লাগছে না---
< বেলা >
-----------------
বেলা:
ওয়াও!
দারুণ খবর!!
কনগ্র্যাট।
অনেকদিন বিয়ের দাওয়াত খাওয়া হয় না।
আপনার বিয়েতে খুব মজা করে খাবো।
নেক্সট উইকে ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে দাঁত শার্প করিয়ে আসবো!
হা হা হা।
আপনি লাকি গার্ল!
এখন সম্ভবত: বিয়ের বাজারে আর্মীদের জয়জয়কার।
একসময় ছিল - ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার অথবা ব্যবসায়ীর সুদিন।
এখন আর্মী অফিসারদ
স্ট্রাফোর্ডশায়ার ইউনিভার্সিটির ফাইন আর্টস বিভাগের ছাত্র, বাংলাদেশের ছেলে জিয়াউল আবেদীন পলাশ । ব্যক্তিজীবনে ভীষন রকম রাজনীতি এড়িয়ে চলা, নিজেকে আড়াল করা একজন গুনী শিল্পী । আমার খুব কাছের বন্ধু ।
রাজনীতি এড়িয়ে চললে ও হ্রদয়ে ধারন করেন মুক্তিযুদ্ধ আর তা প্রকাশিত হয় তার শিল্পচর্চায় ।
সম্প্রতি পলাশদের কোর্স ফাইনাল ছিল । কোর্সফাইনালে প্রত্যেক ফাইন আর্টস ছাত্রকে নিজেদের শিল্পকর্মের প্রদর্শনী আয়োজন করতে হয় ।
গত ৬ মে পলাশ তার শিল্পপ্রদর্শনীর আয়োজন করেন এবং এ আয়োজনের থিম ছিল 'জেনোসাইড ৭১ ' । তার উদ্দেশ্য ছিল গনহত্যা ৭১ এ বিষয়ে আরো বেশী মানুষকে জানানো । প্রদর্শনীর পোষ্টার ও লিফলেট এ পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর বর্বরতা, দেশীয় ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলোর এ বর্বরত
প্রচন্ড অস্থিরতা আর অপরাধবোধ যখন আমাকে কুরে কুরে খাচ্ছিল সারাদিন আর রাত ধরে তখন গভীর রাতে আমি সিদ্ধান্ত নিলাম যে আমি আমার খুবই ক্ষুদ্র সামর্থ্য অনুযায়ী একটা উদ্যোগ নেব এবং সেই উদ্যোগে সবাইকে সামিল হতে আবেদন জানাবো।
পোস্ট লেখাকালীন সময়েই আমার এক বন্ধুর মায়ের মৃত্যু সংবাদ পাই এবং বন্ধুর বেদনার দিনে তার পাশে দাড়ানোর জন্য ভোরে সিলেট রওনা হই।অনিবার্য ভাবেই তাই শুক্র-শনিবার ব্লগে উপস্থিত থাকতে পারিনি।
হুট করে চলে যাওয়ায় আমার পক্ষে সবার মন্তব্যের জবাব দেয়া সম্ভব হয়নি।( মোবাইলে চার্জ না থাকার কারনে প্রায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্নই ছিলাম।)
আমি একটু আগে ফিরেছি এবং গভীর আনন্দের সাথে দেখলাম,আমার বন্ধুরা সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে এই উদ্যোগে সামিল হয়েছ